৪৭তম বিসিএস আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম, আবেদন ফি, যোগ্যতা-সহ গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য

প্রিয় চাকরির প্রত্যাশীগণ ৪৭তম বিসিএস আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম সংক্রান্ত ব্লগে আপনাদের স্বাগতম। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের চাকরি একটি প্রথম শ্রেণির চাকরি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমান শিক্ষিত প্রজন্মের আগ্রহের দিক থেকে বিসিএসের চাহিদা সবার শীর্ষে। আপনারা জানেন, গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ হতে ৪৭তম বিসিএস আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে যা চলবে আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত।

বিসিএসের প্রথম ধাপ হলো নির্ভুলভাবে বিসিএস আবেদন ফরম পূরণ করা। অনেকেই আবেদন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে নানা রকম বিভ্রান্তিতে পড়ে ভুল করে থাকেন। যেহেতু বিসিএস আবেদন ফি জমা দেয়ার পর ফরমের যেকোন প্রকার ভুল সংশোধনের সুযোগ নেই তাই শুরুতেই খুব সতকর্তার সাথে আবেদন ফরম পূরণ করা উচিত। আজকের ব্লগে ৪৭তম বিসিএস আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম, আবেদন ফি, যোগ্যতা-সহ গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই ব্লগটি পড়ার পর বিসিএস আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম, বিসিএস আবেদন ফি, বিসিএস আবেদন যোগ্যতা এবং আবেদনে ভুল হলে কি করতে হবে এসকল বিষয় নিয়ে আপনাদের আর কোন কনফিউশন থাকবে না।

আরও দেখুন- বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা কি জেনে নিন
আরও দেখুন- ৪৭তম বিসিএস প্রস্তুতি যেভাবে শুরু করবেন – সম্পূর্ণ গাইডলাইন

৪৭তম বিসিএস অনলাইন আবেদন

৪৭তম বিসিএসে আবেদন করার নিয়ম

অনলাইনে BCS Application Form পূরণ করার ক্ষেত্রে প্রথমত bpsc.teletalk.com.bd এর ওয়েবসাইট থেকে Online Application for 47th BCS Examination 2024 অংশে ক্লিক করতে হবে। পরবর্তীতে প্রার্থীর SSC সনদ অনুসারে বোর্ড, রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পাসের সন লিখে নিচে ৩টি অপশন দেখতে পারবেন। যেমন-

  • General Cadre (সাধারণ ক্যাডার)
  • Technical/Professional Cadre (কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার)
  • General & Technical/Professional (both) Cadre (উভয় ক্যাডার) (সাধারণ ও কারিগরি ক্যাডার)
আপনার স্নাতক পর্যায়ে পঠিত বিষয় অনুসারে ক্যাডার নির্বাচন করতে হবে। আপনার স্নাতক পর্যায়ে পঠিত বিষয়ে যদি কারিগরি পদ না থাকে সেক্ষেত্রে “সাধারণ ক্যাডার (General Cadre)” অংশে ক্লিক করবেন আর যদি কোন কারিগরি পদ থাকে সেক্ষেত্রে “পেশাগত ক্যাডার (Technical/Professional Cadre)” বা “উভয় ক্যাডার (Both Cadre)” নির্বাচন করতে পারেন।

উপরোক্ত অংশ পূরণের পর আপনার ডিভাইসের স্ক্রিনে “বিপিএসসি ফরম-১ (BPSC Form-1)” পেয়ে যাবেন। এই অংশে ৩টি ধাপ রয়েছে।
  • Personal Information (ব্যাক্তিগত তথ্য)
  • Educational Qualification Information (শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য)
  • Cadre Choice Option (ক্যাডার নির্বাচন)

প্রথম ধাপ: ব্যাক্তিগত তথ্য (Personal Information)

৪৭তম বিসিএস আবেদন ফরম প্রারম্ভিক তথ্য পূরণ ফরম এর ছবি
৪৭তম বিসিএস আবেদন ফরম ব্যাক্তিগত তথ্য (Personal Information) পূরণ

এ ধাপের প্রথমেই প্রার্থীর আবেদনের শুরুতে এসএসসি এর সকল তথ্য দেয়া সাপেক্ষে পরবর্তীতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সনদ অনুসারে পিতার নাম এবং মাতার নাম বড় অক্ষরে ফিল আপ হবে। বিসিএস আবেদনের ক্ষেত্রে জন্ম তারিখ ভুল হলে প্রার্থীতা বাতিল হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়াও বিসিএসের ক্ষেত্রে বয়স গণনার বিষয় থাকে। তাই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত বয়সসীমার মধ্যে আপনার বয়সের সামঞ্জস্য রয়েছে কিনা তা অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে।

পরবর্তীতে থাকবে “লিঙ্গ নির্বাচন”। নারী, পুরুষ অথবা তৃতীয় লিঙ্গ যেকোন একটি বাছাই করবেন।

এরপরের অংশে রয়েছে “Employment Status (কর্মসংস্থানের অবস্থা)”। প্রার্থীর কর্মসংস্থানের অবস্থা অনুসারে এ অংশ পূরণ করবেন। কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট অপশন সিলেক্ট করতে হবে। প্রার্থী কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত থাকলে মৌখিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিভাগীয় ছাড়পত্র নিতে হবে আবার পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরমে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের তথ্য পূরণসহ কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।

  • এক্ষেত্রে প্রার্থী বেকার হলে ‘Not Employed’,

  • কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে ”Regular Basis Under Revenue Budget”

  • স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে “Autonomous or Semi-autonomous Organization”

  • বিশেষ উদ্দেশ্যে গঠিত কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে ”Private Organization”

  • রাজস্ব বাজেটের অধীনে নন-ক্যাডার পদে কর্মরত থাকলে “Ad-hoc basis in non cadre post under revenue budget”

  • রাজস্ব বাজেটের অধীনে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত থাকলে “Temporary basis under revenue budget”

  • রাজস্ব বাজেটের অধীনে কাজের চার্জের ভিত্তিতে কর্মরত থাকলে “Work Charged basis under revenue budget”

  • উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত থাকলে “Temporary basis under development project”

  • উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে কাজের চার্জের ভিত্তিতে কর্মরত থাকলে “Work charged basis under development project”

Install Live MCQ App

পরের অংশে থাকবে কোটা সংক্রান্ত তথ্য। প্রার্থী উপজাতি বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হলে “Ethnic Minority” বাটন ক্লিক করবেন। আবার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি-নাতনি হলে সংশ্লিষ্ট অপশনে, তৃতীয় লিঙ্গ হলে “Third Gender”, শারীরিক কোন প্রতিবন্ধিতা থাকলে “Physically Handicapped” আর উপরক্ত কিছুই না হলে “Non Quota” অপশন নির্বাচন করবেন। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, বর্তমানে বিসিএসে কোনো কোটা নেই।

পরবর্তী পর্যায়ে প্রার্থীর বৈবাহিক অবস্থা অনুযায়ি “Single (অবিবাহিত)” অথবা “Married (বিবাহিত)” অপশন সিলেক্ট করবেন। বিবাহিত হলে নির্দিষ্ট স্থানে “স্বামী বা স্ত্রীর নাম(Spouse Name)” লিখতে হবে। এরপরের অংশে প্রার্থীর জাতীয়তা (স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ করা থাকে), জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর, উচ্চতা (সেন্টিমিটার এককে), ওজন (কিলোগ্রামে), সাধারণ অবস্থায় বুকের মাপ (সেন্টিমিটার এককে) সঠিকভাবে লিখতে হবে।

ঠিকানার ক্ষেত্রে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সম্ভব হলে অভিন্ন দেওয়াই ভালো। কেননা প্রার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হলে উল্লেখিত ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে। মেয়েদের ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানায় বাবার ঠিকানা ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো। পরের অংশে প্রার্থীর সচল যোগাযোগ নম্বর দিতে হবে। কেননা আবেদন সংক্রান্ত সকল তথ্য পরবর্তীতে এই নম্বরেই ম্যাসেজের মাধ্যমে জানানো হবে।

পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রার্থী যে স্থান নির্বাচন করবেন সে কেন্দ্রেই তাকে প্রিলিমিনারি এবং লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। নির্বাচিত কেন্দ্র পরবর্তীতে পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। সকল প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

বলা বাহুল্য যে, প্রার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ইংরেজি সংস্করণে দিতে ইচ্ছুক হলে Question Version English-এ টিক দিতে হবে। তবে লিখিত পরীক্ষা প্রার্থী ইচ্ছামতো যেকোনো ভার্সনে দিতে পারবেন।এক্ষেত্রে এক বিষয়ের পুরো খাতায় যেকোনো এক (বাংলা/ ইংরেজি) ভাষায় উত্তর করতে হবে।

উপরে দেয়া তথ্যসমূহ পুনরায় চেক করে সব তথ্য ঠিক থাকলে “The above information is correct and I would like to go to the next step” অংশে ✅টিক দিয়ে “পরবর্তী (Next)” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ: শিক্ষাগত যোগ্যতা

৪৭তম বিসিএস আবেদন ফরম শিক্ষাগত তথ্য (Educational Qualifications) ফরম পূরণ এর ছবি
বিসিএস আবেদন ফরম পূরণের দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থীর মাধ্যমিক (SSC) [স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ করা থাকবে], উচ্চমাধ্যমিক (HSC), স্নাতক, স্নাতকোত্তর (যদি থাকে) পর্যায়ের সকল তথ্য সার্টিফিকেট অনুসারে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট অনুসারে পরীক্ষার নাম, রোল, রেজাল্ট, গ্রুপ এবং পাসের সাল লিখতে হবে।

স্নাতকের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট অনুসারে পরীক্ষার নাম, বিষয়, বিশ্ববিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠানের নাম, রেজাল্ট, পাসের সাল এবং কত বছর মেয়াদী কোর্স তা লিখতে হবে।
প্রার্থী যদি অ্যাপিয়ার্ড দিয়ে আবেদন করে থাকেন অর্থাৎ যাদের স্নাতক ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে তবে ফলাফল প্রকাশ হয়নি তাদের ক্ষেত্রে পরীক্ষা শুরু এবং শেষের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে পরীক্ষা আবেদনের তারিখ শেষ হবার পূর্বেই সম্পন্ন হতে হবে। আবার মৌখিক পরীক্ষার সময় বিভাগীয় প্রধানের কাছ থেকে প্রত্যায়নপত্র নিয়ে ভাইভা বোর্ডে জমা দিতে হবে।

স্নাতকোত্তর যদি থাকে তাহলে ✅টিক দিন। পরবর্তীতে সার্টিফিকেট অনুসারে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখুন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে বিষয়ের ঘরে যদি “Others” পূরণ করেন তাহলে প্রিলিমিনিরি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর পিএসসি’র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) কে লিখিত আকারে তা জানাতে হবে। এক্ষেত্রে প্রিলিমিনারির পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাথে সাথেই পিএসসিতে যোগাযোগ করা শ্রেয়।

Additional Qualification for Teachers’ Training College: প্রযোজ্য হলে ✅টিক চিহ্ন দিন। পরবর্তীতে সার্টিফিকেট অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়/ প্রতিষ্ঠানের নাম, রেজাল্ট, পাসের সন দিতে হবে।

প্রার্থী যদি স্নাতক পর্যায়ে বিদেশি ডিগ্রিধারী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রনালয়/বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে সমমান সনদ সংগ্রহ করে নিতে হবে। সমমান সনদের মূল কপি মৌখিক পরীক্ষার ভাইভা বোর্ডে জমা দিতে হবে।

এই ধাপের সবশেষ অংশে প্রার্থীর পদ সংশ্লিষ্ট বিষয় বাছাই করতে হবে। প্রার্থী যদি উভয় ক্যাডার (Both Cadre) অথবা শুধু কারিগরি/ পেশাগত ক্যাডার (Technical Cadre) প্রার্থী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে স্নাতক পর্যায়ে পঠিত বিষয় বাছাই করতে হবে। তবে সাধারণ ক্যাডারের এক্ষেত্রে কিছু করার প্রয়োজন নেই।

ফরমে দেয়া সকল তথ্য পুনরায় চেক করে, সব তথ্য সঠিক দিয়েছেন এই মর্মে “The above information is correct and I would like to go to the next step” অংশে ✅টিক দিয়ে “পরবর্তী (Next)” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

তৃতীয় ধাপ: ক্যাডার নির্বাচন

৪৭তম বিসিএস আবেদন ফরম ক্যাডার চয়েস (Cadre Choice) অপশনের ছবি

বিসিএস আবেদন ফরম পূরণের তৃতীয় ধাপে “Cadre Choice” সংক্রান্ত একটি পেইজ আপনার ডিভাইসের স্ক্রিনে আসবে। ক্যাডার চয়েজ করার পূর্বে অবশ্যই বিভিন্ন ক্যাডারের সুযোগ সুবিধা, কাজের ধরণ, পদোন্নতি ইত্যাদি বিষয়ে জেনে নেয়া জরুরী। এক্ষেত্রে আমাদের বিসিএস ক্যাডার চয়েস লিস্ট যেভাবে সাজাবেন এই ব্লগটি দেখে নিতে পারেন। আশা করি এরপর ক্যাডার চয়েজ নিয়ে আপনাদের আর কোন কনফিউশন থাকবে না।

ক্যাডার চয়েসের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ব্যাক্তিগত পছন্দ, পরিবারের পছন্দ বা মতামত, পড়াশোনার বিষয় ইত্যাদি বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। আপনার পছন্দ অনুযায়ি ক্যাডার বাছাই করতে পারবেন। তবে যে ক্যাডারে যোগদান করার ইচ্ছে নেই তা সিলেক্ট করার প্রয়োজন নেই।

যেহেতু ক্যাডার চয়েস পরিবর্তনের সুযোগ নেই সেক্ষেত্রে অবশ্যই সকল দিক বুঝে শুনে ক্যাডার চয়েস লিস্টটি সাজাবেন। এক্ষেত্রে কাগজে কলমে বিসিএস ক্যাডার চয়েস লিস্টের একটি খসড়া সাজিয়ে ফেলতে পারেন যেন আবেদনের সময় কোন প্রকার ভুল হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে।

পছন্দক্রমানুসারে ক্যাডার চয়েজ লিস্ট সাজানোর পর সকল তথ্য সঠিক দিয়েছেন এই মর্মে “The above information is correct and I would like to go to the next step” অংশে ✅টিক দিয়ে “পরবর্তী (Next)” বাটনে ক্লিক করার পর “Application Preview” নামক একটি পেইজ আসবে। এখানে ঠান্ডা মাথায় সময় নিয়ে সতর্কতার সাথে ফরমে দেয়া তথ্যসমূহ রিচেক করুন। কেননা ফি জমাদানের পর ফরম সংশোধন করার কোন সুযোগ নেই।
47th BCS Application Preview Image

ভেরিফিকেশন কোড, ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড

ফরমে দেয়া সকল তথ্য রিভিউ করার পর স্ক্রিনে একটি “Varification Code” আসবে। কোডে দেয়া ডিজিট বা লেটারগুলো হুবুহু পাশের বক্সে লিখতে হবে।

পরবর্তীতে প্রার্থীর ছবি এবং স্বাক্ষর আপলোড করতে হবে। ছবির ক্ষেত্রে প্রার্থীর সদ্য তোলা (তিন মাসের মধ্যে তোলা) ৩০০×৩০০ পিক্সেলের এক কপি রঙিন ছবি আপলোড করতে হবে। ছবির সাইজ ৮০ কিলোবাইটের বেশি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া মুখমন্ডলের কোন অংশের অস্পষ্ট কোন ছবি গ্রহনযোগ্য হবেনা।

স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে ৩০০×৮০ পিক্সেলের সাক্ষর আপলোড করতে হবে। স্বাক্ষরের সাইজ ৬০ কিলোবাইটের মধ্যে হতে হবে। আবেদনের ক্ষেত্রে যে স্বাক্ষর দেয়া হবে প্রার্থীর চূড়ান্ত সুপারিশের আগ পর্যন্ত সকল ডকুমেন্টে একই স্বাক্ষর ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখবেন স্বাক্ষর অবশ্যই প্রার্থীর হস্তলিখিত চিহ্নে বাংলা /ইংরেজি নাম বা নামের অংশ দ্বারা করতে হবে। স্বাক্ষর যথাসম্ভব ছোট রাখাই ভালো।

ফরম পূরণের শেষ ধাপ

ফরমে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর “Submit the Aplication” বাটনে ক্লিক করে ফরমটি সাবমিট করতে হবে। পরবর্তীতে প্রার্থীর “ইউজার আইডি (User ID)” সম্বলিত একটি “আবেদনকারী (Applicant’s Copy)” পাবেন। এই “Applicant’s Copy” টি “Download this page” বাটনে ক্লিক করে ডাউনলোড ও সংরক্ষন করতে হবে।

47th BCS Applicant's Copy Image
47th BCS Applicant's Copy Download Image

বিসিএস আবেদন ফি জমা দেয়ার পদ্ধতি

আপনারা জানেন জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুসারে বিসিএস আবেদন ফি ৭০০ টাকা এর পরিবর্তে ২০০ টাকা করা হয়েছে। তবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বিসিএস আবেদন ফি ৫০ টাকা করা হয়েছে। ইতোপূর্বে আবেদন ফরমে দেয়া ইউজার আইডি (User ID) ব্যবহার করে যথাযথ নির্দেশনা অনুসারে টেলিটক প্রিপেইড নম্বর থেকে ২টি SMS এর মাধ্যমে ফি জমা দিতে হবে।

এক্ষেত্রে,
  • ১ম SMS-এ “BCS <Space> User ID” লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।
  • পরবর্তীতে ফিরতি ম্যাসেজে একটি PIN নম্বর দেয়া হবে, যা ব্যবহার করে ২য় ম্যাসেজে পাঠাতে হবে।
  • ২য় SMS-এ “BCS <Space> Yes <Space> PIN লিখে পুনরায় 16222 নম্বরে ম্যাসেজ করতে হবে।

বিসিএস প্রবেশপত্র ডাউনলোড

ফি জমা দেয়ার পর User ID ও Password ব্যবহার করে প্রার্থীর “প্রবেশপত্র (Admit Card)” ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে সংরক্ষন করতে হবে।

Install Live MCQ App

আবেদন ফরম সংশোধন সংক্রান্ত তথ্য

ফি জমা দেয়ার পর পুনরায় বিসিএস আবেদন ফরম সংশোধন করার সুযোগ নেই। যদি ফি জমা না দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে ৭২ ঘন্টার মধ্যে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। পরবর্তীতে নতুন করে ফরম পূরণ করলে নতুন একটি ইউজার আইডি পাবেন। উক্ত আইডি ব্যবহার করে ফি জমা দিবেন। যেকোন প্রকার ভুল তথ্য প্রদানের ফলে প্রার্থীর আবেদন বাতিল হতে পারে। তাই ফরম পূরণের পর Applicant Preview থেকে সময় নিয়ে সতর্কতার সাথে সকল তথ্য রিচেক করতে হবে। তারপর ফি জমা দিতে হবে।

বিশেষ নির্দেশনা

বিসিএস আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করা বিসিএসের প্রথম ধাপ। আবেদন ফরম পূরণে প্রার্থীর যেকোন প্রকার ভুলের কারণে বা একাধিকবার ফরম পূরণ করলে আবেদন বাতিল করার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া এসকল ক্ষেত্রে পিএসএসির আওতাধীন সকল পরীক্ষায় অযোগ্য বিবেচনা করা সহ আইনানুগ যেকোন ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। তবে বিশেষ কোন কারণবশত যদি ফরমে কোন প্রকার সংশোধন করা প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে পিএসসি এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) বরাবর লিখিত আবেদনের মাধ্যমে আগের আবেদন বাতিল করতে হবে।

উল্লেখ্য যে, বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের শেষ তারিখ (৩১ ডিসেম্বর ২০২৪) অতিক্রম করার পর bpsc.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে স্ক্রিনে আর আবেদন করার অপশন পাবেন না।

প্রশ্ন: বিসিএস এর পূর্ণরুপ কী?

উত্তর- BCS এর পূর্ণরুপ Bangladesh Civil Service.

প্রশ্ন: বিসিএস আবেদন ফি কত?

উত্তর- ২০০ টাকা। তবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বিসিএস আবেদন ফি ৫০ টাকা।

প্রশ্ন: BCS ক্যাডার কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর- জেনারেল এবং কারিগরি বা প্রফেশনাল এই দুটি মূল বিভাগের অধীনে মোট বিসিএস ক্যাডারের সংখ্যা ২৬টি।

প্রশ্ন: ৪৭তম বিসিএস কবে হতে পারে?

উত্তর- ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ২০২৫ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রশ্ন: বিসিএসে আবেদনের যোগ্যতা কী?

উত্তর- প্রার্থীর শিক্ষা জীবনে একের অধিক তৃতীয় শ্রেণী (3rd Class) থাকলে বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন না।

প্রশ্ন: তিন বছর মেয়াদি ডিগ্রি (পাস কোর্স) করে কি বিসিএস দেওয়া যায়?

উত্তর- বিসিএস এর বিজ্ঞপ্তি অনুসারে উচ্চমাধ্যমিকের পর প্রার্থীর স্নাতক পর্যায়ে চার বছর মেয়াদি কোর্স থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ৩ বছর মেয়াদি ডিগ্রি পাস কোর্সের পর প্রার্থীকে অবশ্যই মার্স্টার্স সম্পন্ন করতে হবে।

Install Live MCQ App