আমাদের দেশে পুলিশ বিভাগের অফিসার পদে দুই ভাবে নিয়োগ পাওয়া সম্ভব। যার মধ্যে একটি হচ্ছে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সরাসরি পুলিশ ক্যাডার (সহকারী পুলিশ সুপার) পদে, এবং অন্যটা হচ্ছে পুলিশ বিভাগ কর্তৃক সরাসরি সাব-ইন্সপেক্টর (এস আই) / উপ পরিদর্শক পদে। বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ ক্যাডার হওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা কঠিন হলেও শারীরিক যোগ্যতা থাকলে সাব ইন্সপেক্টর (এস আই) পদে পুলিশে যোগদানের জন্য আপনাকে তুলনামূলক অনেক কম পরিশ্রম করলেও চলবে।

বর্তমানে উন্নত বেতন স্কেল, রেশন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে অল্প সময়েই কোটিপতি হওয়ার সুযোগ, এই চাকরিটিকে করেছে আরও বেশী আকর্ষণীয়। তাছাড়া বাংলাদেশ পুলিশে এসআই পদে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে আপনি যেমন দেশ তথা জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবেন ঠিক তেমনি জনগণের কাছ থেকে পাবেন যথাযথ সম্মান। আর এক্ষেত্রে শুধু আপনি নন বরং আপনার পরিবারও হবে সম্মানিত এবং গর্বিত।

আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কীভাবে খুব সহজেই স্মার্ট উপায়ে সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া যায়।

সাব ইন্সপেক্টর (এস আই) নিয়োগের যোগ্যতা:

সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে নিয়োগ পেতে চাইলে আপনার তিন ধরনের যোগ্যতা থাকতে হবে। এই ধরন তিনটি হচ্ছে,

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

  • প্রার্থীকে অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থেকে ন্যূনতম স্নাতক বা সমমানের পরীক্ষায় ডিগ্রি প্রাপ্ত হতে হবে।

শারীরিক যোগ্যতা:

  • আপনি একজন পুরুষ প্রার্থী হয়ে থাকলে আপনার উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি বা ১.৬৭৬৪ মিটার হতে হবে। এছাড়া আপনার বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি বা ০.৮১২৮ মিটার হতে হবে।
  • আর আপনি একজন নারী প্রার্থী হয়ে থাকলে আপনার দৈহিক উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি বা ১.৬২৫৬ মিটার হতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার জন্য বুকের মাপ প্রযোজ্য হবে না।
  • পুরুষ ও নারী উভয় প্রার্থীর জন্যই বয়স ও উচ্চতার সাথে ওজন অনুমোদিত পরিমাপের হতে হবে অর্থাৎ BMI (Body Mass Index) ঠিক থাকতে হবে।
  • উভয় প্রার্থীর ক্ষেত্রেই দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ থাকা বাধ্যতামূলক।

অন্যান্য যোগ্যতা:

  • প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ১৯ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২৭ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে। (তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য)
  • প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
  • অবিবাহিত হতে হবে (তালাক প্রাপ্ত/ তালাক প্রাপ্তা গ্রহণযোগ্য নয়)।
  • অবশ্যই কম্পিউটার চালনায় দক্ষ হতে হবে।

উপরে উল্লেখিত যোগ্যতাসমূহ আপনার থেকে থাকলে আপনি সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে আবেদন করতে পারবেন।

যেভাবে সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগের জন্য আবেদন করবেনঃ

সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে থাকা যোগ্যতা এবং শর্তসমূহ আপনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে আপনি এই পদের জন্য প্রাথমিক ভাবে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে http://police.teletalk.com.bd/ লিংকে প্রবেশ করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের পূর্বে আপনাকে বেশ কিছু জিনিস প্রস্তুত করে রাখতে হবে। সেগুলো হল:

  • ডিজিটাল ক্যামেরায় সদ্য তোলা প্রার্থীর ৩০০ X ৩০০ পিক্সেল এর রঙিন ছবির (সফট কপি)।
  • প্রার্থীর ছবির ফাইল সাইজ হতে হবে ১০০ কিলোবাইটের কম।
  • কালো কালির কলম দিয়ে আপনার একটি স্বাক্ষরের ৩০০ X ৮০ পিক্সেলের (সফট কপি)
  • প্রার্থীর স্বাক্ষরের ফাইল সাইজ হতে হবে ৬০ কিলোবাইটের কম।

আবেদনের জন্য আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন। আবেদন করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে আবেদনের কোন অংশেই কোন ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য দেয়া যাবে না। আপনি এমনটি করলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়ার যেকোনো মুহূর্তে আপনার আবেদন বাতিল করতে পারেন।

বাংলাদেশ পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ ফরম টি দেখুন

সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ প্রক্রিয়া:

সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনের পর থেকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মূলত ১১ টি ধাপে এই বাছাই পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়। এই ধাপগুলো হচ্ছে:

১। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন,

২। ওয়েব বেজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং,

৩। শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাইকরণ,

৪। শারীরিক সক্ষমতা যাচাই বা Physical Endurance Test,

৫। ওয়েব বেজড আবেদন ফরম পূরণ,

৬। লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ,

৭। কম্পিউটার দক্ষতার পরীক্ষা গ্রহণ,

৮। মৌখিক পরীক্ষা,

৯। মেডিক্যাল টেস্ট বা স্বাস্থ্য পরীক্ষা,

১০। পুলিশ ভেরিফিকেশন,

১১। ক্যাডেট এসআই (নিরস্ত্র) হিসেবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন।

নিম্নে এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা

১। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন:

নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপেই প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে করতে হবে।

২। ওয়েব বেজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং:

আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে এসএসসি, এইচএসসি, ডিগ্রি/স্নাতক/সমমান পরীক্ষার ফলাফল এবং উচ্চতার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত নিয়োগবিধি অনুযায়ী ওয়েববেজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্টসংখ্যক যোগ্য প্রার্থীকে শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাইকরণসহ শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষা (Physical Endurance Test – PET) এর জন্য নির্বাচন করা হবে। যোগ্য প্রার্থীদের মোবাইলে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পাঠানো হবে। তারপর ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের পর প্রিন্ট (২ কপি) করে শারীরিক মাপ ও Physical Endurance Test এর দিন নিয়ে যেতে হবে।

৩। শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাইকরণ:

এই প্রক্রিয়াটি সর্বমোট ৩ দিনে অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে প্রথম দিনে শারীরিক মাপ এবং কাগজপত্র যাচাইকরণ হয়ে থাকে।

১ম দিন:

প্রথম দিনে ওয়েববেজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিংয়ে বাছাই করা প্রার্থীদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তারিখ, সময় ও স্থানে শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাইকরণসহ শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এই দিন আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ পরীক্ষার ভেন্যুতে উপস্থিত হলে প্রথমেই একটি স্কেলের সাহায্যে আপনার উচ্চতা মেপে ভেন্যুর ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। তারপর সেখানে একে একে আবার আপনার উচ্চতা, ওজন ও বুকের মাপ (পুরুষ পরীক্ষার্থী হয়ে থাকলে) মেপে দেখা হবে। তারপর আপনার কাগজপত্র যাচাই করে সব কিছু ঠিক থাকলে আপনাকে শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষার এডমিট দিয়ে পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। এই ধাপে অংশগ্রহণের জন্য আপনাকে যে কাগজপত্রগুলো সাথে নিতে হবে সেগুলো হল:

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসমূহ হল:

  • প্রবেশপত্র- ২ কপি (PET Physical Endurance Test পরীক্ষার জন্য)
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
  • কম্পিউটার দক্ষতার সনদপত্র
  • চারিত্রিক সনদপত্র
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল কপি)
  • চাকরিজীবী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র
  • প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও প্রত্যয়নপত্র
  • অভিভাবকের সম্মতিপত্র সহ ইনডেমনিটি ঘোষণাপত্র

৪। শারীরিক সক্ষমতা যাচাই বা Physical Endurance Test:

প্রথম দিনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে এই ধাপ টি সম্পন্ন হয়। এ ধাপে প্রার্থীকে সাতটি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে হবে। ইভেন্টগুলো হলো দৌড়, লং জাম্প, হাই জাম্প, পুশ আপ, সিট আপ, ড্র্যাগিং ও রোপ ক্লাইমিং। প্রতিটি ইভেন্টেই পাস করতে হবে। একটি ইভেন্টে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ইভেন্টে অংশ নেওয়া যাবে না। শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নিয়মিত অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। এই দুই দিন পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সব কাগজপত্র নিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষার ভেন্যুতে উপস্থিত থাকতে হবে।

২য় দিন:

২য় দিন ভেন্যুতে উপস্থিত হওয়ার পর শুরু হবে আপনার শারীরিক সক্ষমতা যাচাইয়ের ইভেন্টসমূহ। এই ইভেন্টসমূহের প্রতিটিতে আপনাকে আলাদাভাবে কৃতকার্য হতে হবে। কোন একটি ইভেন্টে আপনি অকৃতকার্য হলে পরের ইভেন্টে আর অংশ নিতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনার আর সাব-ইন্সপেক্টর হওয়া হবে না। এই ইভেন্টসমূহ হচ্ছে,

  • প্রথম ইভেন্ট (দৌড়): এই ইভেন্টে একজন পুরুষ পরীক্ষার্থীকে সঠিক নিয়ম মেনে ৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে ১ হাজার ৬০০ মিটার এবং একজন নারী একজন নারী পরীক্ষার্থী হয়ে থাকলে ৭ মিনিটে ১০০০ মিটার দূরত্ব দৌড়ে পার হতে হবে।
  • দ্বিতীয় ইভেন্ট (লং জাম্প): দৌড়ের ইভেন্টে কৃতকার্য হলে পুরুষ পরীক্ষার্থীদের কমপক্ষে ১০ ফুট এবং নারী পরীক্ষার্থীদের কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্ব লং জাম্পের মাধ্যমে পার হতে হবে। এই ইভেন্টে কৃতকার্য হওয়ার জন্য আপনি মোট তিনবার সুযোগ পাবেন। এই ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম ভঙ্গ করলে আপনাকে ডিসকোয়ালিফায়েড ঘোষণা করা হবে।
  • তৃতীয় ইভেন্ট (হাই জাম্প): লং জাম্পে সফল হলে এরপর আপনাকে হাই জাম্প ইভেন্টে যোগ দিতে হবে। এই পর্যায়ে একজন পুরুষ প্রার্থীকে যথাযথ নিয়ম মেনে কমপক্ষে ৩ দশমিক ৫ ফুট এবং নারী প্রার্থীকে কমপক্ষে ২ দশমিক ৫ ফুট উচ্চতা জাম্প করে পার হতে হবে। লং জাম্পের মতো এই ইভেন্টেও কৃতকার্য হওয়ার জন্য মোট তিনবার সুযোগ দেয়া হবে।

৩য় দিন:

২য় দিনের ইভেন্টসমূহে কৃতকার্য হলে আপনি ৩য় দিনের ইভেন্টসমূহে অংশ নেবার বিষয়ে অনুমতি পাবেন। ৩য় দিন ভেন্যুতে উপস্থিত হওয়ার পর আপনাকে যে ইভেন্টসমূহে অংশ নিতে হবে সেগুলো হচ্ছে,

  • চতুর্থ ইভেন্ট (পুশআপ): এই পর্যায়ে একজন পুরুষ প্রার্থীকে ৪০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে ১৫টি এবং নারী প্রার্থীকে ৩০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে ১০টি পুশ আপ করতে হবে। পুশআপ করবার সময় আপনি নির্ধারিত নিয়মের কোন ব্যত্যয় ঘটালে আপনাকে ডিসকোয়লিফায়েড ঘোষণা করা হবে।
  • পঞ্চম ইভেন্ট (সিট আপ): পুশ আপ এর পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হলে আপনাকে সিট আপ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এ পর্যায়ে পুরুষ প্রার্থীদের ৪০ সেকেন্ডে ১৫টি সিট আপ এবং নারী প্রার্থীদের ৩০ সেকেন্ডে ১০টি সিট আপ দিতে হবে।
  • ষষ্ঠ ইভেন্ট (ড্র্যাগিং): পুরুষ প্রার্থীদের ১৬০ পাউন্ড ওজনের টায়ার টেনে ৩০ ফুট দূরত্ব এবং নারী প্রার্থীদের ১২০ পাউন্ড ওজনের টায়ার টেনে ২০ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে।
  • সপ্তম ইভেন্ট (রোপ ক্লাইমিং): এই পর্যায়ে একজন পুরুষ প্রার্থীকে নিয়ম মেনে ১২ ফুট এবং নারী প্রার্থীকে ৮ ফুট রোপ ক্লাইম্বিং করতে হবে বা দড়ি বেয়ে উঠতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনি একবার ব্যর্থ হলে আরেকবার রোপ ক্লাইমিং সুযোগ পাবেন।

ইউটিউবে বাংলাদেশ পুলিশের অফিশিয়াল চ্যানেলে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পদের নিয়োগ পরীক্ষার ‘সর্বশেষ পরিবর্তিত পদ্ধতি’ নামের একটি অনুশীলন ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। এই ভিডিও দেখলে Physical Endurance Test-এর ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যাবে। সে অনুসারে মূল পরীক্ষার আগে ন্যূনতম এক মাস নিয়মিত অনুশীলন করে যাবেন। আপনাদের সুবিধার্থে এই Video টি নিম্নে দেওয়া হল:

৫। ওয়েববেজড আবেদন ফরম পূরণ:

শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষা বা Physical Endurance Test-এর সাতটি ইভেন্টে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সব প্রাতিষ্ঠানিক সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ, কম্পিউটার সনদ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স, মুক্তিযোদ্ধা সনদসহ অন্য তথ্যাবলি ব্যবহার করে লিখিত মনস্তত্ত্বসহ কম্পিউটার দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদন করে ৫৫০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। তারপর লিখিত ও মনস্তত্ত্বসহ কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

৬। লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষা:

প্রার্থীদের তিনটি ধাপে মোট ২৫০ নম্বরের লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষায় প্রার্থীদের অংশ নিতে হবে। মূলত এই লিখিত পরীক্ষা চাকরি পাওয়ার মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। তাই এই অংশে ভালো করার বিকল্প নেই। লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হলে অবশ্যই বিগত বছরের পরীক্ষাগুলো বিশ্লেষণ করতে হবে। বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে। সাব-ইন্সপেক্টর লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবন্টন নিম্নরূপ-

লিখিত পরীক্ষার বিষয়পূর্ণমান
ইংরেজি এবং বাংলা রচনা ও কম্পোজিশন১০০
সাধারণ জ্ঞান ও গণিত১০০
মনস্তত্ত্ব৫০

লিখিত পরীক্ষার প্রথম দিন ইংরেজি ও বাংলা রচনা ও কম্পোজিশন পরীক্ষা হবে এবং পরের দিন সাধারণ জ্ঞান, গণিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

Install Live Written Mobile App Button

৭। কম্পিউটার দক্ষতার পরীক্ষা গ্রহণ:

লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নির্ধারিত স্থান, তারিখ ও সময়সূচি অনুযায়ী কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষায় (MS Office, Web Browsing, Troubleshooting) অংশগ্রহণ করতে হবে।

৮। বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিক পরীক্ষা:

কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নির্ধারিত স্থান, তারিখ ও সময়সূচি অনুযায়ী ৫০ নম্বরের বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। লিখিত, মনস্তত্ত্বসহ বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নিয়োগবিধি মোতাবেক উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে।

৯। স্বাস্থ্য পরীক্ষা:

প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

১০। পুলিশ ভেরিফিকেশন:

স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীরা পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করবেন। পুলিশ ভেরিফিকেশনে সন্তোষজনক বলে বিবেচিত হলে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে বাংলাদেশ পুলিশের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হবে।

১১। ক্যাডেট এসআই (নিরস্ত্র) হিসেবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন:

উপরিউক্ত ১০ টি ধাপ সফলাভাবে অতিক্রম করার পর একজন প্রার্থী বাংলাদেশ পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) হিসেবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত প্রার্থীদের এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রশিক্ষণকালীন সরকারি বিধি মোতাবেক তারা প্রতি মাসে প্রশিক্ষণ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

সাব ইন্সপেক্টর (এস আই) নিয়োগ প্রস্তুতির জন্য ১১ টি পরামর্শ:

১। প্রতিদিন দৌড়ানো: বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর হতে গেলে শুধু বইয়ের পড়াশোনাই যথেষ্ট নয়। এখানে শারীরিক সক্ষমতাও জরুরি। এখানে (Physical Endurance Test – PET) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য পুরুষ প্রার্থীদের ১ হাজার ৬০০ মিটার দৌড় ৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে এবং নারী প্রার্থীদের ১ হাজার মিটার দৌড় ৭ মিনিটে অতিক্রম করতে হবে। তাই আজ থেকেই প্রতিদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে দৌড়ানোর অভ্যাস করুন। হঠাৎ করে দৌড়ানো শুরু করলে এক দিনে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক। তাই প্রতিদিন একটু একটু করে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

২। জাম্পিং অনুশীলন: আপনারা ইতোমধ্যেই জেনেছেন যে সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষায় দুই ধরনের জাম্পে অংশগ্রহণ করতে হবে। যেগুলো হচ্ছে লং জাম্প ও হাই জাম্প। তাই এখন থেকে প্রতিদিনই জাম্প করার অনুশীলন করতে হবে। প্রতিদিন অনুশীলন করলে সহজ সাবলীলভাবেই আপনি জাম্প করতে পারবেন। নির্দিষ্ট উচ্চতায় দড়ি বেঁধে হাই জাম্প এবং নির্দিষ্ট দূরত্বের পর দাগ দিয়ে লং জাম্প অনুশীলন করুন। এক্ষেত্রে জাম্প করতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত আঘাত এড়ানোর জন্য যেখানে আপনি ল্যান্ড করবেন সেখানে অবশ্যই নরম মাটি বা বালি রেখে অনুশীলন করুন।

৩। প্রতিদিন পুশআপ দিন: প্রতিদিন বেশি বেশি পুশ আপ অনুশীলন করার অভ্যাস করুন। পুশআপ নিয়মিত দিলে শারীরিক সক্ষমতা বাড়ে। তবে যাদের একদমই পুশআপ দেওয়ার অভিজ্ঞতা নেই এবং একদমই পারছেন না তারা হাঁটু গেড়ে (knee push up) দিতে পারেন। এতে করে আপনার সক্ষমতা বাড়বে এবং আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ভাবে পুশ আপ দিতে পারবেন।

৪। সিট আপ দিন: পুশ আপ এর পাশাপাশি আপনাকে প্রতিদিন সিট আপেরও অনুশীলন করতে হবে। প্রতিদিন অনুশীলন করলে আপনি সহজেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই ধাপ টি অতিক্রম করতে পারবেন। প্রথম দিকে সিট আপ দিতে একটু কষ্ট মনে হলেও আস্তে আস্তে এটি আপনার আয়ত্তে চলে আসবে।

৫। ড্র্যাগিং শিখুন: বাকি সবগুলো অনুশীলনের সাথে আপনি আগে থেকেই পরিচিত থাকলেও ড্র্যাগিং বিষয়টি আপনার জন্য একদমই নতুন। মনে রাখবেন ড্র্যাগিং শুধুমাত্র শক্তির পরীক্ষা নয় এটি একটি কৌশলেরও বিষয়। তাই আগে থেকে এটি না শিখলে আপনি (Physical Endurance Test – PET) পরীক্ষায় ভালো করতে পারবেন না। আর তাই পদার্থ বিজ্ঞানের বেসিক নলেজ কে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন পুরুষ প্রার্থীরা ১৬০ পাউন্ড এবং নারী প্রার্থীরা ১২০ পাউন্ডের টায়ারকে টেনে নেওয়ার জন্য নিয়মিত চর্চা করুন।

৬। দড়ি বেয়ে উঠুন: নিয়মিত দড়ি বেয়ে নির্দিষ্ট উচ্চতায় উঠার অভ্যাস করুন। আগে থেকে অভ্যাস না করলে দড়ি বেয়ে উঠার পরীক্ষায় আপনার অকৃতকার্য হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। দড়ি বেয়ে উপরে উঠার ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগের সাথে সাথে কৌশল অবলম্বন করা জরুরি। এখানেও পদার্থ বিজ্ঞানের বেসিক নলেজ আপনার কাজে আসবে। ইউটিউবে সার্চ করেও Rope Climbing এর কিছু টিপস দেখে নিতে পারেন।

৭। বিগত সালের প্রশ্ন অনুশীলন: বিগত সালের প্রশ্নের প্যাটার্ন অনুসরণ করলে দেখা যায় যে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টরের নিয়োগ পরীক্ষায় কমন কয়েকটি টপিক থেকেই বেশি প্রশ্ন এসে থাকে। বিগত সালের প্রশ্ন নিয়মিত অনুশীলন করলে আপনি ভালো ধারণা পাবেন। তাই বিগত সালের প্রশ্নগুলো নিয়মিত অনুশীলন করুন।

৮। নিয়মিত পত্রিকা পড়ুন: চাকরির প্রস্তুতির জন্য দৈনিক পত্রিকা খুব ভালো একটা মাধ্যম। নিয়মিত পত্রিকা পড়লে সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞানের প্রস্তুতি অনেকাংশে হয়ে যাবে। তাই মনোযোগ দিয়ে নিয়মিত পত্রিকা পড়তে হবে। এবং পত্রিকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ও তথ্য নোট করে রাখতে হবে।

৯। নিয়মিত গণিত অনুশীলন: বিগত সালের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কয়েকটি কমন টপিক থেকেই বারবার গণিতের প্রশ্ন এসে থাকে। যেমন গ.সা.গু ও ল.সা.গু, ভগ্নাংশ, সরলীকরণ, ঐকিক নিয়ম, গড়, অনুপাত ও সমানুপাত, শতকরা ও লাভ ক্ষতি, সুদকষা, পরিমাপ, ক্ষেত্রফল ইত্যাদি। নির্ভুল ভাবে গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য এই বিষয়টি অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে একটু বেশিই চর্চা করতে হয়।

১০। কম্পিউটার টাইপিং শিখুন: শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষা, লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষায় অনেকে উত্তীর্ণ হলেও শুধুমাত্র কম্পিউটারে ভালো দক্ষতা না থাকার জন্য অনেক প্রার্থীই সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই অংশে বাদ পরে যায়। তাই নিয়মিত কম্পিউটারে বাংলা ও ইংরেজিতে দ্রুত গতিতে টাইপ করা এবং বেসিক ট্রাবলশুট সলভ করা শিখুন। আপনার কাছে কম্পিউটার না থাকলে নিকটস্থ ডাক বিভাগের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়েও এটি অনুশীলন করতে পারেন।

১১। স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের অভ্যাস: সাব-ইন্সপেক্টরের লিখিত পরীক্ষায় বসতে হলে আপনাকে শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তাই এখানে শারীরিক ফিটনেস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান, পর্যাপ্ত ঘুমান। তা ছাড়া ওজন বাড়ানো বা কমানোর প্রয়োজন হলে সেটির দিকে গুরুত্ব দিয়ে মনোযোগ দিতে হবে। আজ থেকেই স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের অভ্যাস করুন।

Install Live Written Mobile App Button

সাব ইন্সপেক্টর (এস আই) লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি:

বাংলাদেশ পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর (এস আই) লিখিত পরীক্ষায় সাধারণত খুব বেশি গভীর থেকে প্রশ্ন করা হয় না। একটু গুছিয়ে প্রস্তুতি নিতে পারলে এই ধাপটি খুব সহজেই অতিক্রম করা যায়। এই পর্যায়ে সাধারণত প্রত্যেক বিষয়ের বেসিক থেকে প্রশ্ন করা হয়। কর্তৃপক্ষ লিখিত পরীক্ষার জন্য শুধু বিষয়ের নাম ও সিলেবাস দিয়েছে, কিন্তু নির্দিষ্ট বিষয়ের অভ্যন্তরীণ কোন টপিক থেকে প্রশ্ন আসবে তা দেয় নি। যেহেতু টপিক ফিক্সড না সেহেতু মূল পরীক্ষায় প্রশ্নের প্যাটার্ন ও টপিকের পরিবর্তন হতে পারে, নাও হতে পারে। তবে সমন্বিত প্রস্তুতি একটি ভালো প্রস্তুতি নিতে পারলে যেকোনো প্যাটার্নের প্রশ্নেই ভালো পরীক্ষা সম্ভব। তাই এখানে বিগত সালের পরীক্ষা প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে সকল টপিক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

সাব ইন্সপেক্টর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি (বাংলা):

সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষায় বাংলা বিষয়ে সর্বমোট ৫০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। বিগত সালের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাংলা বিষয়ের নিম্নোক্ত টপিক থেকে বারবার প্রশ্ন আসতে দেখা গিয়েছে –

  • রচনা: সাধারণত দুটি রচনা থাকে, যেকোনো একটি রচনার উত্তর করতে হয়। রচনাটি ১০/১৫ নম্বরের হতে পারে।
  • ভাবসম্প্রসারণ: সাধারণত ১০ নম্বরের একটি ভাব-সম্প্রসারণ থাকে এবং সেটির উত্তর করতে হয়।
  • ব্যাকরণ: ব্যাকরণ থেকে সবসময়ই ১০ নম্বরের প্রশ্ন আসে। অধিকাংশ পরীক্ষায় এক কথায় প্রকাশ, বাগধারার অর্থসহ বাক্য রচনা আসে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সন্ধি, সমাস, বিপরীত শব্দ, সমার্থক শব্দ প্রভৃতি ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ টপিক থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
  • সাহিত্য: সাধারণত সাহিত্য থেকে কম প্রশ্ন আসে। তবে সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগ ২০২১ পরীক্ষায় ১০ নম্বরের সাহিত্যের প্রশ্ন এসেছে।
  • অনুবাদ: সবসময়ই ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ পরীক্ষায় এসে থাকে। অনুবাদটি ১০/১৫ নম্বরের হতে পারে।

সাব ইন্সপেক্টর লিখিত বাংলা অংশে ভালো করতে আমাদের পরামর্শ:

  • বাংলা রচনার জন্য সমসাময়িক এবং জাতীয় সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে জোর দিতে হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত, পুলিশ সম্পর্কিত বিষয়গুলো দেখে যেতে হবে।
  • ভাব-সম্প্রসারণের জন্য ৯ম-১০ম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভাব-সম্প্রসারণ অনুসরণ করলেই চলবে।
  • ব্যাকরণ অংশে এককথায় প্রকাশ, অর্থসহ বাক্য রচনা, বাগধারা, সন্ধি, বিপরীত শব্দ, সমার্থক শব্দ, সমাস, কারক, উপসর্গ, প্রকৃতি ও প্রত্যয় প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়ে যাবেন।
  • সাহিত্যে অংশে গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম এবং আধুনিক যুগের গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের সাহিত্যকর্ম দেখে যাবেন।
  • অনুবাদের জন্য বেশি বেশি অনুশীলনের বিকল্প নেই।
Install Live Written Mobile App Button

সাব ইন্সপেক্টর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি (ইংরেজি): 

সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত ধাপে ইংরেজি অংশের জন্য সর্বমোট ৫০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। পূর্বে অনুষ্ঠিত হওয়া লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে নিম্নের গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো সাজানো হয়েছে:

  • Essay: সাধারণত দুটি Essay থাকে, যেকোনো একটি Essay এর উত্তর করতে হয়। Essay-টি ১০/১৫ নম্বরের হতে পারে।
  • Passage: মাঝেমধ্যে ১০ নম্বরের একটি Passage থাকে, যার মধ্যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয়।
  • Grammar: সবসময়ই Grammar থেকে ১০ নম্বরের প্রশ্ন আসে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে Fill in the gap এবং Make sentences with Idioms থেকে প্রশ্ন আসে।
  • Letter: ১০ নম্বরের একটি Lettter প্রায়ই আসে।
  • Translation: প্রতিবারই ১০/১৫ নম্বরের বাংলা থেকে ইংরেজি Translation আসে।

সাব ইন্সপেক্টর লিখিত বাংলা অংশে ভালো করতে আমাদের পরামর্শ:

  • রচনার জন্য সমসাময়িক এবং জাতীয় সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে জোর দিতে হবে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত, পুলিশ সম্পর্কিত বিষয়গুলো দেখে যেতে হবে।
  • Grammar এর ক্ষেত্রে Appropriate preposition, Idioms and Phrases, Parts of Speech, Article, Preposition, Fill in the gap, Vocabulary, Number, Tense, Verb, Sentence correction প্রভৃতি অংশ ভালোভাবে দেখে যাবেন।
  • অনুবাদের জন্য বেশি বেশি অনুশীলনের বিকল্প নেই।

সাব ইন্সপেক্টর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি (সাধারণ জ্ঞাণ): 

সাব ইন্সপেক্টর লিখিত পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞাণ অংশে সর্বমোট ৫০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। পূর্বে অনুষ্ঠিত হওয়া এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে মোট ৪ ধরনের প্রশ্নের প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়। যা নিম্নে আলোচনা করা হল – 

  • বিশ্লেষণমূলক প্রশ্ন: ১০ নম্বর করে মোট ২০ নম্বরের দুটি বিশ্লেষণমূলক/রচনামূলক প্রশ্ন থাকতে পারে। একটি বাংলাদেশ বিষয়াবলি এবং একটি আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে প্রশ্ন আসে।
  • সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন: বাংলাদেশ বিষয়াবলি অংশ থেকে মোট ১০ নম্বরের ৫/১০টি এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি অংশ থেকে মোট ১০ নম্বরের ৫/১০টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন অর্থাৎ ২০ নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন আসতে পারে।
  • টীকা: সাধারণত ৪/৫টি টীকা আসে, মোট নম্বর থাকে ১০.
  • পূর্ণরূপ: মাঝেমধ্যে ৫/১০ নম্বরের বিভিন্ন টার্মের পূর্ণরূপ আসতে দেখা যায়।

সাব ইন্সপেক্টর লিখিত সাধারণ জ্ঞাণ অংশে ভালো করতে আমাদের পরামর্শ:

  • সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো দেখে যাবেন।
  • মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় উন্নয়ন, মেগা প্রকল্প ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি দেখে যাবেন।
  • বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি গোয়েন্দা সংস্থাসহ পুলিশ-সম্পর্কিত তথ্য জেনে যাবেন।
  • বিভিন্ন জাতীয়-আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গুরত্বপূর্ণ টার্মের পূর্ণরূপ দেখে যাবেন।
Install Live Written Mobile App Button

সাব ইন্সপেক্টর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি (সাধারণ গণিত):

সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত ধাপে সাধারণ গণিত অংশের জন্য সর্বমোট ৫০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। পূর্বে অনুষ্ঠিত হওয়া লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে নিম্নের গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো সাজানো হয়েছে:

  • পাটিগণিত: গণিতের মধ্যে সব পরীক্ষায় পাটিগণিত থেকে বেশি প্রশ্ন এসেছে। সর্বনিম্ন ২০ থেকে সম্পূর্ণ প্রশ্ন পাটিগণিত থেকে আসতে পারে। তাই অংশকে ভালোভাবে জোড় দিয়ে পড়তে হবে।
  • বীজগণিত: বীজগণিত থেকে প্রায়ই প্রশ্ন আসে। ১০ থেকে ২০ নম্বরের বীজগণিতের প্রশ্ন থাকতে পারে।
  • জ্যামিতি: জ্যামিতি থেকে সবসময় প্রশ্ন আসে না। মাঝেমধ্যে জ্যামিতির বেসিক অংশ থেকে ১০ নম্বরের প্রশ্ন আসতে পারে।

সাব ইন্সপেক্টর লিখিত সাধারণ গণিত অংশে ভালো করতে আমাদের পরামর্শ:

  • পাটিগণিত অংশে বাস্তব সংখ্যা, ল.সা.গু/গ.সা.গু, মুনাফা, লাভ-ক্ষতি, শতকরা, ঐকিক নিয়ম, অনুপাত-সমানুপাত, পরিমাপ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো করবেন।
  • বীজগণিত অংশে উৎপাদক, মান নির্ণয়, সরল সহ সমীকরণ, সূচক, লগারিদম প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো বার বার করে যাবেন।
  • জ্যামিতি অংশে পরিমিতি, গুরুত্বপূর্ণ উপপাদ্য, গুরুত্বপূর্ণ জ্যামিতিক সংজ্ঞা দেখে যাবেন।

সাব ইন্সপেক্টর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি (মনস্তত্ত্ব):

সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত ধাপে মনস্তত্ত্ব অংশের জন্য সর্বমোট ৫০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। পূর্বে অনুষ্ঠিত হওয়া লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে নিম্নের গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো সাজানো হয়েছে:

মনস্তত্ত্বের টপিকসমূহ:

  • মনস্তত্ত্বের টপিক বিসিএস পরীক্ষার প্রিলি ও লিখিত মানসিক দক্ষতার টপিকের সাথে অনেকটাই সামঞ্জস্যপূর্ণ।
  • বেশিরভাগ প্রশ্ন ২ নম্বর করে থাকে, কয়েকটা ১/৩ নম্বরের হয়ে থাকে। সব মিলিয়ে ২২ ২৫টি প্রশ্ন থাকে।
  • প্রশ্নগুলো এমসিকিউ এবং লিখিত উভয় প্যাটার্নেই থাকে। অর্থাৎ কিছু প্রশ্নের উত্তর বৃত্ত ভরাট করতে হয়, আবার কিছু প্রশ্নের উত্তর সরবরাহকৃত উত্তরপত্র লিখতে হয়।

সাব ইন্সপেক্টর লিখিত সাধারণ মনস্তত্ত্ব অংশে ভালো করতে আমাদের পরামর্শ:

মনস্তত্ত্বে সাধারণত ভাষা ও সাহিত্য, সাদৃশ্য বিচার, সাংকেতিক বিন্যাস বা পুনর্বিন্যাস, সম্পর্ক ও বিশেষত্ব নির্ণয়, অসম্ভাব্যতা বিচার, বর্ণবিন্যাস ও শব্দ গঠন, গাণিতিক যুক্তি, জ্যামিতির মৌলিক বিষয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন করা হয়। বিসিএসের জন্য প্রচলিত প্রস্তুতি নিলেই এ অংশের প্রস্তুতি হয়ে যাবে। লিখিত প্রস্তুতির জন্য রেফারেন্সের তালিকা:

  • বাংলা: ৯ম-১০ম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বই; Live MCQ বাংলাবিদ ব্যাকরণ; বাজারে প্রচলিত ভালোমানের গাইডবই।
  • ইংরেজি: যেকোনো ভালো লেখকের গ্রামার বই; বাজারে প্রচলিত নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।
  • সাধারণ জ্ঞান: ৯ম-১০ম শ্রেণির ইতিহাস ও বাংলাদেশ বিশ্বপরিচয় বই; বাংলাপিডিয়া ও নির্ভরযোগ্য যেকোনো তথ্যকোষ; জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র; বাজারে প্রচলিত নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।
Install Live Written Mobile App Button

এসআই পদে চাকরি পাওয়ার পর যে যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়:

১ বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ চলাকালীন সুযোগ সুবিধাসমূহ:

  • বিনা মূল্যে খাবার
  • বিনা মূল্যে বাসস্থান
  • বিনা মূল্যে ইউনিফর্ম
  • বিনা মূল্যে চিকিৎসা
  • সরকারি বিধি মোতাবেক নির্ধারিত প্রশিক্ষণ ভাতা

প্রশিক্ষণ শেষে কর্মস্থলে যোগদান করার পর সুযোগ সুবিধাসমূহ:

  • টিএ/ডিএ বিল।
  • পারিবারিক ও সামাজিক নিরাপত্তা।
  • মামলা বিল (তবে এই বিল দুটি বেতনের সাথে পাবেন না। ২-৩ মাস পরপর আলাদাভাবে ভাউচার করে তুলতে হবে।)
  • হরতাল অবরোধের সময় স্পেশাল ডিউটির জন্য বিশেষ এলাউন্স।
  • ইউনিট অনুসারে পোস্টিংয়ের জন্য বিশেষ ভাতা।
  • এখানে চাকরির বৈচিত্র্য আছে। আপনি চাইলে ইউনিফর্ম পরে থানায় ব্যস্ততম জীবন-যাপন করতে পারেন অথবা পুলিশের অন্য ইউনিট-এ সিভিলের মতো এসি রুমে ৯টা-৫টা অফিস করতে পারেন।
  • রেশন: সাধারনত রেশন হিসেবে, চাল, ডাল, তেল, চিনি ইত্যাদি এবং ঈদের সময় স্পেশাল রেশন হিসাবে সেমাই, পোলাও চাল ইত্যাদি পাবেন।
  • পোশাক: সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের কাছ থেকে প্রতি বছর দুই সেট পুলিশ পোশাক পাবেন। সকালে ব্যায়াম করার জন্য একজোড়া কেডস জুতা এবং নিত্য ব্যবহার্য হিসাবে তোয়ালে, মশারি, বুট জুতা, মোজা, জুতার ব্রাস ও কালি পাবেন।
  • মিশন: আপনার চাকরির বয়স ৫ বছর পূর্ণ হলে যোগ্যতা অনুসারে আপনি জাতিসংঘের SAT Mission-এ যেতে পারবেন । এই মিশন ১ বছর সময়কালের হয়ে থাকে। এই এক বছর প্রতি দিন ১৪৩ ইউএস ডলার বেতন ও ভাতা পাবেন। অর্থাৎ এক বছরে বাংলাদেশি টাকার হিসাবে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মতো বেতন ও ভাতা পাবেন। চাকরি জীবনে মোট ৩টি SAT Mission-এ যাবার সুযোগ পেতে পারেন। এছাড়া FPO মিশনেও যাবার সুযোগ পাবেন। এক বছর মেয়াদি এই মিশনে গেলে বছরে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মতো আয় করতে পারবেন।
  • চিকিৎসা সুবিধা: উন্নত চিকিৎসা সুবিধা সম্পন্ন রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।

সাব ইন্সপেক্টর এর বেতন ও গ্রেড:

দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে নিয়োগ পেলে আপনি ১০ম গ্রেডে বেতন স্কেলে বেতন পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার পোস্টিং যদি DMP-তে হয় তাহলে আপনি ১৬০০০ টাকা বেসিকে ৩০,০০০ টাকার কিছু বেশি টাকা বেতন হিসাবে পাবেন। আর DMP বাইরে পোস্টিং হলে ঐ একই বেসিকে ২৮০০০ টাকার কিছু বেশি বেতন হিসাবে পাবেন।

সাব ইন্সপেক্টর (এস আই) থেকে পদোন্নতি:

সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে অনেকে ৬/৭ বছর চাকরি করেই ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পেয়েছেন দেখা যায়। বাংলাদেশ পুলিশে সাব ইন্সপেক্টর পদবিতে দুই ধরনের কর্মকর্তা থাকেন। একদল রয়েছেন বিভাগীয় কর্মকর্তা, অর্থাৎ যারা কনস্টেবল পদে যোগদান করে একাধিক পদোন্নতি পেয়ে সাব ইন্সপেক্টর হয়েছেন। আরেকদল হচ্ছেন যারা সরাসরি সাব ইন্সপেক্টর পদেই পুলিশে নিয়োগ পেয়েছেন।

বর্তমান নিয়মে বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে ৪ (চার) বছর কর্মরত থাকার পরে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার যোগ্য হন। তবে এক্ষেত্রে শর্ত থাকে যে, এর আগে তাঁদের এক বছর মেয়াদি ডি.সি. (Departmental Cadet) কোর্স সম্পন্ন করা থাকতে হবে।

অপরদিকে, সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) গণ ৫ বছর পরে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। উভয় ধারার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) গণ একই সাথে একই প্রশ্নমালায় পদোন্নতি পরীক্ষায় অংশ নেন। এতে মোট ৩টি বিষয়ের সবগুলোতে (এক বা একাধিক প্রচেষ্টায়) সফলভাবে পাশ করার পর শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পাওয়া যায়।এখানে বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে ইন্সপেক্টর মানেই (ওসি) নয়। বর্তমানে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত (নিরস্ত্র শাখার) ইন্সপেক্টর গণ সাধারণত প্রথমে যেসব পদায়ন পান, সেগুলোর মাঝে কয়েকটি হলো—

  • বিভিন্ন (পুরাতন) ফাঁড়ি/ তদন্ত কেন্দ্র/ টি.ও.পি. ইত্যাদির ইনচার্জ
  • বিভিন্ন থানায় তদন্ত/ অপারেশন/ সি.পি.আই. পরিদর্শক,
  • সার্কেল অফিস, অপরাধ শাখা, প্রসিকিউশন, ডি.এস.বি., ডি.বি., পি.বি.আই., সি.আই.ডি. ইত্যাদি শাখা/ইউনিটে পরিদর্শক সহ আরো নানাবিধ পদায়ন।

অর্থাৎ, সাধারণত কেউই এসআই হতে ইন্সপেক্টর হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পরপরই কোনো জেলা/মেট্রো থানার ও.সি. হিসেবে পদায়ন পান না। এমনকি (নিরস্ত্র শাখারও) অনেক ইন্সপেক্টর হতো তাঁদের চাকরিজীবনের কখনোই ও.সি. হিসেবে পদায়ন পান না, পান নাই, পাবেন না। আর, “শহর ও যান” শাখা এবং “সশস্ত্র” শাখার ইন্সপেক্টর গণ সাধারণভাবেই কোনো জেলা/মেট্রো থানার ও.সি. হিসেবে পদায়ন পান না।

বাংলাদেশ পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদ টি নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসা করা কিছু প্রশ্ন ও উত্তর:

 

প্রশ্ন: এ এস আই এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তর: এস আই এর পূর্ণরূপ সাব ইন্সপেক্টর (Sub Inspector)। সাব ইন্সপেক্টর বা (এসআই) বাংলাদেশ পুলিশের মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়।

প্রশ্ন: সাব ইন্সপেক্টর এর কাজ কি?

উত্তর: পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে নিরীক্ষণ ও তদন্তের দেখভাল করা।

প্রশ্ন: সাব ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র মানে কি?

উত্তর: বাংলাদেশ পুলিশের সশস্ত্র ও নিরস্ত্র দুটি শাখা রয়েছে। সশস্ত্র শাখার সদস্যরা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থাকেন। বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রদান এই শাখার মূল দায়িত্ব। কনস্টেবল থেকে পদোন্নতির সময় সশস্ত্র ও নিরস্ত্র দুটি শাখায় আলাদা করে পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়। সাব-ইন্সপেক্টর পদে শুধু নিরস্ত্র শাখায় কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। নিরস্ত্র শাখার পুলিশ সদস্যদের থানায় পদায়ন করা হয়। মামলার তদন্তকাজ নিরস্ত্র শাখার প্রধান দায়িত্ব।