ব্লগBCS PreparationBlog৪৮তম স্পেশাল বিসিএস স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রস্তুতি শুরু করবেন যেভাবে — সম্পূর্ণ গাইডলাইন

৪৮তম স্পেশাল বিসিএস স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রস্তুতি শুরু করবেন যেভাবে — সম্পূর্ণ গাইডলাইন

প্রিয় চিকিৎসক বন্ধুগণ, ৪৮তম স্পেশাল বিসিএস স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রস্তুতি সংক্রান্ত ব্লগে আপনাদের স্বাগতম। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত ২৯ মে ২০২৫-এ ৪৮তম স্পেশাল বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (PSC)। স্বাস্থ্যখাতে ৩০০০ জন চিকিৎসক নিয়োগের লক্ষ্যে এই বিশেষ নিয়োগ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে ২৭০০ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০০ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। কাঙ্ক্ষিত এই পরীক্ষায় সফল হতে হলে চিকিৎসকদের প্রয়োজন — এমসিকিউ-ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষার এগিয়ে থাকার স্ট্র্যাটেজিক উপায়।

দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বিসিএসসহ নানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য Live MCQ একটি নির্ভরযোগ্য ও পরিচিত প্ল্যাটফর্ম। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থাকছে চিকিৎসকদের জন্য ৪৮তম স্পেশাল বিসিএস স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রস্তুতি এর নির্ভরযোগ্য ও বিস্তারিত গাইডলাইন। আসুন জেনে নিই— ৪৮তম স্পেশাল বিসিএসের জন্য কেমন প্রস্তুতি প্রয়োজন, কেমন হবে প্রতিযোগিতার ধরণ ও কার্যকর প্রস্তুতি নিয়ে পাশ করার কৌশলসহ বিস্তারিত।

48th BCS Preparation banner Image

এক নজরে ৪৮তম স্পেশাল বিসিএস স্বাস্থ্য পরীক্ষা ২০২৫ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য:

মোট পদসংখ্যা৩০০০টি
সহকারী সার্জন২৭০০ জন
ডেন্টাল সার্জন৩০০ জন
আবেদন শুরু১ জুন ২০২৫
আবেদনের শেষ সময়২৫ জুন ২০২৫
অনলাইনে আবেদন লিংকhttp://bpsc.teletalk.com.bd/
বয়সসীমা২১ – ৩২ বছর
লিখিত পরীক্ষার (MCQ Type) সম্ভাব্য তারিখজুলাই ২০২৫ এর ২য় সপ্তাহে (সম্ভাব্য)

সাধারণ বিসিএস ও স্পেশাল বিসিএসের পার্থক্য

প্রতিযোগিতার ধরণ:

সাধারণ বিসিএস জেনারেল ও টেকনিক্যাল ক্যাডারের শূন্যপদের জন্য আয়োজিত হয়, যেখানে নির্দিষ্ট বয়সসীমা ও যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সকল ডিসিপ্লিনের গ্র্যাজুয়েটরা অংশগ্রহণ করতে পারেন। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত বিধায় বেশি প্রতিযোগিতামূলক। অন্যদিকে, স্পেশাল বিসিএস বিশেষ সেক্টরে (যেমন: স্বাস্থ্য বা শিক্ষা) সাবজেক্ট ম্যাটার স্পেশালিস্ট নিয়োগের জন্য আয়োজিত হয়। এই পরীক্ষায় শুধু সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনা করা গ্র্যাজুয়েটরাই অংশ নিতে পারেন। ফলে প্রতিযোগিতা তুলনামূলকভাবে কম। যেমন – এবারের ৪৮তম বিসিএসে কেবল এমবিবিএস ও বিডিএস পাশ ডাক্তাররাই পরীক্ষা দিতে পারবেন।

স্পেশাল বিসিএস পরীক্ষার পদ্ধতি:

৪৮তম স্পেশাল বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় স্বাস্থ্যখাতে নিয়োগের জন্য শুধু মেডিকেল ও ডেন্টাল গ্র্যাজুয়েটরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এতে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ-ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা এবং ১০০ নম্বরের ভাইভা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সাধারণ বিসিএসের মতো বর্ণনামূলক প্রশ্নের লিখিত পরীক্ষা থাকবে না। এছাড়া এই ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার মধ্যে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে মেডিকেল পার্টের। শুধু তাই নয়, সাধারণ বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর মূল স্কোরের সঙ্গে যুক্ত হয় না। কিন্তু, স্পেশাল বিসিএসে এমসিকিউ পরীক্ষার নম্বর ভাইভার সঙ্গে যুক্ত করে চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণ করা হবে।

ডাক্তারদের ক্যারিয়ারে ‘গোল্ডেন অপরচুনিটি’:

স্পেশাল বিসিএসে প্রার্থীরা যে বিষয়ে ৪-৫ বছর পড়াশোনা করেছেন – যে বিষয়েরও ওপরই এমসিকিউ পরীক্ষার একটা বড় অংশের প্রশ্ন করা হবে। যেমন, ৪৮তম স্পেশাল বিসিএসে MBBS বা BDS-এ পঠিত বিষয়ের দক্ষতা ডাক্তারদের প্রস্তুতিকে অনেকটা এগিয়ে রাখবে। এছাড়া ক্যাডার হওয়ার পর, সরকারি ডাক্তার হিসেবে স্থায়ী চাকরিতে নিয়োগের পর এক বা দুটি ইনক্রিমেন্টসহ উচ্চতর বেতন স্কেলের সুযোগ পাবেন। সবমিলিয়ে, বিশেষ দক্ষতার যথাযথ মূল্যায়ন, দেশ সেবা ও ক্যারিয়ার গঠনের জন্য ৪৮তম স্পেশাল বিসিএস ডাক্তারদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ।

কারা আবেদন করতে পারবেন?

৪৮তম বিশেষ বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে চাইলে বয়স, নাগরিকত্ব, ডিগ্রি ও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ করা বাধ্যতামূলক। স্পেশাল বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতা নির্ধারণ করেছে পিএসসি। সংক্ষেপে দেখে নিন কারা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন — 

  • ১ মে ২০২৫ তারিখে যে সকল প্রার্থীর বয়স ২১ থেকে ৩২ বছর।
  • যেকোনো স্বীকৃত মেডিকেল কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে MBBS (বা সমমান) ও BDS (বা সমমান) ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ।
  • MBBS বা BDS পরীক্ষায় অবতীর্ণ প্রার্থীরা (আবেদনের শেষ দিনের মধ্যে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া ও উত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে) 
  • BMDC রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে
  • বিদেশি ডিগ্রির ক্ষেত্রে BMDC কর্তৃক প্রদত্ত ইকুইভ্যালেন্স সনদের সত্যায়িত কপি থাকতে হবে

বিসিএস স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবন্টন বিশ্লেষণ

প্রজ্ঞাপনের তথ্য বলছে, বিশেষ বিসিএসে সর্বমোট ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে, আর মৌখিক পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের। ২০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষার নম্বরবন্টন নিচের টেবিলে দেখানো হলো —

সাধারণ অংশ (১০০ নম্বর)মেডিকেল অংশ (১০০ নম্বর)
বাংলা২০ নম্বর🩺 Doctors
ইংরেজি২০ নম্বরপার্ট-১: প্রি ও প্যারা ক্লিনিক্যাল৫০ নম্বর
বাংলাদেশ বিষয়াবলি২০ নম্বরপার্ট-২: ক্লিনিক্যাল৫০ নম্বর
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি২০ নম্বর🦷 Dentists
গাণিতিক যুক্তি১০ নম্বরপার্ট-১: অ্যানাটমি ও ডেন্টাল অ্যানাটমি৫০ নম্বর
মানসিক দক্ষতা১০ নম্বরপার্ট-২: ওরাল সার্জারি ও অ্যানেস্থেসিয়া৫০ নম্বর

নেগেটিভ মার্কিং: প্রতিটি সঠিক উত্তরে ১ নম্বর থাকবে। প্রতি ভুল উত্তরে ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে।
পরীক্ষার সময়: ২ ঘণ্টা

কেমন হবে প্রস্তুতির কৌশল?

এবারের বিশেষ বিসিএসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—এতে শুধুমাত্র এমসিকিউ ভিত্তিক প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই সরাসরি ভাইভায় অংশ নেওয়া যাবে। প্রিলির নম্বর ও ভাইভা মিলিয়ে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে। অর্থাৎ, প্রিলিমিনারি পরীক্ষাই নির্ধারণ করবে আপনি ভাইভা পর্যন্ত যাবেন কি না।

অন্যদিকে, সরকারি নির্দেশনায় দ্রুততম সময়ে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করার কথা বলা হয়েছে। ফলে হাতে খুব বেশি সময় নেই। এই পরিস্থিতিতে যাঁরা প্রথম থেকেই গুছিয়ে রুটিনমাফিক প্রস্তুতি শুরু করতে পারবেন, তাঁরাই এগিয়ে থাকবেন।

স্পেশাল বিসিএসে এগিয়ে থাকতে হলে ভবিষ্যৎ ক্যাডারদের যা যা করণীয়:

  • স্পেশাল বিসিএসের জন্য সময় খুব সীমিত হওয়ায় গোছানো ও রুটিনভিত্তিক প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি।
  • সময় যেহেতু কম, এই পর্যায়ে প্রস্তুতি হবে সাজেশন ও পরীক্ষা-নির্ভর। এক্সপার্ট মেন্টরদের দিকনির্দেশনা মেনে পরীক্ষার মাধ্যমে সিলেবাস রিভিশন করাই এখন টার্গেট।
  • রিয়েল এক্সামের মতো প্রতিযোগিতামূলক প্যাটার্নে নিয়মিত মডেল টেস্ট বা মক টেস্ট দেওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
  • রিয়েল পরীক্ষার সময় ব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন আঙ্গিকের প্রশ্ন সমাধানের কৌশল ও চাপ সামলানোর চর্চা করতে হবে।
  • পিএসসি প্রণীত সিলেবাস অনুযায়ী বিগত বছরের প্রশ্ন অনুশীলন করতে হবে।
  • মেডিকেল অংশের পাশাপাশি সাধারণ অংশেও সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।
  • বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির জন্য এক্সপার্ট মেন্টরদের দিকনির্দেশনামূলক ক্লাসে অংশ নিতে হবে।
  • পড়াশোনা ও পরীক্ষার জন্য একটি কার্যকরী রুটিন অনুসরণ করতে হবে।
  • পরীক্ষা যতই কাছাকাছি আসবে, চাপ তত বাড়বে। তাই মানসিক প্রস্তুতির দিকেও নজর দিন

সাধারণ ও মেডিকেল অংশে কেমন প্রস্তুতি নেবেন?

১. সাধারণ অংশের প্রস্তুতি:

এই অংশে বাংলা (২০ নম্বর), ইংরেজি (২০), বাংলাদেশ বিষয়াবলি (২০), আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি (২০), মানসিক দক্ষতা (১০) এবং গাণিতিক যুক্তি (১০) থেকে প্রশ্ন আসে। প্রস্তুতির জন্য:

  • সিলেবাস ভালোভাবে আত্মস্থ করুন।
  • বিগত সালের প্রশ্ন সমাধান করুন।
  • প্রতিদিন নিয়মিত পরীক্ষা দিন।
  • ভাষাগত দক্ষতা-
  • বাংলা: ব্যাকরণ, সাহিত্য, বানান ও সিলেবাসের টপিকগুলো অনুশীলন করুন।
  • ইংরেজি: Parts of Speech, Voice, Narration, Vocabulary নিয়মিত অনুশীলন করুন। এছাড়া সাহিত্যের টপিকগুলো পড়ুন।
  • বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য সাম্প্রতিক ঘটনা, ইতিহাস, ভূগোল ও কূটনীতি পড়ুন।
  • মানসিক দক্ষতা ও গণিতের জন্য যুক্তি-ভিত্তিক প্রশ্নের চর্চা করুন। বই বা অন্যান্য স্টাডি ম্যাটেরিয়াল থেকে পড়াশোনা করে প্রতিদিন অনুশীলন করুন। এছাড়া সময় বাঁচাতে শর্টকাট পদ্ধতি আয়ত্তে আনুন।

২. মেডিকেল অংশের প্রস্তুতি:

স্পেশাল বিসিএস-এ ডাক্তারদের মূল প্রতিযোগিতা হবে নিজেদের ব্যাকগ্রাউন্ডের প্রতিযোগীদের সঙ্গে, অর্থাৎ ১০০ নম্বরের মেডিকেল/ডেন্টাল অংশে। এই অংশের প্রস্তুতির জন্য:

  • মেডিকেল/ডেন্টাল বিষয়ে মৌলিক ধারণা (MBBS/BDS সিলেবাস) ভালোভাবে রিভিশন করুন।
  • প্রতিটি টপিকের ওপর বারবার পরীক্ষা দিন।
  • কোনো টপিকে দুর্বলতা থাকলে এক্সপার্ট মেন্টরদের ক্লাস করে কনসেপ্ট পরিষ্কার করে নিন।
  • Anatomy, Physiology, Biochemistry, Pathology, Pharmacology, Medicine, Surgery, Gynae & Obs ইত্যাদি বিষয়ে ফোকাস করুন।
  • বিগত স্পেশাল বিসিএসের প্রশ্ন সমাধানের চর্চা করুন। পূর্ববর্তী স্পেশাল বিসিএস (বিশেষ করে ৩৯তম ও ৪২তম) বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ক্লিনিক্যাল প্রশ্ন বেশি এসেছে। তাই Medicine, Surgery, Pediatrics, Gynae & Obs ইত্যাদি বিষয় গভীরভাবে পড়তে হবে।
  • মনে রাখার জন্য স্মার্ট মেমোরি টুল ব্যবহার করুন। Flowchart, visualization, acronyms বা ডায়াগ্রাম ব্যবহার করলে তথ্য মনে রাখা সহজ হয়।
  • Clinical case ও treatment protocol সম্পর্কে আপডেট থাকুন।

সাধারণ টিপস: নিয়মিত মডেল টেস্ট দিন, সময় ব্যবস্থাপনা শিখুন এবং দুর্বল বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সেগুলোতে জোর দিন।

বিগত সালের প্রশ্ন সমাধানের গুরুত্ব

যেকোন নিয়োগ পরীক্ষাগুলোর ক্ষেত্রে বিগত সালের প্রশ্ন সমাধান অত্যন্ত কার্যকর একটি বিষয়। কেননা বিগত সালের প্রশ্ন সমাধানের মাধ্যমে মূল পরীক্ষার প্রশ্নের ধরণ, মানবন্টন, সময় ব্যবস্থাপনাসহ বিস্তারিত বিষয়ে গভীর এবং স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। যা সামগ্রিক পরীক্ষা প্রস্তুতিকে তুলনামূলক সহজ করে তোলে। বিগত সালের প্রশ্ন সমাধানের বিশেষ কিছু কার্যকর দিক নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • বিগত সালের প্রশ্ন (৩৫-৪৬তম বিসিএস, বিশেষ করে ৩৯তম ও ৪২তম স্পেশাল বিসিএস) সমাধান করলে প্রশ্নের প্যাটার্ন, গুরুত্বপূর্ণ টপিক ও নম্বর বণ্টন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
  • অনেক সময় পূর্ববর্তী প্রশ্ন থেকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কমন পড়ে, যা প্রস্তুতিকে সহজ করে।
  • প্রশ্ন সমাধানের চর্চা দুর্বলতা কাটিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করে।
  • বিগত প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে কোন বিষয়ে বেশি ফোকাস দিতে হবে তা বুঝতে সাহায্য করে, যেমন মেডিকেল অংশে ক্লিনিকাল টপিক বা সাধারণ অংশে সাম্প্রতিক ঘটনা।
  • তাছাড়া বিগত সালের প্রশ্নগুলোর উপর নির্দিষ্ট সময় ধরে পরীক্ষা দিয়ে মূল পরীক্ষায় সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়।

প্রস্তুতির টাইমলাইন (Preparation Timeline)

৪৮তম স্পেশাল বিসিএস ২০২৫-এর এমসিকিউ পরীক্ষা জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে ২৯ মে’র বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, যারা আগে থেকে স্পেশাল বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কেমন হবে? আর যারা নতুন — সবে এমবিবিএস/ বিডিএস সম্পন্ন করেছেন, তারাই বা এই সীমিত সময়ের মধ্যে কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন? এই বাস্তবতায় প্রার্থীদের প্রস্তুতি-চিত্র ভিন্ন হলেও লক্ষ্য একটাই— ডাক্তার ক্যাডার হওয়া। নিচে দুই ধরনের প্রার্থীর জন্য পৃথক টাইমলাইন ও কৌশল তুলে ধরা হলো:

যারা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন: এখনই আপনাদের শেষ মুহূর্তের চূড়ান্ত প্রস্তুতির সময়। প্রস্তুতির শেষ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ধাপে প্রয়োজন রিভিশন, প্র্যাকটিস ও নিজের দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করে কভার করা।

সপ্তাহ ১–৪:

  • বিষয়ভিত্তিক রিভিশন শুরু করুন—প্রতিদিন নির্দিষ্ট বিষয় কভার করুন (Medical + General)।
  • বিগত প্রশ্নের রিভিশন দিন।
  • অন্তত ৩টি বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা ও মডেল টেস্ট দিন—ফল বিশ্লেষণ করে ভুলগুলো বুঝুন।
  • সাম্প্রতিক তথ্যে আপডেট রাখুন।
  • কঠিন টপিকগুলোতে ফোকাস করুন।
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪টি মিক্সড ও সমন্বিত টপিকের পরীক্ষা ও ১টি ফাইনাল মডেল টেস্ট দিন।

সপ্তাহ ৫–৬ (পরীক্ষা পর্যন্ত):

  • মেডিকেল অংশের ক্লিনিক্যাল ও প্রি-প্যারা ক্লিনিক্যাল অংশে পুনরাবৃত্তি করুন।
  • General অংশে ব্যাকরণ, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, ম্যাথ-লজিক—সব রিপিট করুন।
  • রিভিশনের জন্য রুটিনে শ্বাস নেওয়ার জায়গা রাখুন।
  • এই সময়টা নতুন কোনো টপিক পড়বেন না। টপিক ধরে রিভিশন করুন।
  • আলাদা করে নোট করা বা মার্ক করে রাখা অপেক্ষাকৃত জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে চোখ বুলান।
  • টাইম ম্যানেজমেন্ট প্র্যাকটিস করুন—নির্দিষ্ট টাইমের মধ্যে ২০০ নম্বর সলভের অভ্যাস করুন।
  • শরীর-মন ঠিক রাখুন, ঘুম-খাবারে ছাড় দেবেন না।

যারা সদ্য MBBS/BDS শেষ করেছেন: আপনাদেরকে শুরু থেকেই ফিনিশিং লাইন টার্গেট নিয়ে আগাতে হবে। আপনারা যেহেতু সদ্যই লেখাপড়া শেষ করেছেন, তাই আশা করা যায় মেডিকেল অংশের পঠিত বিষয়গুলো আপনাদের মোটামুটি চর্চায় আছে। এটা একটা ভালো ব্যাকআপ হতে পারে। তবে স্পেশাল বিসিএসের উপযোগী এমসিকিউ প্যাটার্নের প্রশ্নে অভ্যস্ত হতে মেডিকেল অংশেও ভালো রিভিশন দরকার হবে।

সপ্তাহ ১-৪:

  • সিলেবাস দ্রুত চোখ বুলিয়ে নিন—কি পড়বেন, কোনটা বাদ দেবেন ঠিক করুন।
  • কোনো জটিল বিষয় শেখার সময় নেই। ১-২ নম্বর বাদ দিয়ে অন্যান্য টপিকগুলো ভালো টপিকভিত্তিক রিভিশন শুরু করুন।
  • General Part-এর Basic গুলো (বাংলা, ইংরেজি, BDA, IA, ম্যাথ) ঝালিয়ে নিন।
  • একদিনে ২-৩ ঘণ্টা মেডিকেল, ১.৫ ঘণ্টা জেনারেল + ১ ঘণ্টা মডেল প্রশ্ন অনুশীলন করুন।
  • প্রতিদিন অন্তত ১টি মডেল টেস্ট দিন—সময় ধরে, পরীক্ষার মতো পরিবেশে।
  • ভুল প্রশ্নগুলো আলাদা করে রাখুন—সেগুলো থেকেই শিখুন।

সপ্তাহ ৫-৬:

  • দ্রুত রিভিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ গাইড/অ্যাপ ব্যবহার করুন (যেমন Live MCQ)।
  • প্রয়োজন হলে ভিডিও ক্লাস বা এক্সপার্ট মেন্টরের শরণাপন্ন হোন—নিজে গাইড খুঁজে সময় নষ্ট করবেন না।
  • মডেল টেস্ট, বিগত প্রশ্ন ও ব্যক্তিগত নোটে ফোকাস করুন।
  • নতুন কিছু শেখার চেষ্টা নয়, পুরনোটা ঝালিয়ে নিন।
  • মনোবল ও শরীর ঠিক রাখুন।

প্রাধান্য পাওয়া বিষয়সমূহ

ডাক্তার ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য সিলেবাস ঘোষণা করেছে পিএসসি। জেনারেল ও মেডিকেল অংশের বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির জন্য ওই সিলেবাসের টপিকগুলোই বেশি প্রাধান্য দিয়ে পড়তে হবে। ৪৮তম স্পেশাল বিসিএস স্বাস্থ্য পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো:

জেনারেল পার্ট (পূর্ণমান: ১০০)

বাংলা (২০ নম্বর)

  • ভাষা: প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, বানান ও বাক্য শুদ্ধি, সমার্থক-বিপরীতার্থক শব্দ, পরিভাষা, ধ্বনি-বর্ণ-শব্দ-পদ-বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি-সমাস (১৫ নম্বর)
  • সাহিত্য: প্রাচীন ও মধ্যযুগ, আধুনিক যুগ (১৮০০–বর্তমান) (৫ নম্বর)

ইংরেজি (২০ নম্বর)

  • Part 1 (Grammar): Parts of Speech, Idioms & Phrases, Clauses, Corrections, Sentence & Transformation, Vocabulary (Words), Composition
  • Part 2 (English Literature): Names of writers of literary pieces from Elizabethan period to the 21st Century; Important drama, Poetry and prose of different ages.

বাংলাদেশ বিষয়াবলি (২০ নম্বর)

১. বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলী
২. বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ
৩. বাংলাদেশের জনসংখ্যা
৪. বাংলাদেশের অর্থনীতি
৫. বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য
৬. বাংলাদেশের সংবিধান
৭. বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা
৮. বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা
৯. বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পুরষ্কার, বাংলাদেশের খেলাধুলা, চলচ্চিত্র, গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি (২০ নম্বর)

  • বৈশ্বিক ইতিহাস, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, ভূ-রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আন্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পর্ক
  • চলমান ও সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহ
  • আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ইস্যু ও কূটনীতি
  • আন্তর্জাতিক সংগঠনসমূহ ও বৈশ্বিজক অত্থনৈক প্রতিষ্ঠানাদি
  • সিভিল সার্ভিস গোড়াপত্তন; যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস

গাণিতিক যুক্তি (১০ নম্বর)

  • অঙ্কের মৌলিক ধারণা: শতকরা, মুনাফা, অনুপাত
  • বীজগাণিতিক সূত্র
  • সূচক ও লগারিদম
  • জ্যামিতি, পরিমিতি
  • সেট, পরিসংখ্যান ও সম্ভাব্যতা

মানসিক দক্ষতা (১০ নম্বর)

  • Verbal reasoning
  • Problem solving
  • Numerical ability
  • Mechanical Reasoning
  • Space relation
  • Mechanical reasoning

মেডিকেল পার্ট (পূর্ণমান: ১০০)

ডাক্তারদের জন্য:

  1. Pre & Para Clinical (৫০): Anatomy, Physiology, Biochemistry, Pharmacology, Microbiology, Forensic Medicine & Toxicology, Community Medicine and Public Health, Pathology
  2. Clinical (৫০): Medicine, Surgery, Gynae & Obs, Pediatrics

প্রস্তুতির মূল ৫টি কৌশল:

  • সিলেবাস বুঝে প্রস্তুতি শুরু করুন।
  • বিষয়ভিত্তিক দুর্বলতা শনাক্ত করুন।
  • বেশি বেশি লাইভ পরীক্ষা ও মডেল/মক টেস্ট দিতে হবে।
  • স্টাডি গ্রুপ ও বিষয়ভিত্তিক রিভিশনে গুরুত্ব দিন।
  • পরীক্ষা ও পড়াশোনার জন্য একটি কার্যকরী রুটিন অনুসরণ করুন।

Live MCQ এর মাধ্যমে ঘরে বসে BCS Health Cadre প্রস্তুতি

উল্লিখিত ৫ কৌশল মাথায় রেখেই সাজানো হয়েছে ‘Live MCQ ৪৮তম স্পেশাল বিসিএস প্রস্তুতি রুটিন’। এতে প্রতিদিনের পড়ার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার পাশাপাশি জেনারেল ও মেডিকেল উভয় পার্টের জন্য ২৭টি করে মোট ৫৯টি প্রতিযোগিতামূলক লাইভ পরীক্ষা, ২৬৫-এর বেশি ভিডিও ক্লাস, গুরুত্বপূর্ণ কুইজ ও রিভিশনের তালিকা অন্তর্ভুক্ত আছে। নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি যাচাইয়ের জন্য ৫টি ২০০ মার্কের ফুল মডেল টেস্ট/মক টেস্ট নেওয়া হবে। সীমিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে প্রস্তুত হতে হলে এমন একটি রুটিন শুধু সাহায্যই করবে না—প্রস্তুতির মান ও অগ্রগতি যাচাই করতে সহায়ক হবে।

স্পেশাল বিসিএসের মানসিক প্রস্তুতি

শুধু পড়াশোনার প্রস্তুতিই যথেষ্ট নয়—একজন পরীক্ষার্থীর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকাটাও সমান জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, প্রিপারেশন ভালো থাকা সত্ত্বেও মানসিক চাপ, অনিশ্চয়তা বা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির কারণে পরীক্ষার ফলাফল ভেঙে পড়ে। বিশেষ বিসিএস একটি সময়সীমাবদ্ধ, প্রতিযোগিতামূলক এবং ক্যারিয়ার-নির্ধারক পরীক্ষা। তাই লিখিত পরীক্ষার আগেই নিজেকে মানসিকভাবে স্থিতিশীল রাখতে হবে, আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে হবে এবং ফলাফল নিয়ে অতি দুশ্চিন্তা না করে নিজের ওপর আস্থা রাখতে হবে। পাশাপাশি, পরীক্ষার দিন সকালেও যেন মন ও শরীর দুটোই ফ্রেশ থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।

স্পেশাল বিসিএস পরীক্ষায় ফোকাস ধরে রাখার কৌশল:

১. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে—রাত জেগে না পড়ে পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকা জরুরি।

২. স্ট্রেস বা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে হবে—নিরাপদ এবং পজিটিভ পরিবেশ বজায় রাখুন।

৩. একসঙ্গে অনেক কিছু না পড়ে টপিকভিত্তিক ছোট ছোট ভাগে পড়া ভালো—এতে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়।

৪. পরীক্ষার আগের দিন নতুন কিছু না পড়ে রিভিশনে মনোযোগ দিন—অজানা কিছু শেখার চেষ্টা এড়ান।

৫. স্বাস্থ্যকর খাবার ও হালকা শারীরিক ব্যায়াম পরীক্ষার আগের দিন আপনাকে সতেজ রাখবে।

৬. পরীক্ষার সময় মনোযোগ ভাঙতে পারে এমন যেকোনো বিষয় (ফোন, চিন্তা বা ভয়) থেকে নিজেকে আলাদা রাখুন।

৭. পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন হবে নাকি সহজ হবে – এসব চিন্তা না করে শুধু নিয়মিত রুটিনের পরীক্ষা দিতে থাকুন।

যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে:

১. পরীক্ষার দিন যথাসময়ে কেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা রাখুন—ভিড় বা যানজট এড়াতে আগে বের হন।

২. প্রবেশপত্র সময়মতো ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে রাখুন এবং সেটি একটি ফোল্ডারে গুছিয়ে রাখুন।

৩. প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র (প্রবেশপত্র প্রভৃতি) আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখুন।

৪. উত্তরপত্রে নাম, রোল নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য সঠিকভাবে ও পরিষ্কার করে লিখুন। 

৫. পরীক্ষার আগে কলম, ঘড়ি, চশমা ইত্যাদি দরকারি জিনিস ঠিকমতো সঙ্গে আছে কি না, তা নিশ্চিত করুন।

৬. পরীক্ষা চলাকালীন সময় যেন অহেতুক গুজব বা ভয়ের প্রভাব না পড়ে, সেজন্য আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন।

হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত নিয়ম মেনে আবেদন করুন। নির্দিষ্ট সময়ের ফি জমা দিয়ে মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিন।

Live MCQ ৪৮তম স্পেশাল বিসিএস [স্বাস্থ্য] প্রস্তুতির রুটিন

Live MCQ অ্যাপে ৪৮তম স্পেশাল বিসিএস [স্বাস্থ্য] প্রস্তুতির জন্য থাকছে পিএসসি সিলেবাস-ভিত্তিক সম্পূর্ণ প্রস্তুতির আয়োজন। রয়েছে ডিসকাউন্ট প্যাকেজও। দেখে নেওয়া যাক, কী কী থাকছে এই রুটিন ও ডিসকাউন্ট প্যাকেজে — 

রুটিনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:

  • লাইভ পরীক্ষা: ৫৯টি
    ➤ সাধারণ অংশের পরীক্ষা: ২৭টি [সাবজেক্ট ফাইনালসহ]
    ➤ মেডিকেল অংশের পরীক্ষা: ২৭টি [সাবজেক্ট ফাইনালসহ]
    ➤২০০ মার্কের ফুল মডেল টেস্ট/মক টেস্ট: ৫টি
  • ভিডিও ক্লাস: ২৬৫টি
    ➤ রেকর্ডেড: ২২৮টি [জেনারেল পার্ট: ২০০ ও মেডিকেল পার্ট: ২৮]
    ➤ নতুন ক্লাস: ৩৭টি [জেনারেল পার্টের জন্য: ১৯টি ও মেডিকেল পার্ট: ২২টি]
  • আর্কাইভ প্রশ্ন:
    ➤ স্পেশাল বিসিএস: ১৫,০০০+
    ➤ সেন্ট্রাল আর্কাইভ: ৫,০০,০০০+
  • সার্বক্ষণিক #মেন্টর_সাপোর্ট!
    ➤ প্রশ্ন প্রণয়নে থাকবেন ৩৯ ও ৪২তম স্পেশাল বিসিএস ক্যাডার চিকিৎসকগণ। 
  • প্যাকেজে থাকছে: ক্লাস, পরীক্ষা, কুইজ মাস্টার, স্মার্ট সার্চ, টপিক গুরু, এবং ২৪/৭ কনসালটেন্সি!
48th Special BCS health 2025

স্পেশাল প্যাকেজ ও ডিসকাউন্ট

প্যাকেজ – ১: ১৪৯৯/- টাকা (সাথে ৩ মাস মেয়াদী ৫৫০ টাকার ত্রৈমাসিক প্যাকেজ ফ্রি)

  • ডিসকাউন্ট মূল্য (১৭ জুন পর্যন্ত): ২৪৯৯/- টাকা
  • ফ্রি: ৯৯৯/- টাকার ষাণ্মাসিক প্রিমিয়াম প্যাকেজ
  • প্যাকেজ মেয়াদ: ৩১ জুলাই, ২০২৫

প্যাকেজ – ২: ২৪৯৯/- টাকা (সাথে ৬ মাস মেয়াদী ৯৯৯ টাকার ষাণ্মাসিক প্যাকেজ ফ্রি)

  • ডিসকাউন্ট মূল্য (১৭ জুন পর্যন্ত): ২৪৯৯/- টাকা
  • ফ্রি: ৯৯৯/- টাকার ষাণ্মাসিক প্রিমিয়াম প্যাকেজ

প্যাকেজ মেয়াদ: ৪৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পর্যন্ত।

৪৮তম স্পেশাল বিসিএসের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির সময় এখনই!

চিকিৎসকদের জন্য ৪৮তম স্পেশাল বিসিএস একটি গোল্ডেন সুযোগ। প্রস্তুতি শুরু করতে দেরি নয়। Live MCQ-এর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির রুটিন ও সাপোর্ট নিয়ে আপনিও হতে পারেন ক্যাডার চিকিৎসক।

  • Live MCQ™

    Live MCQ™

ঘরে বসে বিসিএস, ব্যাংক, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, NTRCA, ৯ম-২০তম গ্রেড সহ সকল চাকরির লাইভ এক্সামের মাধ্যমে প্রস্তুতি নিতে -

১.৭ মিলিয়ন+ অ্যাপ ডাউনলোড

2 জনের মতামত “৪৮তম স্পেশাল বিসিএস স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রস্তুতি শুরু করবেন যেভাবে — সম্পূর্ণ গাইডলাইন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সকল সরকারি-বেসরকারি চাকরির পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিন Live MCQ™ অ্যাপে।

১.৭ মিলিয়ন+ অ্যাপ ডাউনলোড

৪.৬
5/5

কোম্পানির তথ্য

RJSC রেজিস্ট্রেশন নম্বর: C-180637

Registrar of Joint Stock Companies and Firms of the People’s Republic of Bangladesh

আপনার পছন্দের ভার্সন এখান থেকে ইনস্টল করুন 📲

নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন

Subscription Form - Live MCQ

© স্বত্বাধিকার ২০১৭ – ২০২৫  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত  |  CrackTech Limited দ্বারা পরিচালিত

আজই Live MCQ™ অ্যাপ ইনস্টল করুন!

Live MCQ™ অ্যাপটি Android, iPhone (iOS), PC/Laptop/Desktop (Windows) এবং Apple MacBook-এ পাওয়া যাচ্ছে। আপনার পছন্দের ভার্সন এখান থেকে ইনস্টল করুন।