১৮ লক্ষ ৬৫ হাজার আবেদন! জ্বি সম্মানিত পাঠক, এটাই এবারের ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা। যেটিকে একটি রেকর্ড বলে ধরা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা এবং কলেজে যথাযথ যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে নিবন্ধন কর্মসুচী চলে সেটিই শিক্ষক নিবন্ধন নামে পরিচিত। এদেশের প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে বহুল আকাঙ্ক্ষিত তিনটি শব্দ হচ্ছে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় ভালো করতে হলে অবশ্যই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে খুবই ভালো ভাবে।
আমাদের দেশে নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি মিলিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। এসকল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম ঠিক ভাবে চালাতে দরকার হয় অসংখ্য যোগ্য শিক্ষক। এই যোগ্য শিক্ষকদেরকে খুঁজে বের করে যথাযথ ভাবে নিয়োগ দেবার জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০০৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে NTRCA নামক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানটি গঠন করেছে। NTRCA-এর নিবন্ধন ছাড়া কোন বেসরকারি স্কুল, মাদ্রাসা এবং কলেজে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষাদানের মতো মহৎ কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে চাইলে এই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা আপনাকে দিতেই হবে।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার নিয়মাবলী
বেসরকারি শিক্ষক হিসাবে নিবন্ধিত হতে হলে আপনাকে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পদ্ধতি অনুসারে ৩টি ধাপে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এই ধাপ ৩টি হচ্ছে,
১। প্রিলিমিনারি পরীক্ষাঃ NTRCA প্রথমে ১০০ নম্বরের একটি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে থাকে। MCQ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই পরীক্ষায় ৪০% নম্বর পেলেই সাধারণত পাস ধরা হয়।
২। লিখিত পরীক্ষাঃ এই ধাপে প্রিলিমিনারিতে পাস করা প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয় । লিখিত পরীক্ষায় আপনাকে ৩ ঘন্টা সময়কালে ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা দিতে হবে। এই পরীক্ষাটি নেয়া হবে আপনার ঐচ্ছিক বিষয়ের উপর।
৩। মৌখিক পরীক্ষাঃ লিখিত পরীক্ষায় নম্বরের ভিত্তিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় এই ধাপে।
মৌখিক পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকে NTRCA-এর পক্ষ থেকে একটি সনদ দেওয়া হয়। এই সনদ দিয়ে NTRCA বরাবর অনলাইনে আবেদন করলে মেধাতালিকার ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলিতে নিয়োগ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, এই সনদের মেয়াদ আজীবনকাল।
শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পদ্ধতি
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ ৩টি পর্যায়ে হয়ে থাকে।
স্কুল পর্যায়ঃ
বেসরকারি সহকারী শিক্ষক (বাংলা, ইংরেজি, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, গণিত, ভৌত বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান, কৃষি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, চারু ও কারুকলা, ধর্ম ও গ্রন্থাগার, তথ্য বিজ্ঞান), সহকারী শিক্ষক শরীরচর্চা ও সহকারী মৌলভী পদসমূহ এই পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
স্কুল পর্যায় ২ঃ
এই পর্যায়ে ট্রেড ইন্সট্রাক্টর, ইবতেদায়ী মৌলভী, ইবতেদায়ী শিক্ষক (সাধারণ), ইবতেদায়ী ক্কারী পদকে বোঝায়।
কলেজ পর্যায়ঃ
বেসরকারি কলেজসমূহের প্রভাষক, ইন্সট্রাক্টর (টেক) ও ইন্সট্রাক্টর (নন টেক) ও প্রদর্শক পদগুলি এই পর্যায়ের ভেতরে পড়ে।
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা
সরকারি বা বেসরকারি যেকোনো চাকরি সংক্রান্ত পরীক্ষাতেই আবেদন করবার জন্য কিছু যোগ্যতার দরকার হয়। ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ক্ষেত্রে,
স্কুল পর্যায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা
এই পর্যায়ে শিক্ষক নিবন্ধনের জন্য আপনার যে সকল যোগ্যতা থাকতে হবে তা নিম্নরূপ,
- আপনাকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে।
- তবে আপনার স্নাতক পরীক্ষা যদি সদ্য শেষ হয়ে থাকে তাহলেও আপনি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া প্রশংসাপত্র, মার্কশিট এবং প্রবেশপত্রের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
- নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাজীবনে যেকোন মাত্র একটি তৃতীয় বিভাগ বা এর সমমনা জিপিএর ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে। এর বেশি তৃতীয় বিভাগ থাকলে আপনি এই পরীক্ষায় অংশ নেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
- আবেদনের জন্য আপনার বয়স হতে হবে ১৮-৩৫ বছরের মধ্যে।
স্কুল পর্যায় ২ (ইবতেদায়ী শিক্ষক / জুনিয়র শিক্ষক) নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা
- আপনি যদি শুধুমাত্র আলিম/এইচএসসি পাশ হয়ে থাকেন তাহলে শুধু স্কুল পর্যায়-২ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কলেজ পর্যায় (প্রভাষক) নিবন্ধন পরীক্ষার যোগ্যতা
আপনি যদি কলেজ পর্যায়ে অর্থ্যাৎ একজন প্রভাষক হিসাবে কোন বেসরকারি কলেজে আবেদন করতে চান তাহলে যে যোগ্যতাসমূহ দরকার হবে সেসমূহ হচ্ছে,
- স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনার্স ডিগ্রী সহ দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতকোত্তর/সমমান ডিগ্রি অথবা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে চার বছর মেয়াদে দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতক/সমমান ডিগ্রী।
- বয়স সবোর্চ্চ ৩৫ বছর।
শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মানবন্টন
বাংলায় ২৫, ইংরেজিতে ২৫, গণিতে ২৫ এবং সাধারণ জ্ঞানে ২৫ নম্বর মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষাটি হয়ে থাকে MCQ পদ্ধতিতে। ১ ঘন্টার এই পরীক্ষাতে মোট ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটির সঠিক উত্তর দেবার জন্য আপনি পাবেন পূর্ণ ০১ নম্বর। আর প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা হবে ০.২৫ নম্বর। তাই এই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য উত্তর করবার সময় নেগেটিভ মার্কিংয়ের বিষয়টি অবশ্যই স্মরণে রাখতে হবে।
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সিলেবাস
চাকরির কোন পরীক্ষা দিতে হলে সবার আগে আপনাকে সেই পরীক্ষার সিলেবাস সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা রাখতে হবে। ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সিলেবাস বিষয়েও একই কথা প্রযোজ্য। স্কুল পর্যায় প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস, স্কুল পর্যায় ২ (ইবতেদায়ী শিক্ষক / জুনিয়র শিক্ষক) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস এবং কলেজ পর্যায় (প্রভাষক) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস একই।
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সিলেবাস
আসুন তাহলে একে একে দেখে নেই কোন কোন বিষয়ে কী কী টপিক আছে ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সিলেবাসে।
বাংলাঃ প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে ২৫ নম্বরের জন্য মোট ২৫টি প্রশ্ন থাকে। যে সকল টপিকে এই প্রশ্নসমূহ করা হয় সেসমূহ হচ্ছে,
- ভাষারীতি ও বিরাম চিহ্নের ব্যবহার
- ভুল সংশোধন বা শুদ্ধকরণ
- বাগধারা ও বাগবিধি
- যথার্থ অনুবাদ, সন্ধি বিচ্ছেদ
- কারক ও বিভক্তি
- সমাস ও প্রত্যয়
- সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ
- বাক্য সংকোচন
- লিঙ্গ পরিবর্তন।
- সন্ধি বিচ্ছেদ।
ইংরেজিঃ বাংলার মতো ইংরেজি বিষয়েও ২৫ নম্বরের বিপরীতে ২৫টি প্রশ্ন থাকে। এই ২৫ নম্বরের জন্য আপনাকে যে টপিকসমূহ পড়তে হবে সেসমূহ হচ্ছে,
- Sentences
- Change of Parts of Speech
- Transformation of sentences
- Right forms of verb
- Synonyms & Antonyms
- Idioms & Phrases
- Fill in the blanks with appropriate word
- Translation from Bengali to English।
কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য উপরের টপিকসমূহের সাথে Identify appropriate title from story or article, Errors in composition, appropriate preposition এবং Uses of article টপিকসমূহও পড়তে হবে।
সাধারণ গণিতঃ এই বিষয়ে ২৫ নম্বরের জন্য যে ২৫টি প্রশ্নের উত্তর আপনাকে করতে হবে তা নিচের টপিকসমূহ থেকে আসবে,
- পাটিগণিত থেকে গড়, একক নিয়ম, লসাগু., গসাগু, সুদ, লাভ-ক্ষতি, শতাংশ ও অনুপাত।
- বীজগণিত থেকে বাস্তব সংখ্যা, জেনারেটর, সূত্র ও বর্গাকার এবং ঘনক, সূত্র ও সূচক, সূচক ও লগারিদমের প্রয়োগসমূহ সমাধান করার জন্য বীজগণিতীয় সূত্রসমূহের গঠন ও প্রয়োগ।
- জ্যামিতি থেকে রেখা, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, কোণ, নিয়ম ও প্রয়োগ, ক্ষেত্রফল ও বৃত্তের সাধারণ ধারণা।
সাধারণ জ্ঞানঃ এই বিষয়েও ২৫ নম্বর পেতে মোট ২৫টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের যে টপিকসমূহ আপনাকে পড়তে হবে সেসমূহ হচ্ছে,
- বাংলাদেশে সম্পর্কিত বিষয়ঃ ইতিহাস, ভূগোল ও জলবায়ু, শিক্ষা, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, অর্থনীতি, সভ্যতা ও সংস্কৃতি, বিখ্যাত স্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিভিন্ন সম্পদ (কৃষি, বন, শিল্প, পানি), জাতীয় দিবস ইত্যাদি।
- আন্তর্জাতিক বিষয় ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সঃ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা, বিভিন্ন দেশের পরিচিতি, মুদ্রা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগ, আন্তর্জাতিক দিবস, পুরস্কার ও সম্মাননা, খেলাধুলা ইত্যাদি।
- বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, পরিবেশ এবং রোগ বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান।
- এছাড়া দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান (পদার্থ, রসায়ন এবং জীববিদ্যা), স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি, তথ্য, সাধারণ রোগ, পরিবেশ বিজ্ঞান।
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি যেভাবে শুরু করবেন
যেকোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ফল লাভ করবার একমাত্র পূর্ব শর্ত হচ্ছে ভালো ভাবে প্রস্তুতি নেয়া। স্বাভাবিক ভাবেই MCQ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়া NTRCA-এর শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষাও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই এই পরীক্ষার জন্যও নিতে হবে যথাযথ পরিকল্পিত প্রস্তুতি।
আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক স্কুল পর্যায় প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি, স্কুল পর্যায় ২ (ইবতেদায়ী শিক্ষক / জুনিয়র শিক্ষক) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং কলেজ পর্যায় (প্রভাষক) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি আপনি যেভাবে শুরু করলে ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন তার কিছু কৌশল।
- আপনি সত্যিই একজন শিক্ষক হয়ে দেশ ও জাতির সেবার মাধ্যমে নিজের জীবিকা নির্বাহ করতে চান কি না এই বিষয়ে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। কারণ এই সেক্টরটিতে প্রচুর আয়ের খুব একটা সুযোগ নেই। তবে অনেক অনেক সম্মান এবং মানুষের ভালোবাসা যে পাবেন সেটা বলাই বাহুল্য।
- সিদ্ধান্ত নেয়া হলে আপনি যে একজন শিক্ষক হিসাবে নিবন্ধিত হবেনই এই বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোন। কোন বাঁধাই আপনার এই প্রতিজ্ঞাকে টলাতে পারবে না এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে পড়াশোনা শুরু করুন।
- যথাযথভাবে পড়াশোনা করবার জন্য একটা প্ল্যান করে ফেলা খুবই দরকার। কবে কোন বিষয়ের কোন টপিকটা পড়বেন, কতো সময় ধরে পড়বেন তার একটা রুটিন থাকলে পড়াশোনা করাটা বেশ অনেকটা সহজ হবে।
- প্রশ্নপত্র বিষয়ে পরিস্কার ধারনা থাকা যেকোনো পরীক্ষাতে অংশ নেবার সব থেকে জরুরি পূর্ব শর্ত। তাই জব সল্যুশন বা বিগত পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ সমাধান সবার আগে করুন। এতে করে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কোন কোন টপিক থেকে কী ধরনের প্রশ্ন আসে সে বিষয়ে আপনার স্বচ্ছ ধারণা গড়ে উঠবে।
- যখন যেই বিষয়ের যেই টপিকটা পড়বেন সেটা খুব মনোযোগ দিয়ে গভীরভাবে পড়ার চেষ্টা করবেন। ওই টপিক সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ও পড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন। যেমন ধরুন, আপনি আন্তর্জাতিক কোন সংস্থা বিষয়ে পড়ছেন। এবার ওই সংস্থার যাবতীয় সব তথ্য যেমন পড়বেন ঠিক তেমনি ভাবে ওই সংস্থার কোন সহযোগী সংস্থা থেকে থাকলে সেটার সকল তথ্যও পড়বার চেষ্টা করবেন।
- পড়বার সময় শব্দ করে পড়বেন, যেন আপনার নিজের পড়া আপনি নিজেই শুনতে পান। মনে রাখবেন, পড়াশোনাতে পড়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনিভাবে শোনার গুরুত্বও কিন্তু অসীম।
- প্রতিদিন যা পড়ছেন তা যদি পড়বার পাশাপাশি লিখতে পারেন তাহলে বিশেষ উপকার পাবেন।
এবার তাহলে দেখে নিন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির জন্য কী করলে আপনার প্রস্তুতি যথাযথ হবে।
বাংলাঃ বিগত বছরের প্রশ্নসমূহ লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, বাংলা বিভাগে ব্যাকরণ থেকেই বেশি এবং সাহিত্য অংশ থেকে তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম প্রশ্ন এসে থাকে। তবে ভালো ফলাফল করতে হলে দুটি অংশই মনোযোগ দিয়ে চর্চা করতে হবে। ব্যাকরণের সিলেবাসে থাকা সবগুলো টপিক গুরুত্ব সহকারে পড়তে হবে। সাহিত্য অংশে ভালো প্রস্তুতি নিতে প্রাচীন ও মধ্যযুগ বিষয়ক জব সল্যুশন প্রশ্ন, আধুনিক যুগের গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম, সাহিত্যিকদের বিভিন্ন ছদ্মনাম, উপাধি এবং পত্রিকা ও সাময়িকী টপিকসমূহ ভালো ভাবে জানতে হবে।
বাংলা বিষয়ে প্রস্তুতির ক্ষেত্রে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বোর্ড বই পড়লে ভালো ফল পাবেন।
ইংরেজিঃ ইংরেজি বিষয়ে ভালো করতে হলে আপনাকে প্রতিদিনই সিলেবাসে থাকা টপিকসমূহ চর্চা করতে হবে। এর পাশাপাশি ভোকাবুলারি চর্চা বাড়াতে হবে। অর্থ্যাৎ নিয়মিত নতুন নতুন ইংরেজি শব্দ, সেই সকল শব্দের সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, শব্দের ব্যবহার শিখতে হবে।
কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আলাদাভাবে Identify appropriate title from story or article, Errors in composition, appropriate preposition এবং Uses of article টপিকসমূহও পড়তে হবে।
এক্ষেত্রে ৫ম থেকে ১০ শ্রেণির বোর্ড বই থেকে প্রস্তুতি নিলে আপনার জন্য সুবিধা হবে।
গণিতঃ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ভালো করতে হলে আপনাকে গণিত বিষয়টিতে অবশ্যই ভালো করতে হবে। গণিত বিষয়ে নিয়মিত চর্চা করে গণিতের সমস্যা সমাধানের গতি এবং নিজের আত্মবিশ্বাস দুটোই বাড়িয়ে নেবেন। তাহলে আপনাকে পরীক্ষার হলে গণিতের সমস্যা সামাধানের পেছনে বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না। এক্ষেত্রে ইউটিউবের গণিত বিষয়ক ভালো ভালো চ্যানেলের ভিডিও দেখে কিছু কৌশল শিখতে পারলে বিশেষ উপকার পাবেন।
প্রস্তুতির সময় অন্যান্য বিষয়ের মতোই গণিত বিষয়েও বিগত বছরসমূহের প্রশ্ন আগে সমাধান করবেন। শতকরা, সুদকষা, লসাগু, গসাগু, লাভ-ক্ষতি, ঐকিক নিয়ম, গড়, সূচক, অনুপাত-সমানুপাত, বাস্তব সংখ্যা, লগারিদম, উৎপাদকে বিশ্লেষণ, বর্গ ও ঘনের মান নির্ণয়, সমীকরণ, পরিমিতি, ত্রিকোণমিতি এবং জ্যামিতির মৌলিক টপিকসমূহ বিশেষ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
গণিত চর্চার জন্য ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির গণিত বোর্ড বই আপনার জন্য সহায়ক হবে।
সাধারণ জ্ঞানঃ চূড়ান্ত পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান অংশ থেকে বাংলাদেশ বিষয়ক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক, চলতি ঘটনাবলি এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, পরিবেশ ও রোগব্যাধি-সম্পর্কিত মৌলিক জ্ঞান বিষয়ক প্রশ্ন এসে থাকে।
বাংলাদেশ বিষয়ক প্রশ্নের মধ্যে বাংলাদেশের ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্রব্যবস্থা, জাতীয় দিবস, অর্থনীতি, ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, সভ্যতা ও সংস্কৃতি, শিক্ষা, বিখ্যাত স্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিভিন্ন ধরনের সম্পদ যেমন– কৃষি, শিল্প, বন, পানি– ইত্যাদি টপিকসমূহ থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। তাই এই টপিকসমূহের উপর জোর দিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়ের ক্ষেত্রে সিলেবাসে থাকা সব টপিক থেকেই কম-বেশি প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। তাই আন্তর্জাতিক বিষয়ের ক্ষেত্রে কোন টপিককেই আসলে অবহেলা করার কোন জায়গা নেই। তবে আন্তর্জাতিক চলমান বহুল আলোচিত বিষয় এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট দেশ, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির উপর বেশি মনোযোগ দেয়া জরুরি।
সাধারণ জ্ঞান বিভাগে দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান (পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, সাধারণ রোগব্যাধি ও তার চিকিৎসা, খাদ্য ও পুষ্টি, আবিষ্কার ও আবিষ্কারক এবং জলবায়ু ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয় থেকেও প্রশ্ন এসে থাকে। এই টপকিসমূহে প্রস্তুতির জন্য বিসিএস এবং অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার জব সল্যুশন করলে আপনার প্রস্তুতি যথাযথ হয়ে উঠবে।
একটা বিষয় মনে রাখবেন, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য যতো বেশি শিক্ষক নিবন্ধন মডেল টেস্ট দিতে পারবেন ততোই চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য আপনার প্রস্তুতি নিঁখুত হবে।
আপনার এই প্রস্তুতিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবার জন্য সব সময় প্রস্তুত আছে Live MCQ অ্যাপ। যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য Live MCQ-ই বাংলাদেশের সর্ব প্রথম ও সর্ব বৃহৎ অনলাইন প্লাটফর্ম।
প্লে-স্টোর বা অ্যাপ-স্টোর থেকে Live MCQ অ্যাপটি ডাউনলোড করবার পর আপনার Gmail অথবা Facebook একাউন্টের মাধ্যমে লগ-ইন করুন। এটুকু করলেই Live MCQ অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ তৈরি অবস্থায় পাবেন। এরপর আপনার জন্য সুবিধাজনক প্যাকেজটি নিয়ে আপনার NTRCA-এর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিপারেশন ঘরে বসেই নিতে পারবেন খুবই সহজে।
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস
আপনি যদি প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তাহলে আপনাকে আপনার ঐচ্ছিক বিষয়ের উপর ১০০ নম্বরের ৩ ঘণ্টার একটি লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এটি NTRCA কর্তৃক শিক্ষক নিবন্ধন কার্যক্রমের পরীক্ষা পদ্ধতির ২য় ধাপ। এক্ষেত্রে স্কুল পর্যায়, স্কুল পর্যায়- ২ এবং কলেজ পর্যায়ের জন্য আলাদা আলাদা সিলেবাস অনুসরণ করতে হয়। পর্যায়ভিত্তিক এই সিলেবাসসমূহ নিম্নরূপ,
স্কুল পর্যায় লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস
শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষায় আপনার প্রাপ্ত নম্বর ঠিক করে দেবে আপনি একজন শিক্ষক হিসাবে নিবন্ধিত হতে পারবেন কি না। তাই লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে দিতে হবে বিশেষ গুরুত্ব। এ কারণে সবার আগে স্কুল পর্যায় লিখিত পরীক্ষার সিলেবাসটি জানতে হবে ভালোভাবে।
স্কুল পর্যায় ২ (ইবতেদায়ী শিক্ষক / জুনিয়র শিক্ষক) লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস
ট্রেড ইন্সট্রাক্টর, ইবতেদায়ী মৌলভী, ইবতেদায়ী শিক্ষক (সাধারণ), ইবতেদায়ী ক্কারী পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্যে যারা প্রিলি পরীক্ষায় কৃতকার্য হবেন তারাই এই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
কলেজ পর্যায় (প্রভাষক) লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস
আপনি বেসরকারি কলেজসমূহের প্রভাষক, ইন্সট্রাক্টর (টেক) ও ইন্সট্রাক্টর (নন টেক) ও প্রদর্শক পদের একজন আবেদনকারী হয়ে থাকলে প্রিলিমিনারি পাশের পর আপনাকে কলেজ পর্যায় (প্রভাষক) লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
বিগত সালের শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ভালো করতে চাইলে অবশ্যই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রশ্ন সম্পর্কে ধারনা থাকা আবশ্যক। বিগত সালের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রশ্নগুলোর সমাধান এবং ৩৫ থেকে ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নগুলোর সমাধান করলে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করা যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষার নির্ভুল ব্যাখ্যা সহ প্রশ্ন সমাধান দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষার নির্ভুল ব্যাখ্যা সহ প্রশ্ন সমাধান দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি যেভাবে শুরু করবেন
শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি আপনাকে মনে রাখতে হবে সেটি হচ্ছে, লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই কিন্তু চূড়ান্ত নিবন্ধন তালিকা তৈরি করা হবে। অর্থ্যাৎ প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আপনার প্রাপ্ত নম্বর (অবশ্যই পাস নম্বর) আপনাকে শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষায় ডাক পেতে সাহায্য করবে। আর শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষায় আপনার প্রাপ্ত নম্বর আপনাকে একজন শিক্ষক হিসাবে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে নিবন্ধিত হতে সাহায্য করবে। তাই খুবই গুরুত্ব সহকারে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে।
স্কুল পর্যায় শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি, স্কুল পর্যায় ২ (ইবতেদায়ী শিক্ষক / জুনিয়র শিক্ষক) লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং কলেজ পর্যায় (প্রভাষক) লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবার ক্ষেত্রে আপনাকে মোটামুটি একই রকমের কৌশল অবলম্বন করতে হবে। এই প্রস্তুতি শুরু করবার জন্য প্রথমেই আপনাকে আপনার পর্যায়ভিত্তিক সিলেবাসটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ভালো ভাবে দেখে নিতে হবে। তারপর একে একে নিচের কৌশলসমূহ অবলম্বন করলে আপনার শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি খুব ভালো ভাবেই সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যায়।
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য করনীয় কৌশলসমূহ
- আপনি যে বিষয়ের শিক্ষক হিসাবে নিবন্ধিত হতে চান সেই বিষয়ের উপরই আপনার লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে। তাই আপনার ঐচ্ছিক বিষয়ের সিলেবাসের সাথে বিগত বছরের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ মিলিয়ে গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলি নোট করুন।
- নোট করা টপিকসমূহ মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের মৌলিক বই থেকে পড়ুন। এক্ষেত্রে আর অন্য কোন বই না পড়লেও চলবে।
- নিয়মিত লেখার মাধ্যমে লেখার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করুন। হাতের লেখা সুন্দর না হলেও চলবে। কিন্তু লেখা যেন পড়া এবং বোঝা যায় এমন স্পষ্ট হতে হবে।
- চূড়ান্ত পরীক্ষায় কোন প্রশ্নের উত্তর না করে চলে আসবেন না।
- প্রশ্নপত্রের রচনামূলক প্রশ্ন এবং সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন দুটি অংশেই বিকল্প প্রশ্ন বেছে নেবার সুযোগ থাকে। তাই প্রশ্নের উত্তর করবার বিষয়ে আপনার হাতে থাকা প্রশ্নসমূহের মধ্য থেকে যে প্রশ্নের উত্তর আপনি কম সময়ে গুছিয়ে লিখতে পারবেন সেই প্রশ্ন বেছে নিন।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বইয়ের তালিকা
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে আপনার প্রয়োজনীয় বইয়ের তালিকাটি দেখুন।
বাংলা ভাষাঃ
- ৯ম-১০ম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বই।
- Live MCQ বাংলাবিদ ব্যাকরণ – মেহেদী ধ্রুব
- Live MCQ প্রদত্ত পিডিএফ।
উল্লেখ্য যে Live MCQ বাংলাবিদ ব্যাকরণ বই টি পড়লে NTRCA সহ সকল চাকরির প্রস্তুতির জন্য বাংলা ভাষা অংশের প্রস্তুতির জন্য অন্য কোন বই পড়ার প্রয়োজন নেই। Live MCQ বাংলাবিদ ব্যাকরণ বইটিতে যা যা থাকছে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
বাংলা সাহিত্যঃ
- নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র বোর্ড বই।
- লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী- হুমায়ুন আজাদ।
- শীকর গ্রন্থ সমালোচনা- মোহসিনা নাজিলা।
- Live MCQ প্রদত্ত পিডিএফ।
ইংরেজিঃ
- Cliff’s Toefl বইয়ের গ্রামার পার্ট।
- Live MCQ প্রদত্ত পিডিএফ।
- Live MCQ English Wizard Grammar – Saleh Ahmed
Live MCQ English Wizard Grammar বই টি পড়লে ইংরেজি গ্রামার বিষয়ক আর কোন বই পড়ার প্রয়োজন পড়বে না। Live MCQ English Grammer বইটিতে যা যা থাকছে জানতে এখানে ক্লিক করুন। সাহিত্য বিষয়ক প্রশ্ন খুব একটা আসতে দেখা যায় না। তাই এ বিষয়ে খুব বেশি সময় না দিলেও চলবে।
গণিতঃ
- ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির বোর্ড বই।
- Live MCQ প্রদত্ত পিডিএফ।
সাধারণ জ্ঞানঃ
শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান বিভাগে বাংলাদেশ বিষয়, আন্তর্জাতিক বিষয়, বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার বিষয়ক প্রশ্ন এসে থাকে। তাই সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে পড়ার পরিমানটাও তুলনামূলকভাবে একটু বেশিই হয়।
- বাংলাদেশ বিষয়, আন্তর্জাতিক বিষয়, বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার বিষয়ের জন্য যেকোনো প্রকাশনীর ভালো মানের বই।
- সাম্প্রতিক তথ্যের জন্য Live MCQ অ্যাপের Daily NewsPicker, Weekly Bulletin এবং Dynamic Info Panel ব্যবহার করুন।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ভাইভা পরীক্ষায় ভালো করার উপায়
একজন শিক্ষক হিসাবে নিবন্ধিত হবার পথে লিখিত পরীক্ষার মতো মৌখিক পরীক্ষাও (ভাইভা) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মৌখিক পরীক্ষাতে মোট নম্বর হচ্ছে ২০। এর মধ্যে আপনার একাডেমিক শিক্ষাজীবনের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ১২ নম্বর এবং ভাইভার মাধ্যমে বাকি ৮ নম্বর পাবেন। স্কুল পর্যায়, স্কুল পর্যায়- ২ এবং কলেজ পর্যায়- তিনটি লেভেলেই মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর হচ্ছে ৪০ শতাংশ। ভাইবাতে প্রাপ্ত নম্বর জাতীয় মেধাতালিকা তৈরিতে অন্তুর্ভুক্ত না হলেও আপনার সনদে উল্লেখ করা থাকবে। ভাইভাতে কৃতকার্য হবার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে আপনাকে। আর এই কৌশলসমূহ হচ্ছে,
কাগজপত্রঃ
আবেদন করার সময় আপনি যেসকল তথ্য দেবেন ভাইবাতে দেখানো আপনার কাগজপত্রের সাথে যেন তার কোন অমিল না থাকে। ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করলে আপনি কোনভাবেই ভাইভাতে কৃতকার্য হতে পারবেন না।
ভাইভাতে যেসকল কাগজপত্র দেখাতে হয় সেসমূহ হচ্ছে,
- মৌখিক পরীক্ষার মূল প্রবেশপত্র।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের মূল কপি।
- স্নাতক পর্যায়ের মূল মার্কশিট।
- সহকারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে আবেদনে উল্লেখিত ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্য স্নাতক পর্যায়ের এডমিট কার্ড।
- কোনো প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে তার সনদের মূল কপি।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি।
- এছাড়া কর্তৃপক্ষের চাওয়া যেকোনো সনদের মূল কপি।
বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতিঃ
শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভাতে সাধারণত বেশির ভাগ প্রশ্ন করা হবে আপনার ঐচ্ছিক বিষয়, লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস এবং প্রশ্ন থেকে। এ কারণে বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে হবে খুবই গুরুত্বের সাথে। আপনার স্নাতক পর্যায়ের আব্যশিক বিষয়সমূহ ভালোভাবে পড়তে হবে। আর আপনি যে পর্যায়ের শিক্ষক হতে চান, সেই পর্যায়-সংশ্লিষ্ট আপনার বিষয়ের ওপর অবশ্যই ভালোভাবে জানতে হবে আপনাকে। কারণ আপনি যে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করবেন, সেই বিষয়ে আপনার দক্ষতা না থাকলে ভাইভাতে কৃতকার্য হতে পারবেন না।
শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভাতে ভালো ফলাফল করতে চাইলে আপনি অবশ্যই নিচের করনীয়সমূহ অনুসরণ করুন।
- আপনার নিজের সম্পর্কে এবং নিজ জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ও আপনার অনার্সে পঠিত বিষয় সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা নিয়ে ভাইবা বোর্ডে ঢুকবেন। কারণ যেকোনো ভাইবা বোর্ডেই সবার প্রথমে সাধারণত এই বিষয়সমূহ থেকেই প্রশ্ন করা হয়ে থাকে।
- ভাইবাতে আপনার পড়াশোনা ও জানা-বোঝার বিষয়ে প্রশ্ন করবার আগে বোর্ড সদস্যরা আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, গেটআপ বা পোশাক-পরিচ্ছদ এবং উপস্থাপনা কৌশল বা কথা বলার ভঙ্গি লক্ষ্য করবেন। তাই এ সকল বিষয়ে মনোযোগী হোন।
- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান, অর্থনীতি, ভৌগলিক অবস্থান, কৃষি, শিক্ষানীতি, শিক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন সূচক, খেলাধুল, সংস্কৃতি, গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক স্থান, জাতীয় স্থাপনা, স্থাপত্য ও স্থপতি ইত্যাদি বিষয়সমূহও ভালোভাবে জানতে হবে আপনাকে।
- বর্তমান সরকারের গ্রহণ করা বিভিন্ন মেগা প্রকল্প, সফলতা ইত্যাদি বিষয়েও সম্যক ধারণা নিয়ে ভাইভা বোর্ডে ঢুকবেন। সাথে রূপকল্প-২০৪১, এসডিজি, জিডিপি ইত্যাদি বিষয়সমূহও জেনে রাখবেন।
- বর্তমানে ঘটে চলা দেশীয় ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়েও জানতে হবে আপনাকে।
- আপনাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী এবং বিনয়ী হতে হবে। তবে কোনোভাবেই ওভার কনফিডেন্ট হওয়া যাবে না।
- ভাইভা শুরুর কিছুদিন আগে আপনি আপনার আবেদনে দেয়া মোবাইল ফোনে মেসেজ পাবেন। এই মেসেজে আপনার ভাইভার তারিখ ও বোর্ড নম্বর দেয়া থাকবে। ভাইভা শুরুর অন্তত ১ ঘণ্টা আগে বোর্ডের সামনে উপস্থিত হবার চেষ্টা করবেন। সেখানে আপনার সিরিয়াল দেখে বুঝতে পারবেন আপনার ভাইভা কখন ও কতজনের পরে হবে। উপস্থিতির স্বাক্ষর করবার সময় আপনি আবেদন ফরমে যে স্বাক্ষর দিয়েছিলেন হুবহু সেটাই দেবেন।
- ভাইভা রুমে ঢুকবার আগে ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করবার সময় শান্ত ও ভদ্রভাবে অপেক্ষা করবেন। লক্ষ্য করলে দেখবেন ওয়েটিং রুমে সিসি ক্যামেরা আছে। অর্থ্যাৎ আপনার ভাইভা শুরু হবার অনেক আগে থেকেই আপনাকে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
- ভাইবা বোর্ডের মুখোমুখি হবার জন্য আপনার সিরিয়াল আসলে দরজা থেকেই অনুমতি নিয়ে রুমে ঢুকবেন, আত্মবিশ্বাসী পদক্ষেপে এগিয়ে গিয়ে টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে আপনার ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সালাম, আদাব ইত্যাদি বলবেন, অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত বসবেন না, কোন কারণে বোর্ডের সদস্যরা বসবার কথা বলতে দেরি করলে বিনয়ের সাথে বসবার জন্য তাদের অনুমতি চাইবেন, তারা অনুমতি দিলে তারপর বসবেন। বসবার পর ভাইবা বোর্ডের সকলের সাথে হাসিমুখে আই কন্ট্রাক্ট করবার চেষ্টা করবেন।
- ভাইবা চলাকালীন পুরোটা সময় মুখে স্মিত হাসি ধরে রাখার চেষ্টা করবেন।
- ভাষায় আঞ্চলিকতা পরিহার করতে পারলে ভালো হয়।
- যেকোনো প্রশ্ন মন দিয়ে পুরোটা শুনে তারপর খুব সামান্য সময় ভেবে নিয়ে উত্তর দিতে শুরু করবেন। প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের মাঝেই কথা বলবেন না। হড়বড় করে কথা বলবেন না।
- সব প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে এমন মনোভাব নিয়ে ভুল বা অনুমান নির্ভর কথা বলবেন না। কোন প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা না থাকলে সেটি বিনয়ের সাথে স্বীকার করে নেবেন।
- বেশি পাণ্ডিত্য দেখাতে যাবেন না। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে প্রশ্নের উত্তর দিতে খুব বেশি দেরিও করবেন না।
- টেনশন ফ্রি থাকার চেষ্টা করবেন।
- নিজের রাজনৈতিক দর্শন প্রকাশ করবেন না।
- কোনভাবেই ভাইবা বোর্ডে থাকা কারো সাথে তর্কে জড়াবেন না। তারা আপনাকে কোন বিষয়ে ভুল প্রতিপন্ন করলে সেই বিষয়ে আপডেট তথ্যটি আপনার জানা নেই এবং আপনি জেনে নেবেন বলে তাদের কথাই মেনে নেবেন।
- ইংরেজিতে প্রশ্ন করা হলে ইংরেজিতে উত্তর দেবেন। বাংলায় প্রশ্ন করে ইংরেজিতে উত্তর দিতে বললে সেটিই করবেন, বাংলায় উত্তর দেবার অনুমতি চাইবেন না।
- ভাইবা বোর্ডে থাকা একজনের প্রশ্নের উত্তর করবার মাঝেই আরেকজন কোন প্রশ্ন করেলে প্রথমজনের অনুমতি নিয়ে দ্বিতীয়জনের প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
- কোন প্রশ্ন ঠিক মতো শুনতে না পেলে বিনীতভাবে সেটি জানাবেন।
- আপনার একাডেমিক পড়াশোনার রেজাল্ট কোন কারণে ভালো হয়ে না থাকলে সে বিষয়ে একটা গ্রহণযোগ্য কারণ তৈরি করে রাখবেন।
- আপনার কোন মুদ্রাদোষ থেকে থাকলে সেই বিষয়ে সচেতন হবার চেষ্টা করুন।
- যতো পারেন মক বা মডেল ভাইবা দিন।
ভাইভা বোর্ডঃ
সাধারণত তিনজনের বেশি সদস্যের সমন্বয়ে ভাইভা বোর্ড গঠিত হয়। এই সদস্যদের মধ্যে NTRCA চেয়ারম্যানের বোর্ড ছাড়া বাকি সব বোর্ডে উপসচিব বা যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা এবং NTRCA কর্মকর্তারা থাকেন। এছাড়া একজন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ বা অভিজ্ঞ শিক্ষক প্রতিটি বোর্ডে থাকেন।
চূড়ান্ত ফলাফলঃ
ভাইভার পর আপনার মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ও সনদের নম্বর যোগ করে আপনাকে উত্তীর্ণ বা অনুত্তীর্ণ ঘোষণা করা হবে। আপনি উত্তীর্ণ হয়ে থাকলে ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে আপনাকে জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আপনি NTRCA-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনার রোল নম্বর দিয়ে মেধাক্রম এবং সিরিয়াল নম্বর দেখতে পারবেন। আপনি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক চাকরির জন্য একজন শিক্ষক হিসাবে যোগ্য এই মর্মে NTRCA কর্তৃপক্ষ আপনাকে একটি শিক্ষক নিবন্ধন সনদ প্রদান দেবে। এই সনদের মাধ্যমে আপনি ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির বিপরীতে অন্যান্য প্রার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাবেন।
শেষ কথাঃ
লক্ষ লক্ষ প্রার্থী শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য আবেদন করলেও এখানে আপনাকে আসলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে আপনার নিজের সাথেই। প্রিলিতে পাস মার্ক তোলার পাশাপাশি লিখিত এবং ভাইভাতে তুলে নিতে হবে যতো বেশি পারা যায় ততো বেশি নম্বর। আর এ কারণেই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে কোন গাফিলতি না করে আজ থেকেই প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম এবং সর্ববৃহৎ অনলাইন প্লাটফর্ম Live MCQ-এ আপনার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিন।
FAQ
উত্তরঃ সাধারণত যেকোনো বিষয়ে কোনো তালিকায় নিজের নাম ওঠানোর প্রক্রিয়াই নিবন্ধন। যেমন, আপনি যদি একজন ক্রিকেট খেলোয়াড় হন তাহলে কোনো ক্রিকেট টিমে খেলোয়াড় হিসাবে আপনার নাম অন্তর্ভুক্ত করাটাই নিবন্ধন।
একই ভাবে বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিসহ প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একজন যোগ্য শিক্ষক হিসাবে চাকরি করতে চাইলে আপনাকে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার নাম শিক্ষক হিসাবে তালিকাভুক্ত করতে পারবেন সেটাই শিক্ষক নিবন্ধন।
আমাদের দেশে এনটিআরসিএ (NTRCA) শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পরিচালনার মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য যোগ্য শিক্ষক খুঁজে বের করে।
বাংলাদেশে কোন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই নিবন্ধন ছাড়া চাকরি পাওয়া সম্ভব না।
উত্তরঃ NTRCA কর্তৃক শিক্ষক হিসাবে নিবন্ধিত হবার বয়স সীমা সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর পর্যন্ত।
উত্তরঃ NTRCA কর্তৃক শিক্ষক হিসাবে নিবন্ধিত হবার বয়স সীমা সর্বনিম্ন ১৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর পর্যন্ত।
উত্তরঃ শিক্ষক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে স্কুল পর্যায়-২ বলতে মাধ্যমিক কারিগরি ও ভোকেশনাল স্কুল, এবতেদায়ী ও ভোকেশনাল মাদ্রাসা, বিএম ইনস্টিটিউট এবং ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটসমূহকে বোঝানো হয়।
ইবতেদায়ী শিক্ষক বলতে ইবতেদায়ী মাদ্রাসাসমূহে কর্মরত শিক্ষকদেরকে বোঝানো হয়। ইবতেদায়ী শিক্ষকেরা ছাত্র/ছাত্রীদেরকে পবিত্র কুরআন শরিফ পড়ানো ও মুখস্থ করানোর উপর জোর দিয়ে থাকেন। এছাড়া ইসলামের মৌলিক বিষয়, আরবি, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ইতিহাস, ভূগোল ও সাধারণ বিজ্ঞান বিষয়েও ইবতেদায়ী মাদ্রাসাসমূহে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ইবতেদায়ী মাদ্রাসাসমূহের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৪ সালে।
উত্তরঃ সম্মানিত ইবতেদায়ী শিক্ষক, মৌলভি ও ক্কারীগণ ১৬তম বেতন গ্রেড এবং ৯৩০০ টাকা বেতন স্কেলে বেতন পেয়ে থাকেন।
উত্তরঃ ১ ঘন্টা সময়কালের ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষাতে পাস করতে হলে আপনাকে অবশ্যই অন্তত ৪০ নম্বর পেতে হবে। এই ৪০ নম্বরই শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় ডাক পাবার সর্বনিম্ন সীমা।
উত্তরঃ আগামী ১৫ মার্চ (শুক্রবার), ২০২৪ তারিখে সকাল ৯.৩০ টা হতে সকাল ১০.৩০ টা পর্যন্ত স্কুল এবং স্কুল পর্যায়-২ এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হবে। এবং ওই একই দিনে বেলা ৩.৩০ টা হতে ৪.৩০ টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের প্রিলি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
উত্তরঃ ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার কোনো বিজ্ঞপ্তি এখনো প্রকাশ হয়নি। ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন কার্যক্রম শেষে ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ কার হতে পারে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতেই পরীক্ষার সময়সূচী দেয়া থাকবে বলে আশা করা যায়।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সর্বমোট ৪০ পেলেই পাশ,নাকি বিষয়ভিত্তিক কোনো নম্বর বন্টণ আছে?
বিষয়ভিত্তিক আলাদা নাম্বার নেই।
কমপক্ষে ৪০ নম্বর পেলেই পাশ করবেন।
তবে, যেহেতু প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নেগেটিভ মার্কস রয়েছে, তাই সেইফ থাকার জন্য ৫০ – ৬০টি প্রশ্নের উত্তর করা উচিত।
[…] […]
[…] […]
ইন্সট্রাক্টর (নন-টেক)হিসাববিজ্ঞান এর লিখিত প্রশ্ন আর লেকচার জেনারেল একই প্রশ্ন হয়?
প্রদর্শকের জন্য আলাদা সিলেবাস নেই। প্রভাষকের সিলেবাস অনুসারে প্রস্তুতি নিন।
প্রভাষক (লিখিত) পাশ মার্ক কত?
নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষায় কাটমার্কের ভিত্তিতে পাশ করানো হয়।
[…] […]
[…] আরও পড়ুনঃ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তু… […]
লিখিত ও ভাইভার নম্বর যোগ করে কি মেধা তালিকা প্রণয়ন করে নাকি শুধুমাত্র লিখিতের উপর ভিত্তি করে করে?
মোট ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মধ্যে একাডেমিক পরীক্ষার ফলের জন্য ১২ নম্বর এবং ভাইভায় থাকে ৮ নম্বর। স্কুল ও কলেজ উভয় ক্যাটাগরিতেই পাস নম্বর ৪০ শতাংশ পেতে হয়।
[…] আরও পড়ুনঃ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তু… […]
ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) ব্যবস্থাপনা এই বিষয়ে কোনো লিখিত পরীক্ষার বই আছে। নিবন্ধন পরীক্ষার লিখিত জন্য।
আমাদের এখানে থেকে সরাসরি কোনো বই সাজেস্ট করা হয় না।আপনি চাইলে বাজারের সমৃদ্ধ মানের প্রকৌশল প্রস্তুতি বেজড যেকোনো বই হতে প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
(“নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাজীবনে যেকোন মাত্র একটি তৃতীয় বিভাগ বা এর সমমনা জিপিএর ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে। এর বেশি তৃতীয় বিভাগ থাকলে আপনি এই পরীক্ষায় অংশ নেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। “)
এটার মানে কি একটু বুঝিয়ে বলবেন?
শিক্ষাজীবনে জিপিএ ৫ এর মাঝে ২.৫০ এর নিচে কিংবা সিজিপিএ ৪.০০ এর মাঝে ২.০০ এর নিচে একাধিক বার ৩য় বিভাগ থাকলে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। এটিই বুঝানো হয়েছে।
আমি বিএ পাস করেছি । আমি কি স্কুল পর্যায়ে বাংলা পদে নিবন্ধন পরীক্ষা দিতে পারব
স্কুল পর্যায় বাংলায় আবেদনের জন্য অবশ্যই যেকোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩০০ নম্বরের বাংলাসহ অনার্স অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন থাকতে হবে।
বিস্তারিত –
https://elasticbeanstalk-ap-southeast-1-051040323559.s3.amazonaws.com/livemcq-files/media/documents/ntrca.pdf
আমি এইচএসসি পাস করেছি , আমি স্কুল পর্যায়-২ এ আবেদন করতে পারবো এটা বুঝতে পেরেছি কিন্তু একটা কথা আমি বুঝতে পারছি না স্কুল পর্যায়ে-২ জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয় ঠিক আছে কিন্তু আমার তো এইচএসসি পাস তাহলে আমি কোন সাবজেক্টের উপরে ভিত্তি করে লিখিত পরীক্ষার প্রিপারেশন নিবো, স্কুল পর্যায়ে দুইয়ে সাধারণত আরবি নিয়ে যারা পড়েছে তাদের প্রাধান্য বেশি দেখছি কিন্তু আমি জেনারেল থেকে এইচএসসি পাস করেছি , তাহলে আমি কি এপ্লাই করতে পারবো আর যদি এপ্লাই করতে পারি ও লিখিত পরীক্ষার জন্য কোন সাবজেক্টের উপরে প্রিপারেশন নিবো বুঝতে পারছি না কিছু যদি বিস্তারিত একটু বলতেন উপকার হতো ।
আপনি জুনিয়র শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আপনি যেহেতু জেনারেল থেকে এইচএসসি দিয়েছেন সেক্ষেত্রে ‘ট্রেড ইন্সট্রাক্টর’ অথবা ‘এবতেদায়ী শিক্ষক (সাধারণ)’ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
উল্লেখিত পদের জন্য স্কুল পর্যায় – ২ এর লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ফলো করে আপনার যে সকল বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে তা পেয়ে যাবেন।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার (স্কুল পর্যায় – ২) সিলেবাস
স্নাতকে pharmacy বিষয় নিয়ে পড়া ছাত্রী কি NTRCA তে
আবেদন করতে পারবে?
স্নাতক পর্যায়ে পদার্থবিজ্ঞান অথবা রসায়ন বিজ্ঞান কোর্স পড়ে থাকলে সহকারী শিক্ষক (ভৌত বিজ্ঞান) পদে আবেদন করা যাবে।
Thanks
Welcome.
ইংরেজি ব্যাকগ্রাউন্ড এর শিক্ষার্থী হয়েও ইংরেজি ছাড়া অন্য কোন বিষয়ের জন্য নিবন্ধন এর আবেদন করা যাবে কী?সঠিক ইনফরমেশন পেলে কৃতার্থ হব
যদি আপনার স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ইংরেজি বিষয়ের হয়, তবে সাধারণভাবে আপনাকে ইংরেজি বা ইংরেজি সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ের জন্য আবেদন করতে হবে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে, ইংরেজি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড় থাকতে পারে কিন্তু সেটা নির্ভর করবে আপনার আবেদনকৃত বিষয় এবং কর্তৃপক্ষের নিয়মের উপর।
ধন্যবাদ।