৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জানাচ্ছি অনেক অনেক শুভকামনা

আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং পড়াশোনার সাথেই আছেন।আজ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে Live MCQ অ্যাপে ৪৬তম বিসিএস প্রস্তুতির সর্বশেষ মডেল টেস্টটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, ৪৬তম বিসিএস প্রস্তুতির জন্য Live MCQ-এর সর্বশেষ কয়েক মাস ধরে চলা স্টাডিপ্ল্যান ও রুটিন অনুসরণ করে আপনাদের নিজেদের অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রস্তুতি চূড়ান্তভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং ২৬ এপ্রিলের Final Battle-এর জন্য নিজেদেরকে সর্বোত্তমভাবে প্রস্তুত করতে পেরেছেন।

আপনাদের ‘Final Battle’ – এর প্রস্তুতির অনুষঙ্গ হতে পেরে Live MCQ টিম গর্বিত।

৪৬তম বিসিএস প্রস্তুতির রুটিন ও পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করেছি সর্বোত্তম সেবা দিয়ে আপনাদের প্রস্তুতিকে শাণিত করতে। প্রস্তুতি পর্বের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় আমাদের টিমের ছোটখাটো ভুলগুলো আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি।

আপনারা জানেন, Live MCQ-তে সাধারণ পরীক্ষাগুলোতে ১০% পাশ করানো হলেও, ফাইনাল মডেল টেস্টগুলোতে ২০% পাশ করানো হয়েছে।

মূল পরীক্ষায় ৩-৫% পাশ করলেও আমাদের অ্যাপে কেনো বেশি পাশ করানো হয়েছে?

কারণ ⎯

Live MCQ-তে সিরিয়াস পরীক্ষার্থীর সংখ্যাটাই বেশি। এখানে যারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, পরীক্ষা দিচ্ছেন ⎯ প্রায় সবারই প্রস্তুতি অনেক ভালো এবং আমাদের এনালাইসিস অনুসারে ৭০-৮০% পরীক্ষার্থী পাশের ব্যাপারে সিরিয়াস থাকেন। তারা কঠোর পরিশ্রমী এবং শেষ সময়ে এসে এই প্রতিযোগিতাটা আরো বেড়ে যায়।

বিগত ৭টি জেনারেল বিসিএসের পরিসংখ্যান বলছে ⎯

  • Live MCQ-এর মেরিট লিস্টের ৩৫% থেকে ৪০% -এর মধ্যে যারা নিয়মিত থাকছেন, তারা সবাই বিসিএসসহ অন্যান্য যেকোনো পরীক্ষার প্রিলিতে খুব সহজেই উত্তীর্ণ হচ্ছেন।

আমাদের বিশ্বাস, ৪৬তম বিসিএস প্রিলিতেও এই পরিসংখ্যানের ব্যতিক্রম হবে না। পার্সেন্টেজের হিসাবে না গিয়ে বলে রাখি ⎯ ২০০ মার্কের পরীক্ষাগুলোতে নিয়মিতভাবে যারা ১০০+ মার্ক পেয়েছেন, তাদের সবার প্রস্তুতিই ভালো হয়েছে। পরীক্ষার হলের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে – সবাই মূল পরীক্ষায় ভালো করবেন আশা করি। 

আমাদের অ্যাপ ইউজারদের প্রতি সেই আস্থা রয়েছে।

আমাদের প্রস্তুতি পর্বের পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন কতটুকু কঠিন বা সহজ হয়েছে ⎯ সেই বিতর্কে এখন আর যাচ্ছি না। আমরা চেষ্টা করেছি সহজ-কঠিনের Ratio ঠিক রেখে প্রশ্ন প্রণয়ন করতে এবং মাঝেমধ্যে এই Ratio কিছুটা Ups-Downs হয়ে থাকতে পারে।

যাইহোক, পরীক্ষার ১ দিন আগের এই সময়ের গুরুত্ব নিয়ে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা পরামর্শমূলক কথা লেখা সম্ভব যার বেশিরভাগই আপনারা জানেন। আলাদা করে এসব বলাটা তাই বাহুল্য হবে মনে করছি।

সার্বিক বিবেচনায় সকলের উদ্দেশ্যে শেষ মুহূর্তের কিছু প্রয়োজনীয় কথা বলে রাখছি।

সবার এটা মনে রাখা উচিত যে, প্রশ্ন কঠিন হোক বা সহজ, সবাই একই প্রশ্নে পরীক্ষা দিবেন। সহজ হলে সেটা সবার জন্যই সহজ হবে এবং এতে অন্যদের সাথে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বিতা কমে যাবে না; কাটমার্ক যা একটু বেশি থাকবে। সেক্ষেত্রে অনেক সময় ভালো পরীক্ষা দিয়ে, ভালো মার্ক পেয়েও বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার প্রশ্ন কঠিন হলেও একই কথা প্রযোজ্য। আপনাকে ঐ প্রতিযোগীদের বিপক্ষেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। এতে কাটমার্ক শুধু কিছুটা কমবে। পরীক্ষার হলের পরিবেশের সাথে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারলে বরং কঠিন প্রশ্নে ভালো করার সম্ভাবনা বেশি থাকে

তাই, পরীক্ষার হলে প্রশ্ন কঠিন হলো নাকি সহজ – এই চিন্তায় না যাওয়াটাই ভালো। আপনি যাতে আপনার জানা বিষয়গুলো ভুল না করেন সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে উত্তর করার চেষ্টা করতে হবে।

  • আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি, মডেল টেস্টগুলোর মাধ্যমে আপনাদেরকে রিয়েল পরীক্ষার ‘ফিল’ দিতে। আপনি ২০০ নাম্বারের মধ্যে অন্তত ৪০-৫০টি প্রশ্ন পারবেন না কিংবা ৫-১০টি প্রশ্ন কোনদিন দেখেনও নি – এগুলো ধরে নিয়েই পরীক্ষার হলে যেতে হবে। তাহলে অপরিচিত এসব প্রশ্ন দেখে ভড়কে যাওয়া কিংবা বেশি দাগানোর বা আন্দাজে দাগানোর প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ হবে।
  • মনে রাখতে হবে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় টিকে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য ২০০ প্রশ্নেরই উত্তর করাটা জরুরি নয়। Live MCQ-র প্রতিটি মডেল টেস্টে প্রায় অপরিচিত কয়েকটা প্রশ্ন সবসময়ই রাখা হতো।
  • আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময়ে অনেকেই বিষয়টাকে নেগেটিভলি নিয়েছেন। কিন্তু, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মূল প্রশ্নেও আপনি এমন কিছু অদেখা প্রশ্ন পাবেন; যেগুলো পরীক্ষার হলে দেখে অবান্তর বিরক্তি বা হতাশা টেনে না এনে Simply এড়িয়ে যেতে হবে।
  • প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভালো করার জন্য কোন প্রশ্ন উত্তর করবো, এটা জানার পাশাপাশি কোনটা ছেড়ে দিবো সেটা জানাও জরুরি। এই অনুশীলন আগে করা থাকলে পরীক্ষার হলে আপনার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। প্রিলি পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রশ্ন উত্তর করার অনুশীলনের পাশাপাশি Skip করার অনুশীলনটাও জরুরি।
  • Live MCQ অ্যাপের মডেল টেস্টগুলোতে এই অনুশীলন করানোর একটা প্রচেষ্টা সবসময় আমাদের ছিলো। আশা করি পরীক্ষার হলে এই অনুশীলনটা আপনাদের কাজে লাগবে
  • অবশ্যই প্রশ্নের ভাষা ও অপশন ভালো করে খেয়াল করে উত্তর করুন। অনেক সময় জানা বিষয়ও প্রশ্ন ঠিকমতো না পড়ার কারণে ভুল হয়ে যায়; এটা অবশ্যই পরিহার করতে হবে। আমাদের এখানে পরীক্ষাগুলোতে প্রশ্নের এই ভাষাগত বিষয়ে ব্যবহারকারীদের সচেতন করার চেষ্টা করা হয়েছে।
  • Live MCQ-তে প্রশ্নের ভাষাগত যে ‘ট্র্যাপ’ থাকে, এগুলো দেখে দেখে আপনারা এতোটাই অভ্যস্ত যে, সোজা সাপ্টা প্রশ্নেও অনেকক্ষেত্রে এরকম কিছু আছে কিনা সেটা খুঁজেন। তাই এটা বলা নিরাপদ মনে করি যে, আমাদের ব্যবহারকারীগণ এরকম ভাষার ট্র্যাপে পড়বেন না এবং অন্য প্রতিযোগীদের তুলনায় আপনারা অনেক এগিয়ে থাকবেন।
  • পরীক্ষার হলে আশেপাশের কারও সাহায্য নেয়ার চেষ্টা না করাই উত্তম। এসকল ক্ষেত্রে ভুল উত্তর আসার সম্ভাবনাই বেশী। নৈতিকতার দিক ছাড়াও গাণিতিক দিকটা ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে।
  • মনে রাখবেন, আপনি যে কক্ষে পরীক্ষা দিবেন সেখানে ১০০ জন পরীক্ষার্থী থাকলে ধরে নেয়া যায় মাত্র ৫ জন প্রিলি পাশ করবেন। তাই, নিজের উপর আস্থা রেখে উত্তর করাটা সমীচীন হবে।

তাছাড়া সাইলেন্ট এক্সপেল – এর বিষয় রয়েছে এবং পিএসসি এই বিষয়ে খুবই স্ট্রিক্ট। অন্যদের থেকে দেখে উত্তর করার চেষ্টা করা হলে এবং হলের ইনভিজিলেটর বুঝতে পারলে বহিষ্কার করে দিতে পারে। তাই এরকম রিস্কি কাজ করার চেষ্টা না করলেই ভালো।

পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন হলে Live MCQ-এর পরীক্ষার্থীরা ঘাবড়ে যাবেন – এটা আশা করি আমাদের প্রবল সমালোচকরাও বিশ্বাস করবেন না। “কঠিন প্রশিক্ষণ, সহজ যুদ্ধ” – ২০১৭ সাল থেকেই আমাদের মূলমন্ত্র। পরীক্ষার হলে আপনার যেকোনো পরিস্থিতি সামলে নিয়ে ২ ঘণ্টা সময় আপনার নিজের নিয়ন্ত্রণেই রাখতে পারবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

পরিশ্রমলব্ধ জ্ঞান এবং পরীক্ষিত ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই প্রকৃত আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে সাফল্যে রূপান্তর হয়। চূড়ান্ত সফলতা পরিশ্রমের মাধ্যমে আসে; কোনো শর্টকাট থেকে নয়।

➝ যারা দিনের পর দিন চেষ্টা করে আমাদের এখানে পরীক্ষা দিয়েছেন, তারা মন শক্ত রেখে এগিয়ে যেতে পারবেন – এটাই যৌক্তিক। সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখুন, নিজের পরিশ্রমের উপর বিশ্বাস রাখুন। সৃষ্টিকর্তা পরিশ্রমীদের ভালোবাসেন, তাই পরিশ্রমীরা বিফল হয় না। দেখবেন, এই দুই ঘণ্টাই আপনাদের Finest Hours হবে।

শেষ সময়ে প্রয়োজনীয় কয়েকটি পরামর্শ:

পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন –

ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আগামী ২ দিন দূরে থাকুন। এই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার সময় নষ্ট করে এবং অযথা টেনশন তৈরির অনুষঙ্গ ছাড়া আর কিছু নয়।

➝ কোনো প্রয়োজন হলে আমাদেরকে মেসেজ করতে পারেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাদের সমস্যা সমাধান করার জন্য।

পিএসসি সকল পরীক্ষার্থীকে তাঁদের মোবাইল ফোনে নির্দেশনা ও করণীয় ⎯ সম্বলিত একটি মেসেজ পাঠায়। এই নির্দেশনাগুলো ভালো করে দেখে নিবেন। নির্দেশনায় যা বলা আছে, অনুগ্রহ করে সেগুলো মেনে চলুন এবং এর বাইরে কোনো কিছু করতে যাবেন না।

৪৬তম বিসিএসের এডমিট কার্ড, অন্তত ২টি কলম, পেনসিল – ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আগেভাগেই গুছিয়ে রাখুন।

➝ এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র, বিসিএসের রেজিস্ট্রেশন কার্ড (BPSC Form – 1) সাথে রাখা উত্তম।

➝ আগেরদিনই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রিন্ট করে রাখুন।

আজকের পর আর নতুন টপিক পড়তে যাবেন না। কী পড়া উচিত ছিল আর কী পড়া উচিত হয়নি, এসব ভাবার দরকার নেই। শুধু আগে যা যা পড়েছেন, এখন সেগুলোই রিভিশন দিতে থাকুন।

➝ রিভিশনের ক্ষেত্রে, নতুনভাবে বিশ্লেষণ করে পড়ার দরকার নেই এই মুহুর্তে। শুধু উত্তর জেনে রাখলেই হবে।

➝ নিজের তৈরি নোট করা থাকলে সেগুলো একবার চোখ বুলিয়ে নিবেন।

পরীক্ষার দিন অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল সকালে কী কী কাজ করতে হবে ⎯ সেটা আগের রাতেই ঠিক করে একটা “To Do” লিস্ট করে নিবেন এবং সকালে সেই অনুসারে কাজ করে ও হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে পরীক্ষার হলের উদ্দেশ্যে বের হবেন।

➝ শেষের এই সময়টুকু একদম রিলাক্স থাকুন; প্রয়োজন হলে পরীক্ষার আগের বিকালে বন্ধু-বান্ধবের সাথে কিছু সময় আড্ডাও দিতে পারেন।

সারাদেশ জুড়ে বর্তমানে প্রচণ্ড Heat Wave চলছে; এই বিষয়ে সতর্কতা জরুরি। অবশ্যই পরীক্ষার দিন পানির বোতল ও ছাতা সঙ্গে রাখুন ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন।

পিএসসির নির্দেশনা অনুসারে, ৯.৩০-এর মধ্যে পরীক্ষার হলে যেতে হবে।  পরীক্ষার হলে কিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে এবং সেগুলো সম্পন্ন হওয়ার পর প্রশ্নপত্র হাতে দেয়। এই সময়ে অনেক কিছুই আপনার পছন্দমতো নাও ঘটতে পারে। তবে এগুলো নিয়ে কারোর সাথে তর্কে জড়িয়ে মুড অফ করবেন না। এটার প্রভাব পরীক্ষায় পড়বে, তাই এই সম্পর্কে সচেতন থাকুন।

পরীক্ষার উত্তরপত্র বা প্রশ্নে কোনো সমস্যা পেলে সরাসরি রুমের ইনভিজিলেটরকে জানাবেন। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর অবশ্যই সেট কোড মিলিয়ে নিবেন। উত্তর করার আগে প্রশ্ন, অপশন – অবশ্যই ভালোভাবে পড়ে উত্তর করবেন। তাড়াহুড়ো করে ভুল করতে যাবেন না।

পরীক্ষার হলে অন্যদের থেকে দেখার বা উত্তর জানার চেষ্টা করবেন না। ভুল উত্তর পাওয়ার পাশাপাশি Silent Expel হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।

আশা করি, এই পোস্টটি শেষ মুহুর্তে আপনাদের কাজে লাগবে।

পরিশেষে ⎯

Live MCQ পরিবারের পক্ষ থেকে ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা!

আপনাদের সফলতা এবং Live MCQ-এর অস্তিত্ব একই সুতোয় গাঁথা।

শুভকামনায়,

Live MCQ ⎯ Since 2017

ঘরে বসেই হাজারো প্রতিযোগীর সাথে প্রতিযোগিতামূলক লাইভ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রস্তুতি নিন!

ঘরে বসে বিসিএস, ব্যাংক, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, NTRCA, ৯ম-২০ তম গ্রেডের প্রস্তুতি নিতে Live MCQ App টি ইনস্টল করুন