ব্লগBlogবিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা কি জেনে নিন

বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা কি জেনে নিন

বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্যতম মর্জাদাপূর্ণ একটি চাকরির নাম বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস)। একজন বিসিএস ক্যাডার হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করার জন্য একজন প্রার্থীকে প্রতিযোগিতা করতে হয় হাজারো প্রার্থীর সাথে। তবুও এমন হতে দেখা গেছে একজন প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষার সবগুলো ধাপ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও বিসিএস ক্যাডার হতে পারেন নি। যার কারন হচ্ছে বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা সম্পর্কে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগে না জানা।

বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা বলতে আমরা শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতা বুঝলেও শারীরিক যোগ্যতা, প্রার্থীর বয়স, নাগরিকত্ব ইত্যাদি যোগ্যতা রয়েছে। যেসবের একটিতেও যদি কোন প্রার্থী অযোগ্য বলে বিবেচিত হন তাহলে তাঁর বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যেতে পারে।

বিসিএস ক্যাডার চয়েস লিস্ট তৈরি করার আগেই বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা সম্পর্কে জানা একজন প্রার্থীর জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই আর্টিকেল টি পড়ার পর বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা সম্পর্কে সকল কিছু জানতে পারবেন।

বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা

বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা কি কি ?

বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা খুব বেশি জটিল কিছু নয়। খুব বড় ধরনের কোন সমস্যা না থাকলে বেশিরভাগ বিসিএস ক্যাডার পদগুলোর জন্য শুধুমাত্র শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়েই বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্যতা অর্জন করা যায়। তবে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যে যোগ্যতাগুলো একদম না থাকলেই নয় তা নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল। এই যোগ্যতা ৫ টির মধ্যে রয়েছে –

১। শিক্ষাগত যোগ্যতা
২। শারীরিক যোগ্যতা
৩। বয়সসীমা
৪। নাগরিকত্ব
৫। স্বাস্থ্যগত যোগ্যতা

নিম্নে এই যোগ্যতাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

১। বিসিএস পরীক্ষার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা:

বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা টেকনিক্যাল / প্রফেশনাল ক্যাডার ভেদে ভিন্ন রকম হলেও শিক্ষার স্তর টি মূলত সবগুলোতে একইরকম। এক্ষেত্রে প্রার্থীকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি তে উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক।

  • বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যেকোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী (অনার্স) বা এইচ.এস.সি পরীক্ষার পর ৪ বছর মেয়াদী সমমানের ডিগ্রী অর্জন করতে হবে। যদি কোন প্রার্থী এইচ.এস.সি পরীক্ষা পাশের পর ৩ বছর মেয়াদী ডিগ্রী বা সমমানের কোর্স করেন তাহলে তাকে ডিগ্রী পাশের পর স্নাতকোত্তর পাশ (মাস্টার্স পাশ) করতে হবে। এবং এর পরেই এই প্রার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।
  • প্রার্থীর শিক্ষা জীবনের কোন স্তরেই একাধিক ৩য় বিভাগ / ৩য় শ্রেণি সমমানের জিপিএ থাকলে তিনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। অর্থাৎ এস.এস.সি, এইচ.এস.সি এবং অনার্স বা সমমানের এই ৩ টি পরীক্ষা মিলিয়ে ১ টির বেশি ৩য় বিভাগ / ৩য় শ্রেণির নম্বর থাকলে সেই প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন না।

বর্তমানে জি.পি.এ সিস্টেম চালু হওয়ায় ১ম, ২য়, ৩য় (বিভাগ) এবং (শ্রেণি) নিয়ে অনেক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিসিএস পরীক্ষার জন্য কত পয়েন্ট লাগে এ নিয়ে একটি কনফিউশন তৈরি হতে পারে। বিষয় টি আরও সহজ ভাবে নিচের টেবিলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হল।

এস.এস.সি / এইচ.এস.সি এর জন্য জিপিএ বের করার পদ্ধতি

শ্রেণি / বিভাগজি.পি.এ
প্রথম শ্রেণি / বিভাগজি.পি.এ ৩.০০ বা তদূর্ধ
দ্বিতীয় শ্রেণি / বিভাগজি.পি.এ ২.০০ থেকে ২.৯৯ পর্যন্ত
তৃতীয় শ্রেণি / বিভাগজি.পি.এ ১.০০ থেকে ১.৯৯ পর্যন্ত

অনার্স বা সমমানের পরীক্ষার ক্ষেত্রে জিপিএ বের করার পদ্ধতি

শ্রেণি / বিভাগজি.পি.এ
প্রথম শ্রেণি / বিভাগজি.পি.এ ৩.০০ বা তদূর্ধ
দ্বিতীয় শ্রেণি / বিভাগজি.পি.এ ২.২৫ থেকে ২.৯৯ পর্যন্ত
তৃতীয় শ্রেণি / বিভাগজি.পি.এ ১.৬৫ থেকে ২.২৫ পর্যন্ত

২। বিসিএস পরীক্ষার জন্য শারীরিক যোগ্যতা:

বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল বোর্ডের সম্মুখে হাজির করা হয়। মেডিকেল বোর্ডে শারীরিক যোগ্যতার মাপকাঠিতে একজন প্রার্থী উত্তীর্ণ না হলে তিনি বিসিএস ক্যাডার হতে পারেন না। তাই বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা হিসেবে প্রার্থীর শারীরিক যোগ্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীদের জন্য শারীরিক যোগ্যতা ভিন্ন হয়ে থাকে। আবার পুলিশ ও আনসার ক্যাডার এবং অন্যান্য ক্যাডারদের জন্যও শারীরিক যোগ্যতা ভিন্ন হয়ে থাকে। শারীরিক যোগ্যতার প্রমাণের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রার্থীদের ওজন-উচ্চতা, বক্ষ পরিমাপ, দৃষ্টিশক্তি, মূত্র পরীক্ষা ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।

বিভিন্ন ক্যাডার পদে পুরুষ ও নারী প্রার্থীদের ওজন, উচ্চতা ও বক্ষের পরিমাপের যোগ্যতা:

পুরুষ প্রার্থীদের জন্য নূন্যতম উচ্চতা ও ওজন

ক্যাডারনূন্যতম উচ্চতানূন্যতম ওজন
বিসিএস পুলিশ / আনসার ক্যাডার১৬২.৫৬ সে.মি৫৪.৫৪ কেজি
অন্যান্য ক্যাডার১৫২.৪০ সে.মি৪৫ কেজি

নারী প্রার্থীদের জন্য নূন্যতম উচ্চতা ও ওজন

ক্যাডারনূন্যতম উচ্চতানূন্যতম ওজন
বিসিএস পুলিশ / আনসার ক্যাডার১৫২.৪০ সে.মি৪৫.৪৫ কেজি
অন্যান্য ক্যাডার১৪৭.৩২ সে.মি৪০.৪০ কেজি

প্রার্থীর বক্ষের পরিমাপের যোগ্যতা

জুতা সহ উচ্চতা (সেঃ মিঃ)পূর্ণ প্রসারণের মাধ্যমে বক্ষ
পরিমাপ (সেঃ মিঃ)
সর্বোচ্চ প্রসারণের মাত্রা (সেঃ মিঃ)
১৫২.৪০ হইতে ১৬৫.১০ সেঃ মিঃ এর নিম্নে৭৬.২০৫.০৮
১৬৫.১০ হইতে ১৭২.৭২ সেঃ মিঃ এর নিম্নে৭৮.৭৪৫.০৮
১৭২.৭২ হইতে ১৭৭.৮০ সেঃ মিঃ এর নিম্নে৮১.২৮৫.০৮
১৭৭.৮০ হইতে ১৮২.৮৮ সেঃ মিঃ এর নিম্নে৮৩.৮২৫.০৮
১৮২.৮৮ সেঃ মিঃ হইতে তদুর্ধ্ব৮৬.৩৬৫.০৮

উল্লেখিত উচ্চতা না থাকলে কোন প্রার্থী নিয়োগের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। তবে কোন প্রার্থীর বর্ণিত ওজন না থাকলে তিনি সাময়িক ভাবে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। এক্ষেত্রে ওজন কম হলে বাড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে Body Mass Index (BMI) এর মান আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উল্লেখ্য যে শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিধান সমূহ সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসরণ পূর্বক সম্পন্ন করা হবে।

প্রার্থীর দৃষ্টিশক্তির যোগ্যতা:

বিসিএস পরীক্ষার শারীরিক যোগ্যতার মধ্যে প্রার্থীর দৃষ্টিশক্তি জনিত যোগ্যতা অন্যতম। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা একটি প্রচলিত সমস্যা। তাই প্রার্থীদের সচরাচর একটি জিজ্ঞাসা থাকে যে চশমা ব্যাবহার করেন এমন প্রার্থীরা দৃষ্টিশক্তির সমস্যা নিয়ে বিসিএস ক্যাডার হওয়া যাবে কিনা। বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দৃষ্টিশক্তির যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য ৩ টি মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়। নিম্নে এই মানদণ্ড টি তুলে ধরা হল –

মানদণ্ড ১

দৃষ্টির ধরণডান চোখবাম চোখ
দূর দৃষ্টি৬/৬৬/৬
নিকট দৃষ্টি পঠন০.৬/টিআই/এন৫পঠন-০.৬/জেআই/এন৫

মানদণ্ড ২

দৃষ্টির ধরণডান চোখবাম চোখ
দূর দৃষ্টি৬/৬গ্লাস/চশমা ছাড়া ৬/৬০ এর নিম্নে নহে সংশোধিত হওয়ার পর চশমা সহ ৬/১২ এর নিম্নে নহে
নিকট দৃষ্টি পঠন০.৬/টিআই/এন৫পঠন-১/টি ২/এন৬

মানদণ্ড ৩

দৃষ্টির ধরণডান চোখবাম চোখ
দূর দৃষ্টিচশমা ছাড়া ৬/৬০ এর নিম্নে নহেচশমা/গ্লাস ছাড়া ৬/৬০ এর নিম্নে নহে এবং সংশোধিত হওয়ার পর চশমা সহ ৬/১২ এর নিম্নে নহে
নিকট দৃষ্টি পঠন০.৬/টিআই/এন৫পঠন-১/টি৪/এন৮

দৃষ্টিশক্তি জনিত যোগ্যতা কোন ভাবেই শিথিলযোগ্য নয়। তবে গ্লাস বা চশমা ব্যাবহারের পরে যদি প্রার্থীর দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকে তবে প্রার্থী দৃষ্টিশিক্তি জনিত যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হবেন। তবে প্রার্থী যদি বর্ণান্ধ হন অর্থাৎ যদি কোন রঙ সঠিক ভাবে ধরতে না পারেন তবুও তিনি দৃষ্টিশক্তির বিবেচনায় যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে সেক্ষেত্রে এই তথ্য উনার রিপোর্টে উল্লেখ থাকতে হবে।

৩। বিসিএস পরীক্ষার জন্য বয়সসীমা:

বিসিএস প্রস্তুতির শুরুতেই অনেক প্রার্থী বয়স নিয়ে চিন্তিত থাকেন। সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের নতুন বয়সসীমা এবং এবং বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা নিয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক:

  • সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য সাধারণ প্রার্থীদের বয়সসীমা ২১ থেকে ৩০ বছর।
  • মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, স্বাস্থ্য ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য এই বয়সসীমা এখন পর্যন্ত ৩২ বছর রাখা হয়েছে।
  • এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (পিএসসি) যে মাসে বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সে মাসের ১ তারিখ থেকে প্রার্থীর বয়স গণনা করা হয়।
  • স্বাস্থ্য ও কারিগরি শিক্ষা ক্যাডারের জন্য প্রার্থীদের বয়সসীমা আগেও ৩২ বছর ছিল এবং বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ীও এটি বহাল রয়েছে।
  • এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদপত্রে থাকা জন্মতারিখই প্রার্থীর আসল জন্মতারিখ এর প্রমাণ, হলফনামার মাধ্যমে বয়স প্রমাণের সুযোগ আর নেই।
  • বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চাকরির বয়স থাকাকালীন অবস্থায় একজন প্রার্থী যতবার ইচ্ছা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

৪। বিসিএস পরীক্ষার জন্য নাগরিকত্বের যোগ্যতা:

বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন কোন ব্যাক্তি বিসিএস পরীক্ষায় অংশহগ্রহন করতে পারবেন না। শুধু তাই নয় সরকারের পুর্বানুমতি ব্যাতিরেকে কোন প্রার্থী কোন বিদেশি নাগরিক কে বিবাহ করলে বা বিবাহ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইলে তিনি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

৫। বিসিএস পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যগত যোগ্যতা:

বিসিএস প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও একজন প্রার্থী বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন থেকে ছিটকে পরতে পারে যদি তিনি স্বাস্থ্যগত ভাবে ফিট না হন। তাই বিসিএস প্রস্তুতি শুরু করার পূর্বেই এই বিষয় টি জেনে নেওয়া খুবই প্রয়োজন। বিসিএস পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের পরবর্তীতে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রার্থীদের শারীরিক যোগ্যতা যাচাই সহ বিভিন্ন মেডিকেল টেস্ট করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়ে থেকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার এই ধাপগুলো নিম্নে দেওয়া হল:

(ক) শারীরিক যোগ্যতা যাচাই: এ পর্যায়ে পর্যায়েই প্রার্থীর উজন, উচ্চতা এবং বুকের মাপ পরিমাপ করা হয়।
(খ) দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা: এ পর্যায়ে উপরে উল্লেখিত দৃষ্টিশক্তি পরিমাপের মানদন্ড অনুসরণ করে প্রার্থীর চোখের দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করে দেখা হয়।
(গ) এক্স রে পরীক্ষা: এ পর্যায়ে সামনে এবং পিছন থেকে এক্স রে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীর ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
(ঘ) ডোপ টেস্ট: এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী কোন প্রকার মাদক সেবনের সাথে জড়িত কিনা এটি পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
(ঙ) রক্ত পরীক্ষা: স্বাস্থ্য পরীক্ষার এই পর্যায়ে প্রার্থীর রক্তে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীর শরীরে বিভিন্ন রোগ যেমন হেপাটাইটিস বি ও সি, এবং এইচআইভি এর উপস্থিতি আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখা হয়।

(চ) রক্তচাপ পরীক্ষা: এ পর্যায়ে প্রার্থীর রক্তচাপ বা ব্লাডপ্রেশার পরীক্ষা করে দেখা হয় তার উচ্চরক্তচাপ বা নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে কিনা।

আরও দেখুন: বিসিএস প্রস্তুতি যেভাবে শুরু করবেন

শেষকথা:

বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতার মাপকাঠিতে নিজেকে যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার একমাত্র লক্ষ্য যদি হয় বিসিএস ক্যাডার হওয়া, তবে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতার সকল স্তরে নিজেকে যোগ্য হিসেবে প্রমান করার জন্য কাজ করতে হবে। আশাকরি এই আর্টিক্যাল টি পড়ার পর বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা নিয়ে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।

বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাস করা কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর:

প্রশ্ন: বিসিএস স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কি কি টেস্ট করানো হয়?

উত্তর:  বিসিএস স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সাধারণত প্রার্থীর ওজন, উচ্চতা, বক্ষের মাপ, দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষা, মূত্র পরীক্ষা ইত্যাদি করানো হয়। যার মধ্যে কিছু রুটিন টেস্ট থাকে যেখানে সাধারণত প্রার্থীর রক্তচাপ, হেপাটাইটিস, এইচআইভি টেস্ট করানো হয় ।

প্রশ্ন: বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার যোগ্যতা কি?

উত্তর: বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সাধারণত যেসকল যোগ্যতা প্রয়োজন যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা, শারীরিক যোগ্যতা, বয়সসীমা, নাগরিকত্ব এই সকল যোগ্যতাই শিক্ষা ক্যাডার হওয়ার যোগ্যতার জন্য প্রযোজ্য। তবে যেহেতু শিক্ষা ক্যাডার একটি প্রফেশনাল ক্যাডার এবং প্রার্থীর স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নকৃত বিষয়ের উপর এটি নির্ভর করে সেহেতু প্রার্থী কোন বিষয়ে তার স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রী অর্জন করেছেন সেটিও একটি যোগ্যতা। কারন সকল বিষয়ের জন্য শিক্ষা ক্যাডার পদ টি থাকে না।

প্রশ্ন: বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে?

উত্তর: বিসিএস পরীক্ষা দিতে কোন নির্দিষ্ট পয়েন্ট বা জিপিএ প্রয়োজন পরে না। প্রার্থীর এস.এস.সি, এইচ.এস.সি এবং অনার্স এই ৩ টি পর্যায়ে একাধিক তৃতীয় বিভাগ বা তৃতীয় শ্রেণির ফলাফল না থাকলেই একজন প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করবেন। এই আর্টিক্যালের শিক্ষাগত যোগ্যতা অংশে এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

প্রশ্ন: বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়?

উত্তর: একজন প্রার্থী তার চাকরির বয়স থাকা পর্যন্ত অর্থাৎ সাধারণ প্রার্থীদের জন্য বিসিএস পরীক্ষার বয়সীমা ২১ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত যতবার চান বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে কোটায় আবেদন করা প্রার্থীদের জন্য এই বয়স সীমা ৩২ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।

  • Live MCQ™

    Live MCQ™

ঘরে বসে বিসিএস, ব্যাংক, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, NTRCA, ৯ম-২০তম গ্রেড সহ সকল চাকরির লাইভ এক্সামের মাধ্যমে প্রস্তুতি নিতে -

১.৭ মিলিয়ন+ অ্যাপ ডাউনলোড

87 জনের মতামত “বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা কি জেনে নিন

  1. ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে উপাস্থাপন করার জন্য

      1. স্টুডেন্ট আইডি ও রোল নাম্বার দেয়া বাধ্যতামূলক নয়, এটি অপশনাল। আপনি চাইলে এটি স্কিপ করতে পারেন।

    1. আমি মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৩.৬৭ ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৩.৩৩ পেয়েছি। এখন আমার অনার্স রেজাল্ট যদি তৃতীয় শ্রেণীর বা তৃতীয় বিভাগ আসে তাহলে কী আমি বিসিএসে অংশগ্রহণ করতে পারবো?

      1. জি পারবেন। কোনো পরীক্ষার্থীর এস.এস.সি, এইচ.এস.সি এবং অনার্স বা সমমানের এই ৩ টি পরীক্ষা মিলিয়ে ১ টির বেশি ৩য় বিভাগ / ৩য় শ্রেণির নম্বর থাকলে সেই প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন না।

      1. Bhaii amar ssc.3.33
        Hsc 3.75
        BBA Honor’s 2.80+
        ami kih Dhaka university IBA te
        admission neta parbo plz bolben ektu

        1. অনুগ্রহ করে, ঢাকা ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট থেকে চেক করে নিন।

    1. ধন্যবাদ আপনাকে। সুন্দর ভাবে বোধগম্য ভাষায় লেখার জন্য।

        1. আমার এসএসসি+এইচএসসি তে ৫ পেয়েছি অনার্সে যদি ২.০০ পাই তাহলে আবেদন করতে পারবো ?

          1. “প্রার্থীর শিক্ষা জীবনের কোন স্তরেই একাধিক ৩য় বিভাগ / ৩য় শ্রেণি সমমানের জিপিএ থাকলে তিনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। অর্থাৎ এস.এস.সি, এইচ.এস.সি এবং অনার্স বা সমমানের এই ৩ টি পরীক্ষা মিলিয়ে ১ টির বেশি ৩য় বিভাগ / ৩য় শ্রেণির নম্বর থাকলে সেই প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন না।”

            জি পারবেন।
            যেহেতু উপরে বর্ণিত শর্তনুযায়ী আপনার শিক্ষাজীবনের ৩টি ফলাফলে শুধুমাত্র একটি পরীক্ষায় ৩য় শ্রেণী রয়েছে তাই আপনি আবেদন করতে পারবেন, কোন সমস্যা হবেনা।
            শুভকামনা।

  2. ধন্যবাদ। বিসিএস প্রস্তুতি নেয়ার জন্য কোন বইগুলো পড়া উচিত?

    1. মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিকের বোর্ড বই/ বাজারের সমৃদ্ধ মানের যেকোনো গাইড বই ফলো করে আপনার প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
      স্বাগত।

  3. আমি এইচএসসি পরীক্ষা ৩ বার এ পাশ করেছি এখন আমি কি বিসিএস পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করতে পারব

    1. সার্কুলারে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী আপনার বয়সসীমা ও শিক্ষাজীবনে একাধিক বার ৩য় বিভাগ না থাকলে আবেদন করতে পারবেন।

        1. আপনার কমেন্টটি স্পষ্ট নয়। অনুগ্রহ করে জানাবেন আপনি মূলত কি জানতে চাচ্ছেন?

      1. আমার এস .এস . সি পরিক্ষায় গণিতে নাম্বার খুবই কম কিন্ত মোট জিপিএ ভালোই আছে । এখন আমি অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছি আমি কি ৪৯ বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবো?
        জানালে খুব উপকৃত হতাম স্যার।

        1. জি, পারবেন। ৪৯তম বিসিএসের আবেদনের সময় শেষ হওয়ার পূর্বে, আপনার ফাইনাল ইয়ারের সকল লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হলেই আপনি অ্যাপিয়ার্ড দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।

  4. আমি ডিগ্রী (পাস কোর্স) শেষ করেছি। এবং মাস্টার্স প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মাস্টার্স শেষ পর্ব এখনো বাকি আমি কি বিসিএস পরিক্ষা দিতে পারবো??
    বি দ্র: যেহেতু বিসিএস বিজ্ঞপ্তি তে বলা আছে ৪ বছর সম্মান সমমান কোর্স করা থাকলেই বিসিএস দেওয়া যাবে

    1. যেহেতু ৪ বছর মেয়াদী অনার্স বা সমমান ডিগ্রি সম্পন্ন হতে হবে সেক্ষেত্রে, সম্পূর্ণ কোর্স শেষ হওয়ার পূর্বে আবেদন করার সুযোগ নেই। আপনার মাস্টার্স কমপ্লিট হওয়ার পর, ফলাফল প্রকাশ না হলেও অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেট দিয়ে বিসিএসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

      1. ভাই কেউ যদি এক চোখে না দেখে বা পার্শিয়াল ব্লাইন্ডনেস থাকে তাহলে কি সে টিকতে পারবে না?

        1. দৃষ্টিশক্তি জনিত যোগ্যতা কোন ভাবেই শিথিলযোগ্য নয়। তবে গ্লাস বা চশমা ব্যাবহারের পরে যদি প্রার্থীর দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকে তবে প্রার্থী দৃষ্টিশিক্তি জনিত যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হবেন। তবে প্রার্থী যদি বর্ণান্ধ হন অর্থাৎ যদি কোন রঙ সঠিক ভাবে ধরতে না পারেন তবুও তিনি দৃষ্টিশক্তির বিবেচনায় যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে সেক্ষেত্রে এই তথ্য উনার রিপোর্টে উল্লেখ থাকতে হবে।
          যদি চশমা ব্যবহারের পর দেখতে পারেন তাহলে সমস্যা হবে না।

          এখানে বিস্তারিত দেখুন

  5. প্রত্যেকটা বিষয়ে এত সুন্দর করে গুরুত্ব সহকারে বোঝানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

  6. অনার্স পরীক্ষায় যদি কোনো বিষয়ে ডি-গ্রেড থাকে তাহলে সে কি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবে??

    1. আপনার শিক্ষা জীবনে একাধিক ৩য় বিভাগ / ৩য় শ্রেণি সমমানের জিপিএ থাকলে তিনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। অর্থাৎ এস.এস.সি, এইচ.এস.সি এবং অনার্স বা সমমানের এই ৩ টি পরীক্ষা মিলিয়ে ১ টির বেশি ৩য় বিভাগ / ৩য় শ্রেণির নম্বর থাকলে সেই প্রার্থী বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন না।

    2. আমি একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। আমার উচ্চতা ৪.৯ ইঞ্চি।
      আমি ক্যাডার হতে পারবো কি না যেহেতু আমার উচ্চতা কম আবার আমি কোটায় আবেদন করবো ।
      সেটা যদি এক্টু বলতেন প্লিজ 😭

      1. জি, আপনি ক্যাডার হতে পারবেন।
        যোগ্যতা থাকলে আপনার শারীরিক ত্রুটি বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
        শুভকামনা রইল।

    3. প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ honor’s করার পর কি আমি বিসিএস দিতে পারবো?

      1. জি, যেকোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) বা এর সমমান ডিগ্রী অর্জন করে বিসিএসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

  7. Ey appeared CV ta ki ?? Ami EKTA privet CLG theke BSC nursing complete koreche .even amder 4th year final er results o publish hoye gese.now 6 months internship choltese , internship sese licence Xm then pass hole register nurse .ey situation o ki Ami apply korte perbo.

    1. চার বছরের অনার্স বা তার সমমান শিক্ষা সম্পন্ন হলে বিসিএসে আবেদন করা যায়। আর যাদের ফাইনাল ইয়ারের ফলাফল না এলেও সকল লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে উনারাই মূলত এপিয়ার্ড হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেন এবং আবেদন করতে পারেন। আপনি যদি HSC এর পরে চার বছরের BSC করে থাকে তাহলে আপনি আবেদন করতে পারবেন।

    1. বিসিএসে আবেদন করতে অনার্স বা তার সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা আবশ্যক। অর্থাৎ ডিগ্রির পর দুই বছরের মাস্টার্স শেষ করে আবেদন করতে হবে।

          1. স্থায়ী ঠিকানা ও ভোটার এরিয়া ভিন্ন হলে কোন সমস্যা হবে কি??

  8. হাত ভেঙে গিয়েছিলো এবং অপারেশন লাগছিলো। ক্যাডার হওয়ায় ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে???

    1. BSc in Nursings ( Basic),

      Rajshahi nursing college.
      (Govt.College)

      SSC – (GPA 5)
      HSC- (GPA-5)
      Session – 2021-2022

      আমি কি বিসিএস আবেদন করতে পারব???
      যদি পারি তবে কতোতমতে আবেদন করা যাবে??
      এই প্রফেশন থেকে অন্য কোন জায়গাতে কাজ করার সুযোগ কেমন???

      1. জি, পারবেন। ৫০তম বিসিএস সহ সকল জেনারেল বিসিএসে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার কোর্সটি স্নাতক সমমানের বিধায় স্নাতক যোগ্যতায় যেসকল পদে আবেদন করা যায় সেসকল পদে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। ধন্যবাদ।

  9. আমার SSC -5.00
    HSC-3.50
    Honours – 2.91
    Masters -2.60 (তবে মাস্টার্সে দুটি বিষয়ে D অর্থাৎ 2.00 আছে।) আমি কি বিসিএস এ আবেদন করতে পারব?

  10. অনার্সে ৪ বছরে মিলিয়ে যে রেজাল্ট আসে ওখানে যদি ৩ তৃতীয় শ্রেনী না আসে অনার্স ফাস্ট ইয়ারে যদি তৃতীয় শ্রেনী আসে সেক্ষেএে কোন রেজাল্ট টা ধরা হয় জানাবেন

    1. পুরো ৪ বছরের সকল সেমিস্টারের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে যে সমন্বিত ফলাফল দেয়া হয়, সেটাই আপনার মূল রেজাল্ট। এই রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে আপনি বিসিএসসহ অন্যান্য চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ধন্যবাদ।

  11. আসসালামু আলাইকুম
    আমি সানজিদা খান শাম্মি
    ২০১৭ তে এসএসসি ১৯ এ এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছি
    মাঝ খানে একবচর গ্যাপ দিয়ে ২০২১ সালে ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি তে ভর্তি হই কোর্স ৩ বছর করে একন ইন্টার্নি করছি আমি এখন যাচ্ছি
    কারিগরি তে পড়তে
    আমি ব্যবসায় শাখার স্টুডেন্ট
    আমি কি কারিগরি তে ভর্তি হতে পারবো আর পারলেও কি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবো

    1. আপনি যেকোনো বিষয়ের উপর বিএসসি করলে বিসিএস-এ আবেদনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

  12. Amar SSC 4.44
    HSC 2.67( ২ টা বিষয় D, 4th subject fail)
    BSC 3.34
    আমি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবো? ২.৬৭ কি সেকেন্ড বিভাগ?

      1. না আপু, আপনি ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেও আবেদন করতে পারবেন।

  13. স্নাতক ৩ বছর দেয়ার পর স্নাতকোত্তর প্রিলি দেয়ার পর এ্যাপ্লাই করা যাবে কি?

    1. ৩ বছরের ডিগ্রীর পর আপনাকে ২ বছরের মাস্টার্স শেষ করতে হবে। তারপর আপনি আবেদন করতে পারবেন।

      1. এসএসসি,৩.৬৩,এইচএসসি ২.৫৮,ডিগ্রী পাস কোর্স ২.৭৯ আমি কি মাস্টার্স করে আবেদন করতে পারবো বিসিএসে

        1. অনুগ্রহ করে উত্তর দিবেন
          ★৪৯তম BCS পরীক্ষায় কি আবেদন করতে পারব? আবেদন ২২ তারিখ শেষ?
          ★ আমি চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষা দিয়েছি কিন্তু ল্যাব ও ভাইভা বাকি আছে।

          1. আপনার সকল লিখিত পরীক্ষা যদি শেষ হয়ে থাকে, তাহলে আবেদন করতে পারবেন।

    1. ক্যাডার ভেদে ন্যুনতম ওজন ৪০ থেকে ৫৪ কেজি। সর্বোচ্চ ওজনের ক্ষেত্রে সীমারেখা নেই।

  14. আমি এস এস সি ভোকেশনাল থেকে দিয়েছি পয়েন্ট ৪.০০, ৪ বছর মেদিয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার কোর্স করে ছি পয়েন্ট ২.৯৯ এবং কম্পিউটার সাইন্স এর উপর বি এস সি পয়েন্ট ৩.৩২ করেছি আমি কি বি সি এসে আবেদ করতে পারিব?

  15. ৪৯ তম সার্কুলারে একটা সাবজেক্ট এর পাশে শিক্ষাগত যোগ্যতার অনেকগুলা কোড দেওয়া, যেমন আইসিটি তে অনেকগুলা কোড দেওয়া, কোন কোড দ্বারা কোন সাব্জেক্ট বুঝাচ্ছে কিভাবে জানবো?

    1. সার্কুলারে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়কোড থাকলে আপনি আবেদন করতে পারবেন। অনুগ্রহ করে সার্কুলার থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোড চেক করুন।
      পিএসসি’র Instruction এর সাবজেক্ট লিস্ট হতে আপনার কোডের নামটি মিলিয়ে নিতে পারেন।

      ইন্সট্রাকশন লিঙ্ক-
      https://bpsc.gov.bd/sites/default/files/files/bpsc.portal.gov.bd/psc_exam/05c99551_bc0f_4147_a908_39d73b3fe3ac/Instructions_49th%20BCS.pdf

  16. ami ssc/hsc 5
    bsc te 2.6 cgpa er moddhe
    duitq semister e 2.20 peachilam dite parbo exam
    Honours ki per semester gpa dekhbe naki academic cgpa dekhbe

    1. একাডেমিক সিজিপিএ দেখবে। ইয়ার ভিত্তিক জিপিএ নয়।

  17. আচ্ছালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
    ssc 4.19
    hsc 4.30
    degree pass 2nd class
    masters 2.85
    আমি কি ৪৯ তম তে আবেদন করতে পারব?

    1. ওয়ালাইকুম আসসালাম।
      ডিগ্রী থেকে মাস্টার্স করে আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার মাস্টার্সের CGPA ১ম শ্রেণীর হতে হবে।

  18. আসসালামু আলাইকুম, আমি ডিগ্রি (পাস কোর্স)এবং মাষ্টার্স প্রিলিমিনারি(১ম পর্ব)শেষ করেছি।এখন শেষ পর্ব চলছে,আমি কি ৪৯ তম এর বিশেষ বিসিএস এ আবেদন করতে পারবো?

    1. ওয়ালাইকুম আসসালাম।
      না আপু,আপনার মাস্টার্স সম্পন্ন না হলে আবেদন করার সুযোগ নেই।

        1. সার্কুলারে দেয়া শর্তের উপর নির্ভর করছে ভাইয়া। তবে আশা করি জেনারেল বিসিএসে আবেদন করার সুযোগ থাকবে।

  19. আচ্ছালামু আলাইকুম
    ssc 3.56
    hsc 2.90
    degree pass 2nd class
    masters 2.97
    আমি কি ৪৯ তম তে আবেদন করতে পারছি না। আমি কি পরবর্তী বি সি এস এ আবেদন করতে পারব।

    1. ওয়ালাইকুম আসসালাম।

      ডিগ্রী থেকে আবেদনের ক্ষেত্রে মাস্টার্সে ১ম শ্রেণীর CGPA থাকা আবশ্যক।

      1. এটা কি সব বি সি এস এ নাকি বিষেশ বি সি এস এ শুধু মাএ মাস্টার্সে প্রথম (৩.০০) শ্রেণী থাকতে হবে।

  20. হেপাটাইটিস বি থাকলে কি স্বাস্থ্য পরিক্ষায় আনফিট দেখাবে।

    1. HBsAg টেস্ট করা হয় স্বাস্থ্য অবস্থা জানার জন্য। শুধু পজিটিভ হলেই অযোগ্য ঘোষণা করা হয় না। লিভার সুস্থ থাকলে সাধারণত সমস্যা হয় না। মেডিকেল বোর্ড সামগ্রিক স্বাস্থ্য অবস্থা বিবেচনা করে। যদি লিভারে সিরোসিস বা গুরুতর ক্ষতি থাকে এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মতে এর দরুন আপনি চাকরি চালিয়ে যেতে অযোগ্য হোন, তখন সমস্যা হতে পারে।

  21. আমার একটা প্রশ্ন বিসিএস এক্সাম নিয়ে আমি বর্তমানে একটি ভার্সিটিতে পড়ছি যেটা হচ্ছে ওপেন ক্রেডিট। আমি চাইলে আমার চার বছর ৎমেয়াদি কোর্স । তিন বছর ছয় মাস কিংবা ১০ মাসে শেষ করতে পারি এখন আমাদের সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে চার মাস মেয়াদি কোর্সের কথা বলা হয়েছে আমি যদি সেটা তিন বছর ছয় মাস কিংবা 10 মাসের শেষ করে ফেলি তাহলে কি কোন সমস্যা হবে অর্থাৎ আমার কোশ্চেনটা হচ্ছে এমন আমি পরীক্ষা দিতে পারবো প্রিলিমিনারি আমি রিটার্ন পরীক্ষা দিতে পারব প্রিলিমিনারি পাস করলেই আমি ভাইবাতে অংশগ্রহণ করতে পারব কিন্তু সবকিছু হওয়ার পর যদি কোন কারনে গেজেট কিংবা পুলিশ ভেরিফিকেশন এর ক্ষেত্রে আমাকে বাদ দেওয়া হয় মানে এরকম হওয়ার কি কোনো সম্ভাবনা আছে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে রিকোয়ারমেন্ট দেওয়া হয় চার বছর মেয়াদী কোর্স এর আসলে অর্থটা কি?

    1. চার বছর মেয়াদী কোর্স আপনি আগে শেষ করে ফেললে বিসিএস আবেদনে কোনো সমস্যা হবে না।

      চার বছর মেয়াদী কোর্স মানে হচ্ছে নরমাল প্রোগ্রামে যত ক্রেডিট সম্পন্ন করার কথা, সে পরিমাণ ক্রেডিট শেষ করতে হবে। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আজই Live MCQ™ অ্যাপ ইনস্টল করুন!

Live MCQ™ অ্যাপটি Android, iPhone (iOS), PC/Laptop/Desktop (Windows) এবং Apple MacBook-এ পাওয়া যাচ্ছে। আপনার পছন্দের ভার্সন এখান থেকে ইনস্টল করুন।