প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষার্থীদের কাছে একটি অত্যন্ত পরিচিত শব্দ হচ্ছে, “কাট মার্ক”। কিন্তু আসলে কী এই “কাট মার্ক”?

সহজ করে বলতে গেলে, এ ধরণের পরীক্ষাগুলিতে কোন নির্দিষ্ট নাম্বারের ভিত্তিতে পাশ করানো হয় না, আপনার অবস্থান কি তার উপর নির্ভর করে আপনি পাশ নাকি ফেল। যেমন, পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, বিসিএস প্রিলিতে মোট পরীক্ষার্থীর ৩.৫% – ৫% এর মতো পাশ করানো হয়। তার মানে ১০০০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিলে পাশ করানো হবে সর্বোচ্চ ৫০ জন পরীক্ষার্থীকে। অর্থাৎ বিসিএস-এর প্রিলিতে পাশ করবার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রথম ৫০ জনের মধ্যে থাকতে হবে

Live MCQ-ও মূল বিসিএস প্রিলির মতো একই নিয়ম অনুসরণ করে নির্দিষ্ট পার্সেন্ট পরীক্ষার্থীকে পাশ করিয়ে থাকে। অর্থাৎ Live MCQ ব্যবহার করে বিসিএস এর কোন মডেল টেস্টে যদি ১০০০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয় তাহলে সেখানেও পাশ করতে হলে আপনাকে প্রথম ৫০ জনের মধ্যে থাকতে হবে।

আর এই ৫০তম অবস্থানে যিনি থাকবেন তার প্রাপ্ত নাম্বারই হল “কাট মার্ক”।

সত্যি বলতে এই সাধারণ ব্যাপারটিই অনেকে সঠিক ভাবে বুঝে উঠতে ব্যর্থ হন। আর এ কারণেই, মুল পরীক্ষার আগে মডেল টেস্টের বইয়ে পরীক্ষা দিয়ে একটি নির্দিষ্ট নাম্বার পেলেই ভাবেন যে, প্রস্তুতি ভালো ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু, এই একই প্রশ্নপত্রে অন্যান্য পরীক্ষার্থীরাও পরীক্ষা দিলে কে আসলে কত পাবেন এটা কোন ভাবেই জানা সম্ভব হচ্ছে না কারো পক্ষেই। তাই “কাট মার্ক”টি যে ঠিক কতো হবে সেটাও কেউ জানতে পারবে না মূল পরীক্ষার ফলাফল দেবার আগ পর্যন্ত। এবার বুঝতে পারছেন তো, একটি প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সঠিক প্রস্তুতি নেবার ক্ষেত্রে এটি ঠিক কতো বড় একটি সমস্যা!

আপনাদের এই সমস্যার সমাধানে Live MCQ এর বিকল্প নেই। Live MCQ ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসেই হাজারও প্রতিযোগীর মাঝে নিজের অবস্থান জানতে পারবেন এবং পরীক্ষার আগেই নিজের দুর্বলতাগুলো জেনে নিয়ে সেগুলো কাটিতে উঠবার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবেন। 

(বিঃদ্রঃ BJS এবং NTRCA সহ কিছু পরীক্ষায় একটি নির্দিষ্ট নাম্বারকেই পাশ মার্ক হিসাবে ধরা হয়। এসব পরীক্ষাগুলির মডেল টেস্টের ক্ষেত্রে Live MCQ-তেও ঐ নাম্বারটিকেই পাশ মার্ক হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।)