প্রিয় ব্যবহারকারীগণ, সবাইকে Live MCQ টিমের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা! আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন, নিয়মিত পরীক্ষা দিচ্ছেন! আজকে আমরা তুলে ধরবো Live MCQ-তে পাশ বা ফেইল যাই হোক, নিয়মিত প্রতিযোগিতামূলক লাইভ পরীক্ষা দেওয়া কেনো জরুরি! এবং Live MCQ-তে নিয়মিত প্রতিযোগিতামূলক লাইভ পরীক্ষা কীভাবে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী এবং প্রস্তুতিকে আর ধারালো করে তুলে। একটু ধৈর্য ধরে পুরো পোস্টটি পড়ুন।

নিয়মিত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে অনুশীলন কেন জরুরী

চলুন প্রথমে কিছু বিষয় ক্লিয়ার হই –

Live MCQ কনফিডেন্স কমিয়ে দেয়?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের অ্যাপে নতুন প্রস্তুতি শুরুর সময় অনেক ব্যবহারকারী এই কথাটি বলে থাকেন।

প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে – আপনাদের এই কনসার্নটি অনেকাংশেই সত্যি হ্যাঁ, Live MCQ-তে প্রথম দিকে পরীক্ষা দিতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে হতাশ হওয়ার কথাটা মিথ্যা নয়। তবে তার পিছনে যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। নিম্নে কারনগুলো তুলে ধরা হল – 

  • সাধারণত Live MCQ-তে পরীক্ষা/প্রস্তুতি শুরু করার আগে সবাই নিজে নিজে পড়ে প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। এই সময়টাতে একা একা পড়াশুনা করে আপনার প্রস্তুতি প্রকৃতপক্ষে কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা বুঝতে পারেন না। পরবর্তীতে, Live MCQ-তে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে দেখা যায় আপনি অনেকের থেকে পিছিয়ে আছেন।
  • আমাদের অসংখ্য ইউজার দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পড়াশুনা করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমাদের অফিসিয়াল স্টাডিগ্রুপগুলো ভিজিট করলে কিছু নমুনা পেয়ে যাবেন। অনেকেই আছেন যারা ৮০০ – ১০০০+ পরীক্ষা ইতোমধ্যে দিয়ে ফেলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই আপনি তাদের সাথে Compete করতে গেলে আত্মবিশ্বাস কম অনুভব হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
  • মনে রাখতে হবে, মূল পরীক্ষাতেও আপনাকে এই তুখোড় পরীক্ষার্থীদের সাথেই প্রতিযোগিতা করতে হবে। সেজন্য প্রিলিতে পাশ করাটাও সহজ নয়, কঠিনই বটে। এরকম পরীক্ষার্থীদের সাপেক্ষে নিজের প্রস্তুতি একই রকম লেভেলে আনার জন্য আপনারও তাদের মতই পড়াশোনা করতে হবে।
  • মনে রাখতে হবে, আমরা আমাদের এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে আপনার জানার ঘাটতিটা আপনাকে ধরিয়ে দিচ্ছি; যাতে আপনি সেটা নিয়ে কাজ করে, কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে সেটা সহজে বুঝতে পারেন।

তবে কোনো অবস্থাতেই কয়েকটা ফেইল বা অন্যদের থেকে কম মার্ক পাচ্ছেন বলে – প্রতিযোগিতা থেকে সরে যাওয়া যাবে না। সরে যাওয়ার মানে হচ্ছে আপনি আরেকজনকে আপনার সামনে চলে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছেন।

বিসিএস বা অন্যান্য সকল প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার জন্য শুধু অন্যকে নয়, নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ারও প্রচেষ্টা থাকতে হবে।

অন্ধ বিশ্বাসের বিপরীতে প্রকৃত আত্মবিশ্বাস:

  • অনেকেই আছেন, একা একা পড়াশুনা করে ও কয়েকটা মডেল টেস্টের গাইড সলভ করে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গেছে – ধরে বসে থাকেন। আবার অনেকেই পাশ করার শর্টকাট খুঁজেন।
  • এভাবে হয়তো কদাচিৎ দুয়েকটা পরীক্ষা ভালো হয়ে যেতেও পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরকম প্রস্তুতি আত্মবিশ্বাসের বদলে অন্ধ বিশ্বাস তৈরি করে।

Live MCQ দীর্ঘসময় ধরে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে, অল্প অল্প করে অন্ধ বিশ্বাস ভেঙ্গে প্রকৃত আত্মবিশ্বাস তৈরি করে।

বিসিএস পরীক্ষার ক্ষেত্রে বলি, আপনাকে প্রতিযোগিতা করতে হবে ৩.৫ – ৪ লাখ পরীক্ষার্থীর সাথে এবং ১২-১৫ হাজারের মধ্যে থাকতে হবে। এই তীব্র প্রতিযোগিতাময় পরীক্ষায় টিকতে হলে আপনার প্রস্তুতিও নিতে হবে একইরকম প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরীক্ষার মাধ্যমেই।

প্রকৃত আত্মবিশ্বাস কীভাবে তৈরি হয়!

প্রকৃত আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় –

  • প্রথমত, পরিশ্রম করতে হবে।
  • দ্বিতীয়ত, পরিশ্রমের ফসল হিসেবে ক্ষুদ্র হলেও পরীক্ষিত সাফল্য থেকে।

অর্থাৎ, আপনি প্রচুর পড়াশুনা করে ৫-১০ হাজার পরীক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পাশ করলে আপনার পরিশ্রমের যথার্থতা শক্তভাবে প্রমাণ হচ্ছে, ফলশ্রুতিতে যৌক্তিক/প্রকৃত আত্মবিশ্বাস তৈরি হচ্ছে। অন্ধবিশ্বাস নয়।

প্রস্তুতিমূলক কয়েকটি পরীক্ষায় পাশ না করলেও হতাশ না হয়ে যারা পড়াশুনা ও পরীক্ষা চালিয়ে যান, তারাই শেষ পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসী হন এবং বিজয়ী হন।

আমাদের প্রশ্নপত্রের সাথে যে ব্যাখ্যা দেয়া হয়, তাতে বিস্তারিতভাবে ইনফরমেশন থাকে। ফলাফল প্রকাশের পর ধৈর্যসহকারে ব্যাখ্যা, প্রশ্ন ও উত্তর পড়ে রাখলে আপনি অন্যদের থেকে বেশি তথ্য জানলেন ⎯ যা আপনাকে তার থেকে এগিয়ে রাখবে।

পরিশ্রমী পরীক্ষার্থীরা বিস্তারিত পড়াশুনা করে প্রস্তুতির ফাউন্ডেশন স্ট্রং করেন, শর্টকার্ট খুঁজেন না। দিন শেষে এই Deep Learners-রাই আত্মবিশ্বাসী হয়ে পরীক্ষার হলে যান।

Deep Learning-এর মাধ্যমে কোনো বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়াশোনা করলে টেকসই প্রস্তুতি হবে। আর টেকসই প্রস্তুতি শুধু প্রিলিমিনারি নয়, বরং লিখিত ও ভাইভাতেও আপনাকে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রাখবে।

চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়ার সূত্রটা অনেকটা এরকম:

পরিশ্রম (Deep Learning) ➝ লিটমাস টেস্ট ➝ More Practice ➝ টেকসই প্রস্তুতি ➝ নিশ্চিত সাফল্য!

শুধু পরিশ্রম করা হলো, কিন্তু সেটার কোনো টেস্ট হলো না – তাহলে সাফল্য অনিশ্চিত হয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে একটি কথা প্রণিধানযোগ্য ⎯

“Blind faith is a poor substitute for knowledge.” ⎯ Benjamin Franklin

জ্ঞান এবং পরীক্ষিত ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই প্রকৃত আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে সাফল্যে রূপান্তর হয়।

তাই পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই, পাশাপাশি সেই পরিশ্রম সঠিক গন্তব্যে রয়েছে কিনা তাও পরীক্ষা করতে হবে। চূড়ান্ত সফলতা পরিশ্রমের মাধ্যমে আসে; কোনো শর্টকাট থেকে নয়।

আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমাদের ইউজারদের একটা বড় অংশই Deep Learners। আমাদের অধিকাংশ ব্যবহারকারী এতটাই পরিশ্রমী যে, তাঁদের দেখে আমাদের Live টিম আরো বেশি পরিশ্রম করার উদ্যম পায়।

আমরা অত্যন্ত গর্বের সাথে বলতে পারি যে,

আমাদের ইউজাররা যারা পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের সেরাটা দিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন, তারা বিসিএসের মূল পরীক্ষার হলে যাওয়ার পূর্বে বলে যান – “১৬তম মডেল টেস্ট দিতে বাসা থেকে বের হলাম।

That’s how real confidence looks like!

[আপনারা জানেন, আমরা মূল পরীক্ষার পূর্বে ১৫টি মডেল টেস্ট নিয়ে থাকি।]

চাকরির মূল পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে আমরা অলওয়েজ আমাদের ইউজারদের Live পরীক্ষায় অংশগ্রহণকে বিভিন্ন উপায়ে উৎসাহিত করে থাকি। “কঠিন প্রশিক্ষণ, সহজ যুদ্ধ” এই মূলমন্ত্র থেকেই আমরা আমাদের ইউজারদেরকে পরিশ্রম করে Deep Learning এর মাধ্যমে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি।

প্রচুর পড়াশুনা করুন, প্রকৃত আত্মবিশ্বাস অর্জন করুন। Live MCQ আপনাদের প্রস্তুতির পরিবেশকে আরো প্রতিযোগিতাময় করে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সর্বদা কাজ করে যাবে।

সকলের পরিশ্রম সাফল্যে রূপান্তরিত হোক।

শুভকামনায়

Live MCQ – Since 2017

হাজারো প্রতিযোগীর সাথে প্রতিযোগিতামূলক লাইভ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রস্তুতি নিন!