ব্লগBlogNon Cadre Preparationনন-ক্যাডার পরীক্ষা প্রস্তুতি । প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

নন-ক্যাডার পরীক্ষা প্রস্তুতি । প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

প্রিয় চাকরিপ্রত্যাশীগণ, নন-ক্যাডার পরীক্ষা প্রস্তুতি এর পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন সংক্রান্ত ব্লগে আপনাদের স্বাগতম। মূলত বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা নির্দিষ্ট ক্যাডার পদ (যেমন প্রশাসন, পুলিশ ইত্যাদি) পান না, বরং প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণির অন্যান্য সরকারি পদে নিয়োগ পান, তাদের নন-ক্যাডার বলা হয়। এছাড়াও, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য আলাদা পরীক্ষা গ্রহণ করে, যা নন-ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষা নামে পরিচিত। এ ধরনের চাকরিতে যোগ দিতে হলে প্রার্থীদের প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ের উপর আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়ে সিলেবাস শেষ করে পরবর্তীতে বিগত সালের প্রশ্নের উপর পরীক্ষা দিয়ে নিজের প্রস্তুতি যাচাই করা প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর উপায়। নিয়মিত রিভিশন, বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান, এবং সময় ব্যবস্থাপনার অনুশীলন, সঠিক পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক পড়াশোনার মাধ্যমেই নন-ক্যাডার পরীক্ষায় সফল হওয়া সম্ভব।

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন পিএসসি এই নন-ক্যাডার অর্থাৎ ৯ম-১৩তম গ্রেডে নিয়োগের লক্ষ্যে নন-ক্যাডার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। এই নিয়োগগুলোতে বিপুল সংখ্যক জনবল নিয়োগ দেয়া হয়। তবে এর নিয়োগ পরীক্ষাগুলোও বেশ প্রতিযোগীতাপূর্ণ হয়ে থাকে। তাই প্রতিযোগীতাপূর্ণ পরীক্ষায় নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে আপনার প্রস্তুতি হতে হবে গোছানো এবং কার্যকর। তাছাড়া আপনাদের মধ্যেই অনেকে নন-ক্যাডার নিয়োগ, এর চাকরির সুবিধা-অসুবিধা, এই নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি, সিলেবাস এবং প্রশ্ন প্যাটার্ন আরোও নানা বিষয়ে কনফিউজড থাকেন। আজকের ব্লগে আমরা পিএসসি কর্তৃক নেয়া ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের নন-ক্যাডার পরীক্ষা প্রস্তুতির প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার কৌশল ও পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন আলোচনা করবো। এছাড়াও এই ব্লগে নন-ক্যাডার সম্পর্কিত নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ফলে এখান থেকে আপনারা নন-ক্যাডার এর পদসমূহ, চাকরির সুবিধা-অসুবিধা এবং আরোও নানান বিষয়ে জানতে পারবেন। আশা করি, এই ব্লগটি পড়ার পর নন-ক্যাডার পরীক্ষা প্রস্তুতি নিয়ে আপনাদের আর কোন কনফিউশন থাকবে না।

নন-ক্যাডারদের পদ

প্রথমত, নন-ক্যাডার ৯ম গ্রেডের জেনারেল পদগুলো ভালো। সবগুলোতে কম-বেশি সুবিধা রয়েছে। জেনারেলগুলোতে টেকনিক্যালগুলোর তুলনায় একটু বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।

দ্বিতীয়ত, ১০ম গ্রেডের কয়েকটি খুব ভালো জব রয়েছে। এগুলো অনেকেই ৯ম গ্রেড থেকে এগিয়ে রাখে। যেমন- সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা।

নন-ক্যাডার ৯ম গ্রেডের কতিপয় ভালো পদ:
> সাবরেজিস্ট্রার- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন নিবন্ধন অধিদপ্তর।
> সহকারী পরিচালক- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
> সহকারী পরিচালক- বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
> সহকারী পরিচালক- ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
> উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা- নির্বাচন কমিশন।
> উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা- সমাজসেবা অধিদপ্তর।

নন-ক্যাডার ১০ম গ্রেডের কতিপয় ভালো পদ:
> সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
> কর পরিদর্শক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
> এসএএস সুপারিনটেনডেন্ট, বাংলাদেশের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল এর কার্যালয়।

নন-ক্যাডার বেতন কাঠামো

বাংলাদেশে নন-ক্যাডার পদগুলোও প্রথম শ্রেণি (Grade 9-10) এবং দ্বিতীয় শ্রেণি (Grade 11-13) সরকারি চাকরির অন্তর্ভুক্ত। তাই তাদের বেতন সরকার নির্ধারিত জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।

প্রথম শ্রেণি নন-ক্যাডার (গ্রেড ৯ম-১০ম)

  • গ্রেড ৯ বেসিক বেতন: ২২,০০০ টাকা (সর্বোচ্চ ৫৩,০৬০ টাকা)
  • গ্রেড ১০ বেসিক বেতন: ১৬,০০০ টাকা (সর্বোচ্চ ৩৮,৬৪০ টাকা)

এরা মূলত অফিসার লেভেলের পদে থাকেন।

দ্বিতীয় শ্রেণি নন-ক্যাডার (গ্রেড ১১তম-১৩তম)

  • গ্রেড ১১ বেসিক বেতন: ১২,০০০ টাকা (সর্বোচ্চ ৩০,২৩০ টাকা)
  • গ্রেড ১২ বেসিক ১১,৩০০ টাকা (সর্বোচ্চ ২৭,৩৭০ টাকা)
  • গ্রেড ১৩ বেসিক বেতন: ১১,০০০ টাকা (সর্বোচ্চ ২৬,৪৯০ টাকা)

এরা সহকারী বা সমমানের পদে নিয়োগ পান।

অতিরিক্ত সুবিধা

  • বেসিক বেতনের সঙ্গে নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা আরও কিছু ভাতা পান—
  • গৃহভাড়া ভাতা: বেসিক বেতনের ৪৫%–৬৫% (ঢাকা/চট্টগ্রামে বেশি)
  • চিকিৎসা ভাতা: ১,৫০০ টাকা
  • যাতায়াত ভাতা: পদভেদে নির্ধারিত
  • উৎসব ভাতা: বছরে ২ বার (মোট বেতনের সমান)
  • বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট: বেসিকের ওপর ধাপে ধাপে বৃদ্ধি

সব মিলিয়ে একজন নন-ক্যাডার কর্মকর্তার মাসিক বেতন ২৫,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০,০০০+ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, পদ ও অবস্থানভেদে।

ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের মধ্যে পার্থক্য

১. নিয়োগ প্রক্রিয়া

  • ক্যাডার: বিসিএস (Bangladesh Civil Service) পরীক্ষার মাধ্যমে সরাসরি নির্দিষ্ট ক্যাডার (যেমন প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষা, কাস্টমস, ফরেন সার্ভিস ইত্যাদি) এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
  • নন-ক্যাডার: বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ক্যাডারে সুযোগ না পাওয়া প্রার্থীরা PSC এর মাধ্যমে প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সরকারি পদে নিয়োগ পান। নন-ক্যাডার নিয়োগের জন্য আলাদা সার্কুলার/পরীক্ষাও হয়।

২. পদ ও দায়িত্ব

  • ক্যাডার: প্রশাসনিক, নীতি-নির্ধারণী বা বিশেষায়িত পদে কাজ করেন। উদাহরণ: সহকারী কমিশনার (AC), পুলিশ ASP, শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষক ইত্যাদি।
  • নন-ক্যাডার: বিভিন্ন দপ্তরে অফিসার/সহকারী পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করেন। যেমন: সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার, সহকারী প্রকৌশলী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।

৩. গ্রেড ও বেতন

  • ক্যাডার: সাধারণত ৯ম গ্রেড থেকে শুরু (২২,০০০ টাকা বেসিক) এবং ধাপে ধাপে উন্নতি।
  • নন-ক্যাডার: ৯ম, ১০ম, ১১তম, ১২তম বা ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ হয়। গ্রেড যত নিচু, বেতনও তত কম।

৪. প্রশিক্ষণ

  • ক্যাডার: বিসিএস একাডেমি বা সংশ্লিষ্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে দীর্ঘমেয়াদি ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ পান।
  • নন-ক্যাডার: সাধারণত সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তবে ক্যাডারদের মতো বিস্তৃত নয়।

৫. ক্যারিয়ার উন্নতি

  • ক্যাডার: পদোন্নতি ও ক্যারিয়ার অগ্রগতি তুলনামূলক দ্রুত ও নির্দিষ্ট কাঠামোয় হয়।
  • নন-ক্যাডার: পদোন্নতি তুলনামূলক ধীর, অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট উচ্চ পদে পৌঁছানো যায় না।

৬. সুবিধা

  • ক্যাডার: গাড়ি সুবিধা, সরকারি বাসা, বিদেশে প্রশিক্ষণ, প্রশাসনিক ক্ষমতা ইত্যাদি বেশি থাকে।
  • নন-ক্যাডার: বেতন ও অন্যান্য ভাতা পাওয়া গেলেও ক্যাডারদের সমপর্যায়ের বাড়তি সুবিধা থাকে না।

মূলত ক্যাডারগণ দেশের নীতি, প্রশাসন ও গুরুত্বপূর্ণ খাত পরিচালনায় নিয়োজিত এলিট সরকারি কর্মকর্তা এবং নন-ক্যাডারগণ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা, তবে ক্যাডারের মতো প্রশাসনিক ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা তুলনামূলক কম।

নন-ক্যাডার পরীক্ষার মাধ্যমে সুপারিশকৃত কিছু পদ    

পিএসসি বিসিএস ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য নন-ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করে। নন-ক্যাডার পরীক্ষার মাধ্যমে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে তাদের চাহিদা মোতাবেক জেনারেল এবং টেকনিক্যাল উভয়ই পদেই যোগ্য প্রার্থীকে সুপারিশ করে। সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য প্রার্থীকে দুই বা তিনটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। নিম্নে পিএসসি কর্তৃক নন-ক্যাডার পরীক্ষার মাধ্যমে সুপারিশকৃত কিছু পদের নাম উল্লেখ করা হলো:-

পদের নামগ্রেডমন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তরপদের ধরন
জেলা ক্রীড়া অফিসার৯মযুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন ক্রীড়া পরিদপ্তর।জেনারেল
সহকারী উপজেলা/ থানা শিক্ষা অফিসার১০মপ্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের আওতাধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরজেনারেল
প্রশাসনিক কর্মকর্তা১১মমন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আওতাধীন তোশাখানা ইউনিট, তোশাখানা জাদুঘর।জেনারেল
স্টেশন অফিসার১২তমস্বরাষ্ট্র মধ্যপালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন ফায়ার সার্ভিস, ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।জেনারেল
সহকারী প্রোগ্রামার৯মআইন ও বিচার বিভাগ এর আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালটেকনিক্যাল
উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ)১০মরেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়েটেকনিক্যাল
এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনার১১তমস্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট)।টেকনিক্যাল
নার্স মিডওয়াফ১২তমস্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট)।টেকনিক্যাল

উপোরক্ত পদগুলো ছাড়াও আরো শতাধিক নন-ক্যাডার পদের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে থাকে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি)। জেনারেল সকল অর্থাৎ ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদের সিলেবাস ও মানবন্টন একই রকম। তাই একটি সমন্বিত প্রস্তুতি নিতে পারলে চাকরি পাওয়ার ভালো সম্ভাবনা থাকে। অনুরূপভাবে টেকনিক্যাল সকল পদের পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া বাকি সিলেবাস ও প্রস্তুতি একই ধরনের, তাই টেকনিক্যালে পদের জন্য পদ- সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়া বাকিগুলতে সমন্বিত প্রস্তুতি নেওয়া যায়। আমরা এখানে জেনারেল এবং টেকনিক্যাল উভয় ধরনের পরীক্ষার পদ্ধতি, সিলেবাস এবং গাইডলাইন নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি গাইডলাইনটি আপনাদের প্রস্তুতিকে আরো ত্বরান্বিত করবে।

৯ম-১৩তম গ্রেড নন-টেকনিক্যাল (জেনারেল) পদের পরীক্ষা পদ্ধতি

৯ম গ্রেড এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের নন-টেকনিক্যাল পদের ক্ষেত্রে আবেদনকারী প্রার্থীর সংখ্যা ১০০০ জনের বেশি হলে লিখিত পরীক্ষার পূর্বে প্রথমে ১ ঘণ্টা ব্যাপী ১০০ নম্বরের MCQ ধরনের বাছাই পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। MCQ পরীক্ষার বিষয় ও নম্বরবন্টন নিম্নরুপ:

ক্রমিক নংবিষয়নম্বরসময়
বাংলা২৫  ১ ঘণ্টা
ইংরেজি২৫
সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি)২৫
গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান২৫
সর্বমোট১০০

MCQ ধরনের বাছাই পরীক্ষায় প্রার্থীগণ প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন; ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে।

৯ম গ্রেড এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের নন-টেকনিক্যাল পদের ক্ষেত্রে শূন্য আবেদনকারী প্রার্থীর সংখ্যা ১০০০ বা তার কম হলে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের পর সরাসরি ৪ ঘণ্টা ব্যাপী ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। লিখিত পরীক্ষার বিষয় ও নম্বরবন্টন নিম্নরুপ:

ক্রমিক নংবিষয়নম্বরপাশ নম্বরসময়
বাংলা৫০সামগ্রিকভাবে পাশ নম্বর ৪৫% অর্থ্যাৎ পাশ মার্ক ৯০  ৪ ঘণ্টা
ইংরেজি৫০
সাধারণ জ্ঞান৪০
গণিত ও মানসিক দক্ষতা৬০
 সর্বমোট২০০

৯ম গ্রেডের মৌখিক পরীক্ষা হবে ১০০ মার্কসের, পাশ নম্বর ৪৫% অর্থ্যাৎ ৪৫ পেলে পাশ বলে বিবেচিত হবেন। অপরদিকে ১০ম, ১১তম, ১২তম ও ১৩তম গ্রেডের মৌখিক পরীক্ষা হবে ৫০ মার্কসের, পাশ নম্বর ৪০% অর্থ্যাৎ ২০ পেলে পাশ বলে বিবেচিত হবেন।

প্রার্থীকে লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষায় আলাদা আলাদাভাবে পাশ করতে হবে। অন্যথায় প্রার্থী সার্বিকভাবে অকৃতকার্য বিবেচিত হবেন।

৯ম-১৩তম গ্রেড নন-টেকনিক্যাল (জেনারেল) পদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা প্রস্তুতির গাইডলাইন-

বাংলা- (২৫ নম্বর)

পিএসসি নন-ক্যাডারের বিগত বছরের প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে দেখা গিয়েছে, বাংলা ব্যাকরণ এবং সাহিত্য উভয় অংশ থেকে প্রায় সমান পরিমান প্রশ্ন এসেছে। তাই ব্যাকরন এবং সাহিত্য উভয় অংশেই সমান জোর দিয়ে পড়তে হবে।

❖    সাহিত্য অংশ:

–      বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ, অন্ধকার যুগ, যুগ-সন্ধিক্ষণ প্রভৃতি সময়কাল নিয়ে জানা থাকতে হবে। অন্ধকার যুগের সাহিত্য কর্ম নিয়ে জেনে নিবেন।

–      প্রাচীন যুগ ও চর্যাপদ সম্পর্কিত সকল বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখবেন। চর্যাপদ থেকেই প্রায় সকল নন-ক্যাডার পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। তাই এর পদ, পদকর্তা, আবিষ্কারক, অনুবাদক, টীকাকারকসহ গুরত্বপূর্ণ সকল তথ্য পড়বেন।

–      মধ্যযুগ থেকে প্রতি নন-ক্যাডার পরীক্ষায় ২-৩টি প্রশ্ন আসে। তাই এই অংশে কোনভাবেই হেলাফেলা করা যাবে না। এই অংশে মধ্যযুগের সাহিত্য ধারাসমূহ, পদাবলি, মঙ্গলকাব্য, অনুবাদ সাহিত্য, লোক সাহিত্য, মর্সিয়া সাহিত্য, কবিগান ও শায়ের প্রভৃতি গুরত্বপূর্ণ সকল কিছু পড়বেন। এছাড়া মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের সাহিত্যকর্ম পড়বেন। এই অংশে এই নামের একাধিক লেখা ভিন্ন ভিন্ন সাহিত্যিকগণ লিখেছেন। তাই পরীক্ষায় আসলে যাতে কনফিউশনে না পড়েন সেদিকে লক্ষ্য রেখে পড়বেন।

–      আধুনিক যুগ থেকে প্রতিটি নন-ক্যাডার পরীক্ষায় প্রায় ৮-১০টি প্রশ্ন আসে। এই অংশে বাংলা গদ্যের বিকাশ (ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ও অন্যান্য); সাহিত্যিক ছদ্মনাম, উপাধি, সাহিত্য বিষয়ক পত্রিকা; গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, উক্তি ও সংলাপ; বাংলা সাহিত্যে যা কিছু প্রথম; মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের অন্যান্য আন্দোলন সংগ্রাম বিষয়ক গ্রন্থসমূহ পড়বেন।

–      এছাড়া আধুনিক যুগের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মানিক বন্ধ্যোপাধ্যায়, জসীমউদ্দীন, অন্নদাশঙ্কর রায়, আহসান হাবীব, ডি. এল. রায়, শওকত আলী, শওকত ওসমান, শহীদুল্লাহ কায়সার, শামসুর রাহমান, সুকান্ত ভট্টাচার্য, সৈয়দ শামসুল হক, সৈয়দ মুজতবা আলী, হাসান আজিজুল হক প্রভৃতি গুরত্বপূর্ণ সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম পড়বেন।

–      তাছাড়া ত্রিশের দশক ও বাংলা সাহিত্যের পঞ্চপাণ্ডব, বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ নারী লেখক, সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের সাহিত্যকর্ম দেখে যাবেন।

❖    ব্যাকরণ অংশ:

–      ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়, প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম, ধ্বনি ও ধ্বনির পরিবর্তন, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান, বাংলা বর্ণমালা ও যুক্তবর্ণ, সন্ধি, শব্দের উৎস, পারিভাষিক শব্দ, শব্দার্থ, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, উপসর্গ, শব্দ প্রকরণ, বাগ্‌ধারা, সমাস, কারক ও বিভক্তি, বচন, পদ প্রকরণ, বাক্য সঙ্কোচন ও এক কথায় প্রকাশ, প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, বাচ্য প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো পড়বেন।

বাংলা অংশ অনেকটা বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই অংশ কেউ ভালোভাবে শেষ করলে বিসিএস প্রিলিমিনারি বাংলা অংশ অনেকটাই প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

অধ্যয়নের উৎস:

  • বাংলা ভাষার ব্যকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ এবং ২০২২ সংস্করণ।
  • প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ এবং ড. মোহাম্মদ আমীন।
  • বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, সৌমিত্র শেখর (অথবা যেকোনো শিক্ষক/স্কলারের বই)।
  • বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম (অথবা যেকোনো শিক্ষক/স্কলারের বই)।
  • লাল নীল দীপাবলি (বাঙলা সাহিত্যের জীবনী), হুমায়ুন আজাদ।
  • কতো নদী সরোবর (বাঙলা ভাষার জীবনী), হুমায়ুন আজাদ।
  • গুরুত্বপূর্ণ সকল লেখকের পেইজগুলো বাংলাপিডিয়াতে একনজর দেখে নিবেন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের যেকোনো ভালোমানের গাইড বই।

ইংরেজী – (২৫ নম্বর)

ইংরেজি অংশে সাধারণত Literature থেকে ২-৪টি প্রশ্ন আসে, বাকি প্রশ্নগুলো Grammar অংশ থেকে। তাই দেখা যাচ্ছে যে, ইংরেজিতে Grammar খুবই গুরত্বপূর্ণ।

❖    English Literature:

–      এই অংশে Classification of English Literary Periods, Important Writers of the Different Ages, Literary Terms, Characters and Quotations of Famous Literary Works প্রভৃতি পড়বেন। সর্বোপরি এই অংশে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়বেন।

❖    English Grammar:

–      Grammar অংশ জোর দিয়ে পড়বেন। প্রথমত Vocabulary অংশে আপনার ভালো দখল থাকতে হবে। প্রতিটি পরীক্ষায় ৩টি থেকে ৫টি পর্যন্ত Vocabulary সম্পর্কিত অর্থাৎ Meaning, Synonym, Antonym, Spelling প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন আসে। এই অংশে ভালো করার জন্য Live MCQTM থেকে প্রদত্ত Vocabulary Booster (520 High Frequency Words) পিডিএফটি দেখতে পারেন।

–      এছাড়া Idioms এবং One Word Substitution থেকে নিয়মিত প্রশ্ন এসেছে। এই অংশে ভালো করার জন্য জন্য Live MCQTM থেকে প্রদত্ত Idoms পিডিএফটি দেখতে পারেন।

–      তাছাড়া Parts of Speech, Interchange of Different Parts of Speech, Gender, Number, Right form of Verb, Appropriate Preposition Fill in Blanks (Sentence Completion), Clause, Sentence and Correction, Voice, Narration, Translation, Degree প্রভৃতি টপিকগুলো পড়বেন।

Grammar অংশ থেকে যেহেতু অধিকাংশ প্রশ্ন আসে, এ অংশটি ভালোভাবে পড়ে যাবেন। ইংরেজি ভীতির কারণে এই অংশ কম গুরত্ব দেন। কিন্তু গোছানো প্রস্তুতি এবং নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে আপনি এ বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন।

অধ্যয়নের উৎস:

  • Live MCQTM Vocabulary Booster (520 High Frequency Words) PDF.
  • Live MCQTM Idioms PDF.
  • Applied English Grammar and Composition, P. C. Das.
  • A Passage to the English Language, S M Zakir Hossain.
  • Oxford Dictionary, Cambridge Dictionary & Merriam-Webster Dictionary.
  • An ABC OF English Literature, Dr. M. Mofizar Rahman.
  • ইংরাজি সাহিত্যের ইতিহাস, ড. শীতল ঘোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের যেকোনো ভালোমানের গাইড বই। 

সাধারণ জ্ঞান – (২৫ নম্বর)

সাধারণ জ্ঞান অংশে বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি এবং ভূগোল থেকে মোট ২৫ নম্বরের প্রশ্ন আসে। এছাড়া নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন থেকে মাঝে মধ্যে ২/১টি প্রশ্ন আসতে পারে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে তুলনামূলক একটু বেশি প্রশ্ন আসে। এ অংশ ভালোভাবে শেষ করা গেলে যেকোন চাকরির পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান অংশের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যাবে।

❖    বাংলাদেশ বিষয়াবলি:

–      এই অংশে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের ইতিহাস, প্রাচীন জনপদ ও মধ্যযুগ দেখে যাবেন।

–      ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ইতিহাস থেকে প্রচুর প্রশ্ন আসে। তাই অংশকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। সংবিধান, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ এই অংশ ভালোভাবে পড়তে হবে।

–      এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলি, বাংলাদেশের সরকার ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বাংলাদেশের অর্থনীতি ও শিল্প-বাণিজ্য-কৃষি, জাতীয় অর্জন, খেলাধুলা, গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা, ব্যক্তি ভালোভাবে পড়বেন।

❖    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি:

–      বৈশ্বিক ইতিহাস, বিপ্লব ও সভ্যতা, মহাদেশ ও গুরুত্বপূর্ণ দেশের সাধারণ তথ্য (রাজধানী, মুদ্রা, ভাষা ইত্যাদি), বিখ্যাত ব্যক্তি (রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক, বিপ্লবী), গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক পড়বেন।

–      আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংগঠন ও জোট, আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিসমূহ, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আবিষ্কারক, খেলাধুলা প্রভৃতি।

❖    ভূগোল:

–      নদ-নদী, সাগর-মহাসাগর, পাহাড়, প্রণালি, ভৌগোলিক উপনাম প্রভৃতি সম্পর্কিত।

–      জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল (ম্যানগ্রোভ, রেইন, পাহাড়ি ইত্যাদি)।

–      দেশীয় ও বৈশ্বিক স্থান ও স্থাপনা (ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ), জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সীমারেখা ইত্যাদি।

এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাম্প্রতিক বিষয়সমূহ দেখে যাবেন। সাম্প্রতিক যা পাবেন তাই পড়ার দরকার নেই, শুধু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নোট করে পড়তে পারেন।

অধ্যয়নের উৎস:

  • বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি।
  • বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম দশম শ্রেণি।
  • অর্থনীতি বোর্ড বই, নবম-দশম শ্রেণি (বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ সরকারের অর্থব্যবস্থা এই অধ্যায় সমূহ)।
  • বাংলাদেশের সংবিধান।
  • সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা প্রভৃতির ওয়েবসাইট।
  •  উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস, প্রথম পত্র।
  • উচ্চ মাধ্যমিক অর্থনীতি, দ্বিতীয় পত্র।
  • পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি।
  • ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি।
  • ব্রিটানিকা, হিস্টোরি.কম, ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস প্রভৃতি প্রথিতযশা ওয়েবসাইট।
  • সর্বশেষ সংস্করণের যেকোনো ভালোমানের গাইড বই।
    সাম্প্রতিকের জন্য দৈনিক পত্রিকা, Live MCQTM Daily NewsPicker, Live MCQTM Weekly 

Bulletin, Live MCQTM সাম্প্রতিক সমাচার নিয়মিত অনুসরণ করবেন।

গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান – (২৫ নম্বর)

এই অংশে গণিত থেকে সাধারণত ১৭-১৯টি প্রশ্ন আসে। এছাড়া দৈনন্দিন বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি থেকে ৬-৮টি প্রশ আসতে পারে। যদিও পিএসসি নন-ক্যাডার সিলেবাসে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি অংশটি নেই, তবে বিগত বছরের নন-ক্যাডারের প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে দেখা গিয়েছে, কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি অংশ থেকে মাঝে মধ্যে ১/২টি প্রশ্ন এসেছে।

❖    সাধারন গণিত:

পাটিগণিত অংশে, বাস্তব সংখ্যা, ল.সা.গু ও গ.সা.গু, শতকরা, লাভ-ক্ষতি, ঐকিক নিয়ম প্রভৃতি গুরত্বপূর্ণ টপিকগুলো পড়বেন।

বীজগণিত অংশে বীজগাণিতিক রাশি, উৎপাদকে বিশ্লেষণ, দ্বি-ঘাত ও সরল সহ-সমীকরণ, সূচক লগারিদম, অসমতা, সেট ও ফাংশন, ধারা (সমান্তর ও গুণোত্তর) প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো পড়বেন।

এছাড়া ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান, সরল রেখা, বৃত্ত ও বহুভুজ সংক্রান্ত সমাধান, পরিমিতি, ত্রিকোণমিতি, সম্ভাব্যতা, স্থানাঙ্ক জ্যামিতি, ঘড়ি ও সময় বিষয়ক সমস্যা পড়বেন।

❖    দৈনন্দিন বিজ্ঞান:

দৈনন্দিন বিজ্ঞান অংশে খাদ্য ও পুষ্টি, উদ্ভিদের পুষ্টি, রক্ত, মানবদেহ ও রোগ জীবাণু, স্কেল, রাশি ও পরিমাপক, চুম্বক, তড়িৎ ও অন্যান্য শক্তি এবং শক্তির রূপান্তর, আধুনিক বিজ্ঞান, দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ও ব্যবহারিক বিষয় (যেমন – ফিটকিরি, বেকিং পাউডার ইত্যাদি), বিভিন্ন বিষয়ের জনক প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন আসে।

❖    কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি:

কম্পিউটারের ইতিহাস, কম্পিউটার প্রোগ্রাম (যেমন – অনুবাদক প্রোগ্রাম ইত্যাদি), ডাটাবেজ সিস্টেম, ডাটা কমিউনিকেশন, তথ্য প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার অংশ থেকে মাঝে মধ্যে প্রশ্ন আসে।

অধ্যয়নের উৎস:

  • সাধারণ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
  • Live MCQ Computer & ICT Cloud বই
  • পদার্থ, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি। মৌলিক বিষয়গুলো এক নজর দেখে নিবেন।
  • বিগত বছরের পিএসসির বিসিএস ও নন ক্যাডার পরীক্ষায় আসা সকল প্রশ্ন ভালোভাবে পড়বেন।
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, নবম-দশম শ্রেণি।
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
  • সর্বশেষ সংস্করণের যেকোনো ভালোমানের গাইড বই।

৯ম–১৩তম গ্রেডের নন-টেকনিক্যাল (জেনারেল) পদের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস

বাংলা – [পূর্ণমান: ৫০ নম্বর]

ক্রমিক নংবাংলা সিলেবাসনম্বর
রচনা১৫
সারাংশ/সারমর্ম
পত্র লিখন: ব্যক্তিগত পত্র, আবেদনপত্র, পত্রিকায় প্রকাশনার্থে পত্র, ব্যবসা সংক্রান্ত পত্র, স্মারকলিপি।১০
বঙ্গানুবাদ
  ৫ব্যাকরণ: ভাষার সংজ্ঞা, ভাষার রূপ, সাধুভাষা ও চলিত রীতির রূপান্তর, দেশি ও বিদেশি শব্দ, ণত্ব- বিধান ও ষত্ব-বিধানের সংজ্ঞা ও নিয়মাবলি, দ্বিরুক্ত শব্দ, পদ, ধাতু, উপসর্গ, অনুসর্গ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, যতি বা বিরাম চিহ্ন, শুদ্ধ ও অশুদ্ধ, বাগধারা, বাক্য সংকোচন, প্রতিশব্দ ও সমার্থক শব্দ, প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ, একই শব্দের বিভিন্নার্থে প্রয়োগ।  ১৫
মোট৫০

ইংরেজি – [পূর্ণমান: ৫০ নম্বর]

ক্রমিক নংইংরেজি সিলেবাসনম্বর
Essay (with hints)১৫
Comprehension১০
Letter: Official/ Demi-Official/ Memorandum/ Business Type.১০
Grammar: Use of verbs, prepositions, Voice, Narration, Correction of errors in composition, use of words having similar pronunciation but conveying different meanings, use of idioms and phrases.১৫
মোট৫০

সাধারণ জ্ঞান – [পূর্ণমান: ৪০ নম্বর]

ক্রমিক নংসাধারণ জ্ঞান সিলেবাসনম্বর
বাংলাদেশ বিষয়াবলি: বাংলাদেশের সংবিধান, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থা, জনসংখ্যা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, শিল্প ও সাহিত্য, প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ, জলবায়ু, পরিবেশ, বাংলাদেশের উন্নয়নে কৃষি, শিল্প, বাণিজ্যের অবদান, উন্নয়ন পরিকল্পনা।১৫
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি: বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, জাতিসংঘ ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহ, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ, গ্লোবালাইজেশন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ, বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা স্থানসমূহ।১৫
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: দৈনন্দিন বিজ্ঞান, বায়ু, মাটি, তাপ, বিদ্যুৎ, আলো, চুম্বক, খাদ্যের উপাদান, জনস্বাস্থ্য, দূষণ, কম্পিউটার।১০
মোট৪০

নন-টেকনিক্যাল (জেনারেল) লিখিত বাংলা গাইডলাইন-

প্রবন্ধ রচনা:

প্রবন্ধ সাহিত্যের এক বিশেষ প্রকরণ। সংস্কৃত শব্দ ‘প্রবন্ধ’ – এর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো ‘প্রকৃষ্টরূপে বন্ধন’; বাংলায় শব্দটির একই অর্থ রক্ষিত। গদ্যে রচিত লেখকের বুদ্ধিদীপ্ত, মননশীল, যুক্তিশাণিত আঁটোসাঁটো বন্ধনে নিয়ন্ত্রিত সাহিত্যরূপই হলো প্রবন্ধ।
প্রবন্ধ শব্দটির বিকল্প হিসেবে বাংলায় ‘রচনা’ শব্দের ব্যবহারও লক্ষণীয়, যার অর্থ ‘নির্মাণ করা’। ইংরেজি Essay শব্দের পরিভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এর প্রকৃতি প্রবন্ধের সঙ্গে ঠিক মেলে না।

প্রবন্ধের প্রকারভেদ: প্রবন্ধ সাহিত্য প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত। যথা: চিন্তাশ্রিত এবং ভাবাশ্রিত। প্রথমোক্ত ধরনে বিষয়বস্তুর গুরুত্ব সর্বাধিক, আর দ্বিতীয়োক্ত ধরনে লেখকের মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রাধান্য।

এছাড়াও যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে:

  • যে বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ লেখা হবে সে বিষয়-সংশিষ্ট বিভিন্ন তথ্য ও উপকরণ আগেই ঠিক করতে হবে।
  • যে বিষয়ে প্রবন্ধ লেখা হবে সেই বিষয়ের ওপর নানা দিক থেকে আলো ফেলতে হবে। অর্থাৎ যতভাবে বিষয়টিকে দেখা যায় ততগুলো উপশিরোনাম বা অনুচ্ছেদ ঠিক করতে হবে।
  • উপশিরোনামগুলো বা অনুচ্ছেদগুলোর মধ্যে একটি ঐক্য থাকতে হবে।
  • একই কথার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • প্রবন্ধের এক অংশের সঙ্গে অন্য অংশের সম্পর্ক হবে জৈবিক। গঠনগত ঐক্য প্রবন্ধের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
  • প্রবন্ধের মধ্যে প্রাবন্ধিকের চিন্তার স্বচ্ছতা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
  • প্রবন্ধের মধ্যে প্রাবন্ধিকের বক্তব্য যথাযথভাবে বিন্যাস করতে হয়।

সারার্শ/সারমর্ম:
সারাংশ বা সারমর্ম লেখার নিয়ম –

  • নির্ধারিত অংশটি বার বার পড়ে মূল বক্তব্য অনুধাবন করতে হবে।
  • মূল অংশে যেসব অপ্রয়োজনীয় উপমা, অলঙ্কার, দৃষ্টান্ত আছে সারাংশে তা বাদ দিয়ে আসল কথাটা লিখতে হবে।
  • একই কথার পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। তেমনি প্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেয়া যাবে না।
  • সারাংশ খুব ছোট কিংবা বড় হবে না। মূল অংশের চেয়ে তা অবশ্যই আকারে ছোট হবে।
  • বক্তব্যের বর্ণনায় বিশেষণ, ক্রিয়াপদ, অলঙ্কার, উপমা, রূপক ইত্যাদি অবান্তর। বাহুল্য বাদ দিয়ে মূল বিষয়টি সরাসরি লিখতে হবে।
  • মূল বিষয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কোনো বিষয় সারাংশে অবতারণা করা যাবে না। অনুমান নির্ভর কোনো ব্যাখ্যা বাঞ্ছনীয় নয়।
  • সারমর্ম কিংবা সারাংশ রচনার ভাষা মূলের অনুগামী হওয়া প্রয়োজন। সহজ-সরল মৌলিক ভাষায় বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে সবার সহজবোধ্য হয়।
  • উদ্ধৃত রচনায় একাধিক বিষয় থাকলে তা সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে এবং মূল বিষয়টি থেকে যাতে রচিত অংশটি সরে না আসে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
  • শব্দ ও বাক্য প্রয়োগে সংযম অবলম্বন করতে হবে। একাধিক বিশেষণ প্রয়োগ বাঞ্ছনীয় নয়।
  • কোনো সাংকেতিক বিষয় থাকলে তার তত্ত্ব বের করতে হবে। ব্যক্তি বা বস্তু সম্পর্কে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য থাকলে দুই পক্ষের বক্তব্য আলাদাভাবে প্রকাশ করতে হবে।
  • প্রদত্ত অনুচ্ছেদ অথবা কবিতাংশটি বারবার পড়ে মূলভাবটি বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
  • উদ্ধৃত অংশের মূলভাবের বাক্য/বাক্যগুলি চিহ্নিত করুন।
  • উপমা, উদাহরণ, উদ্ধৃতি ও রূপক আলাদাভাবে চিহ্নিত করুন।
  • সারাংশ লিখনের সময় লেখার আয়তনের দিকে লক্ষ রাখুন।
  • মূলভাবটি যথাযথ ও সহজ বাক্যবিন্যাসে লিখুন।
  • উপমা, রূপক উদ্ধৃতসহ সকল বাহুল্য বর্জন করুন।
  • একই কথার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে লক্ষ্য করুন।
  • উদ্ধৃতাংশটি কোন কবি বা লেখকের সেটি বলার দরকার নেই।
  • প্রথম বাক্যটি হবে সহজ সরল ও মূলভাবের প্রতি নির্দেশক।
  • সারাংশটি লেখা হলে কয়েকবার পড়ে নিশ্চিত হন যে প্রয়োজনীয় কোনো কিছু বাদ যায়নি।

ভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য অনুশীলন প্রয়োজন। সারাংশ রচনায় ভাষা পড়ে বুঝতে পারা ও সংক্ষিপ্ত করে লেখা এ দুটি বিষয়ের দক্ষতা প্রয়োজন হয়। এ দক্ষতা অর্জন করতে হলে সারাংশ রচনার অনুশীলন করতে হবে।

পত্র লিখন:

  • পরীক্ষায় সামাজিক সমস্যা বা জন-গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য সম্পদকের নিকট পত্র লিখতে হবে অথবা জীবনের মূল্যবোধ বা ব্যক্তিগত কোনো অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বন্ধু, বাবা-মা বা ছোট ভাই-বোন অথবা কোনো আত্মীয় স্বজনকে ব্যক্তিগত পত্র লিখতে হতে পারে।
  • পত্র লেখার সময় অবশ্যই পত্রের ফরমেট অনুসরণ করতে হবে। পত্রের ৬টি অংশের সবগুলোই যাতে পরীক্ষার উত্তরপত্রে লেখার সময় থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
  • সবচেয়ে ভালো হয় ২/৩টা করে ব্যক্তিগত পত্র, অফিসিয়াল পত্র, সংবাদপত্রের সম্পাদকের কাছে লিখিত পত্র ইত্যাদি নোট করে রাখলে এবং ২/১ দিন পর পর সেগুলো চোখ বুলালে ফরম্যাটিং ভালো করে মনে থাকবে এবং কোনো অংশ মিস হবে না। তাছাড়া সপ্তাহে অন্তত একদিন লিখে অনুশীলন করা যেতে পারে। ফরম্যাটিং নোট করার জন্য ভাষা শিক্ষা বইটির সাহায্য নিতে পারেন।
  • পত্র লেখার ক্ষেত্রে সম্বোধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পত্রের প্রাপকের উপর নির্ভর করে কি ধরনের সম্বোধন হবে। পত্রের ক্ষেত্রে কি ধরনের সম্বোধন ব্যবহার করা যাবে, সেগুলো বাংলা একাডেমি অভিধান ঘেঁটে সেগুলো নোট করে রাখলে পরবর্তীতে সুবিধা পাওয়া যাবে।

অনুবাদ:

জ্ঞানবিস্তারে অনুবাদের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। অনুবাদের সাহায্যেই পৃথিবীর  বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্পকলা সম্পর্কে সাধারণ পাঠক জ্ঞান লাভ করতে পারে। বিশ্বের অগণিত ভাষায় যে বিপুল জ্ঞানচর্চা হচ্ছে, শিল্প-সাহিত্য-বিজ্ঞান-দর্শন-সমাজতত্ত্ব-নৃতত্ত্ব এবং মানববিদ্যার যে কোনো বিষয় নিয়ে জ্ঞানের যে প্রবাহ বিকাশ লাভ করছে তা সারাবিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছানোর অন্যতম উপায় হলো অনুবাদ। অনুবাদ হলো কোনো বক্তব্য বা রচনাকে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তরিত করা। কোনো রচনার বক্তব্য বিষয়কে পরিবর্তন না করে শুধু ভাষার পরিবর্তনকেই অনুবাদ বলা হয়। কোনো ভাষার সমৃদ্ধি সাধনে ও বিশ্বসাহিত্যের ক্ষেত্রে অনুবাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অনুবাদের গুরুত্বের কারণে বিভিন্ন সাহিত্যে অনুবাদ নামক বিশেষ এক শাখা গড়ে উঠেছে। অনুবাদের দ্বারা পরস্পরের ভাষা সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।

ব্যাকরণ:

  • বাংলা ভাষাকে জানা এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ করার একমাত্র মাধ্যম হলো ব্যাকরণ। তেমনি চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার জন্য ব্যাকরণে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির বিকল্প নেই।
  • ব্যাকরণ অংশে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিলে প্রিলিমিনারি এবং লিখিত উভয়ই সম্পন্ন হয়ে যাবে।
  • বুঝে পড়ার অংশ এবং মুখস্ত অংশ আলাদাভাবে পড়ার চেষ্টা করবেন। বুঝে পড়ার অংশে ধ্বনি পরিবর্তন, সমাস, সন্ধি, প্রত্যয়, পদ প্রভৃতির বিস্তারিত নিয়মগুলো জানবেন। আর মুখস্ত অংশ যেমন বাগ্‌ধারা, এক কথায় প্রকাশ, প্রবাদ প্রবচন প্রচুর পড়তে হবে। তবে এগুলোর অর্থ বুঝে মুখস্ত করার চেষ্টা করবেন, তাহলে সহজেই মুখস্ত হবে পরবর্তীতে আর ভুলবেন না। যেমন- প্রবাদ-প্রবচনের একটা ইতিহাস বা স্টোরি থাকে, আপনি সেই ইতিহাস বা স্টোরি যদি জানতে পারেন তবে সহজে মনে থাকবে, পড়েও মজা পাবেন।
  • বাংলা বানান অবশ্যই ভালোভাবে জানতে হবে। বাক্যশুদ্ধি, প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ শিখে নিবেন।
  • ৯ম-১০ম শ্রেণির নতুন এবং পুরাতন ব্যাকরণ মিলিয়ে পড়বেন। সাংঘর্ষিক তথ্য পেলে নতুন বইকে প্রাধান্য দিবেন। হায়াৎ মামুদ স্যারের ভাষা-শিক্ষা বইটাও দেখতে পারেন।

অধ্যয়নের উৎস:

  • ভাষা শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
  • প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ এবং ড. মোহাম্মদ আমীন।
  • বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ৯ম-১০ম শ্রেণি।
  • সর্বশেষ সংস্করণের যেকোনো ভালোমানের গাইড বই ইত্যাদি।

নন-টেকনিক্যাল (জেনারেল) লিখিত ইংরেজি গাইডলাইন-

Essay:

  • Essay ভালো লেখার পূর্বশর্ত হচ্ছে Free Hand Writing ভালো থাকা। একইসাথে নির্দিষ্ট Essay টি নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্য জানা। তথ্য না জানলে আপনি খুব বেশি ভালো লিখতে পারবে না।
  • শুরুতেই রচনা কোনটি লিখবেন তা সিলেক্ট করুন। তারপর Brainstorm শুরু করুন। মনের মাঝে কী কী তথ্য আছে সেটা Collect করে ফেলুন।
  • এবার পেন্সিল/কলম দিয়ে খাতায় একটা পেইজে একটা চার্ট রাফ করুন যে কী কী পয়েন্ট আপনি লিখবেন। কোন পয়েন্ট আগে আসবে, কোনটা পরে, কোনটায় বেশি ইনফো দিবেন, কোনটায় কম – চট করে সেটা এই চার্টে সাজিয়ে ফেলুন। Outline টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অনেক সময় বাঁচায়। Wh questions-who/what/how/why/when/where- এইগুলো ধরে ধরে আগালে টপিক ক্লিয়ার হয়ে যায়।
  • এবার Introduction. খুব Snappy/Eye catchy একটা Introduction লেখার চেষ্টা করবেন যাতে পরীক্ষকের মনোযোগ দ্রুত আকর্ষিত হয়। ভালো Introduction লেখার অনেক স্টাইল আছে। অন্যতম দুইটা হলো –

– প্রবাদবাক্য, কোন উক্তি দিয়ে শুরু করা।
– ছোট্ট কোন গল্প দিয়ে শুরু করা (Extra সাহসী পদক্ষেপ এটা)।

Introduction যেন বেশী বড় না হয়, আবার বেশী ছোটও না হয়। Introduction এ সংজ্ঞায়ন করে ফেলার দরকার নেই।

  • Essay-তে Introduction – Conclusion মেনশন করার দরকার নেই। বরং মাথার মাঝে যে পয়েন্টটা আছে সেটা প্যারাগুলোর প্রথম বাক্যেই মেনশন করে ফেলুন। এতে কোন প্যারার প্রথম বাক্য দেখলেই পরীক্ষক বুঝে ফেলবেন ওই প্যারায় কী নিয়ে আলাপ করা হয়েছে।
  • Body of the essay – মানে ভূমিকা ও উপসংহারের মাঝখানের পয়েন্টগুলোর Order & Unity খেয়াল করতে হবে।
  • প্রথমেই সাজিয়ে নিতে হবে কোনটা আগে কোনটা পরে দিবেন। আবার একটার সাথে আরেকটার কানেকশন আছে কিনা সেটাও খেয়াল রাখা লাগবে। Transition Words ব্যবহার করে Coherence ঠিক রাখা লাগবে।
  • Conclusion – A good ending makes your writing perfect. অনেকেই Essay এর উপসংহার চট করে শেষ করে দেন বা জাস্ট ১/২ বাক্যে শেষ করে দেন। এটা করা যাবে না। Conclusion আকারে ছোট হলেও Well organized & Well thought হতে হবে। দুয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ সামারি এখানে আসবে। To the point, subject related প্রবাধ/উক্তি দিয়ে শেষ করা যায়।

Comprehension:

এই অংশে একটি Comprehension Passage দেয়া থাকবে। এখানে ভালো করার জন্য অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই। এই অংশ দ্বারা মূলত একজন পরীক্ষার্থীর Understanding ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়। তাই এটি বুঝে তা থেকে উত্তর দিতে হবে। এটি সাধারণত কোন পত্রিকার কলাম বা কোন ম্যাগাজিনের আর্টিকেল হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট কোন টপিক নিয়ে এটি হয় না। তাই  নির্দিষ্ট কোন বই পড়লে কমন আসবে এমন কোন সুযোগ নেই। তবে কিছু কৌশল অনুসরণ করে একজন পরীক্ষার্থী তার English Language Understanding ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এখান থেকে Effectively উত্তর দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রশ্ন সম্পর্কে একটা আইডিয়া করা যায়।

লেখার কৌশল:

–      প্রথমেই সময় পরিকল্পনা। এটা লিখিত পরীক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। অনেকেই Passage এর প্রশ্নের উত্তরে বেশি সময় দিতে গিয়ে পরে অন্যান্য প্রশ্নগুলো যথাযথভাবে উত্তর দিতে পারেন না। তাই আগেই ঠিক করে রাখতে হবে এই অংশে সর্বোচ্চ কত সময় ব্যায় করা যাবে।

–      এবার Passage টি যেহেতু ভালোভাবে বুঝা অত্যন্ত জরুরি তাই উত্তর লেখা শুরু করার আগে এটি একাধিকবার পরে ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আগে প্রশ্নগুলো পড়ে নিলে টার্গেট সেট করে নেয়া যায় যে ঠিক কি ধরণের ইনফরমেশন আপনাকে Passage থেকে বের করতে হবে। তাই শুরুতেই প্রশ্ন পড়ে নিয়ে প্রশ্নের গুরুত্বপূর্ণ কি-ওয়ার্ড মার্ক করে নিতে হবে। এবার একটা একটা প্রশ্নের একটা একটা Keyword ধরে প্যাসেজে ঐ কি-ওয়ার্ডটি চিহ্নিত করতে পারলে সহজেই উত্তর দেয়া যাবে।

–      Passage থেকে উত্তর দেয়ার সময় কোন বাক্য কপি করা যাবেনা, Sentence এর structure/ formation পরিবর্তন করে বা synonym/antonym ব্যবহার করে বা Sentence কে paraphrase করে উত্তর করা যেতে পারে।

–      Grammar & Spelling ভুল করা যাবেনা। এক্ষেত্রে Complex and Compound Sentence ব্যবহার করলে নিঃসন্দেহে উত্তরের গুণগত মান অনেক বেড়ে যায়। তবে যদি ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে বা Complex and Compound Sentence ব্যবহারে যথার্থ পারদর্শীতা না থাকে, তবে Simple Sentence ব্যবহারই শ্রেয়।

–      Passage এর বাহিরের কোন বিষয়ের সাথে এর অভ্যন্তরীণ কোন কিছু মিক্সড না করা ভালো।

–      Formal language ব্যাবহার করতে হবে। Passive Voice & Modal Auxiliary এর ব্যবহারে ভাষাটা Formal করে তুলতে হবে। Contraction/Slang ব্যবহার করা যাবেনা।

Letter:

  • প্রথমেই হেডিং ও সেন্ডারের এড্রেস থাকবে। সাবজেক্ট অনেকেই না দিলেও চলে বলেন, তবে দেওয়াটাই সেইফ। Editor কে সম্বোধন করার পর ৩-৪ বাক্যে লেটারটি প্রকাশ করার অনুরোধ করে Yours/Sincerely/With Regards দিয়ে নাম, সংক্ষিপ্ত ঠিকানা দিয়ে শেষ করে দিবেন। এরপর থাকবে সিম্পল একটা টাইটেল।
  • এবার মূল feature/Report/ যেটা পাবলিশ হবে – সেটা লিখবেন। এ অংশকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়-

–      Clarification of the issue.
–      Practical Experience /Present Condition.
–      Express your opinion.
–      Concluding statement.

  • অনেকেই এটা পুরো লেখার পর আবার লেখকের নাম ঠিকানা দেন, অনেকে দেন না। দুইটাই শুদ্ধ। এ ধরণের লেটারের আসলে নানান ফরম্যাট প্রচলিত।
  • লেখার সময় Formal languae ব্যাবহার করতে হবে। Passive Voice & Modal Auxiliary এর ব্যবহার Language কে Formal করে।
  • Alignment এর ক্ষেত্রে বৃটিশ অথবা আমেরিকান যেকোন একটা ব্যবহার করা যাবে।

Grammar:

  • Grammar অংশে ভালো করার জন্য যেকোনো একজন প্রখ্যাত লেখকের বই বুঝে বুঝে পড়ে ফেলতে হবে। Rules গুলো আত্মস্থ করার চেষ্টা ক্রবেন। এক্ষেত্রে P. C. Das বা S M Zakir Hossain এর বই পড়তে পারেন। মোদ্দাকথা, Grammar এর ব্যাসিক স্ট্রং করতে হবে।
  • তাছাড়া Vocabulary অংশে আপনার ভালো দখল থাকতে হবে। এই অংশে ভালো করার জন্য Live MCQTM থেকে প্রদত্ত Vocabulary Booster (520 High Frequency Words) পিডিএফটি দেখতে পারেন। Idioms এবং One Word Substitution অংশে ভালো করার জন্য জন্য Live MCQTM থেকে প্রদত্ত Idoms পিডিএফটি দেখতে পারেন।

অধ্যয়নের উৎস:

  • Live MCQTM Vocabulary Booster (520 High Frequency Words) PDF, Live MCQTM Idioms PDF.
  • Applied English Grammar and Composition, P. C. Das.
  • A Passage to the English Language, S M Zakir Hossain.
  • Advanced Learner’s, HSC, Chowdhury & Hossain.
  • Oxford Dictionary, Cambridge Dictionary & Merriam-Webster Dictionary.
  • সর্বশেষ সংস্করণের যেকোনো ভালোমানের গাইড বই।

নন-টেকনিক্যাল (জেনারেল) লিখিত সাধারন জ্ঞান গাইডলাইন-

বাংলাদেশ বিষয়াবলি:

সাধারণ জ্ঞানের বাংলাদেশ বিষয়াবলি অংশে প্রচুর লিখতে হয়। তাই বাসায় সবসময় দ্রুত হাতের লেখার অভ্যাস করতে হবে। আবার দ্রুত লিখতে গিয়ে হাতের লেখা যাতে অস্পষ্ট এবং দুর্বোধ্য না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মানচিত্র, চার্ট, সারণি, ডায়াগ্রাম ইত্যাদি সহকারে উত্তর করার চেষ্টা করবেন। এই বিষয়গুলো উত্তরপত্রের সৌন্দর্যের পাশাপাশি প্রেজেন্টেশনও ভালো করে। উক্তি, পয়েন্ট, রেফারেন্স বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নীল কালিতে লিখার চেষ্টা করবেন। এতে পরীক্ষকের চোখ এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এড়াবে না।

বাংলাদেশ বিষয়াবলির গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:

  • বাংলাদেশের সংবিধান রচনার ইতিহাস (পটভূমি, ঘটনাক্রম); মূলনীতিসমূহ, সংবিধানের প্রস্তাবনা (উদ্দেশ্য, গুরুত্ব ও তাৎপর্য); সাংবিধানিক সংস্থাসমূহ ও পদসমূহ; সরকারি ও বেসরকারি বিল, অর্থবিল, বাজেট; মৌলিক অধিকার, রাষ্ট্রধর্ম, সংবিধানের প্রাধান্য, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংরক্ষণ, ধর্মনিরপেক্ষতা, জরুরি অবস্থা, নারীর অধিকার, নাগরিক অধিকারে সমতা, ন্যায়পাল, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (সংশ্লিষ্ট ধারাসমূহ); রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতি, মৌলিক অধিকার ইত্যাদি সংক্রান্ত অধ্যায় ও অনুচ্ছেদ সমূহ, সংবিধানের সংশোধনী সমূহ ও সংবিধানের তফসিলসমূহ; সংবিধানের অভিভাবক, ব্যাখ্যাকারক, সংশোধন সংক্রান্ত বিধান ও নিয়ম, ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ; সরকারের গুরুত্বপুর্ণ বিভাগসমূহ যেমন – আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগ প্রভৃতি।
  • বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থা অংশে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও ভূ-প্রকৃতি (কৌশলগত অবস্থান, গুরুত্ব, সুবিধা); বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান যেমন – ভূমিরূপ, নদ-নদী, বনাঞ্চল ইত্যাদি; ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (কাঠামো, অর্থায়ন ও চ্যালেঞ্জ); সমুদ্র অর্থনীতি, সমুদ্র বিজয় (সরকারের পদক্ষেপ, বাস্তবায়নে করণীয়); বঙ্গবন্ধু দ্বীপ, ভাসানচর, প্রবাল দ্বীপ, সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড, বিগ-বি, গভীর সমুদ্রবন্দর প্রভৃতি পড়বেন।
  • ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহের বৈচিত্র্য (পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক); মানব সম্পদ উন্নয়নে করণীয়; ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, এর সমস্যা ও সম্ভাবনাসমূহ; বাংলাদেশের জনসংখ্যা নীতি, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং প্রাসঙ্গিকতা; জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২; পরিবার পরিকল্পনা (পরিচিতি, প্রয়োজনীয়তা, সরকারের পদক্ষেপ ও বাস্তবায়নে করণীয়) প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ।
  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট (১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ঘটনাবলি); মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ব শক্তির ভূমিকা (ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন, যুক্তরাষ্ট্র); মুক্তিযুদ্ধ ও প্রভাব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বরূপ ও বর্তমান প্রয়োজনীতা; স্বাধীনতার ঘোষণা, গণহত্যা, অপারেশ জ্যাকপট, অপারেশন সার্চলাইট, রায়েরবাজার বধ্যভূমি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, কনসার্ট ফর বাংলাদেশ, মুক্তিবাহিনী, বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরপ্রতীক, উল্লেখযোগ্য অপারেশন ইত্যাদি।
  • বাংলাদেশের পরিবেশ (বৈশিষ্ট্য, দূষণের কারণ, প্রভাব, প্রতিকার ও প্রতিরোধ); জলবায়ু পরিবর্তন (বাংলাদেশের উপর এর প্রভাব ও প্রতিকারের উপায়); প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ (কারণ, প্রতিকার ও প্রশমনে করণীয়); সুন্দরবনের পরিবেশ, নদীদূষণ (কারণ, প্রভাব ও প্রতিকারের উপায়); বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি, তিস্তার পানি বণ্টন, ফারাক্কা বাঁধ, ই-বর্জ্য, যৌথ নদী কমিশন, সবুজ অর্থনীতি, SPARSO ইত্যাদি।
  • বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ (বিবরণ, ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা ও করণীয়); বাংলাদেশের বনজ ও খনিজ সম্পদ ( বিবরণ, সমস্যা-সম্ভাবনা, রক্ষার গুরুত্ব ও করণীয়); সামুদ্রিক সম্পদ (সম্ভাবনা ও আহরণে করণীয়), কৃষিজ ও মৎস সম্পদ; নবায়নযোগ্য ও অনবায়নযোগ্য সম্পদ; বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ; বিশ্ব ঐতিহ্যে স্বীকৃত বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদসমূহ; পেট্রোবাংলা; বাপেক্স প্রভৃতি।
  • ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য; অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহ (জ্বালানী সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, কোভিড-১৯ অতিমারি); দারিদ্র্য বিমোচন, গ্রামীণ উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা; রপ্তানি আয় (তৈরি পোশাক শিল্প, মৎস্য খাত, পর্যটন শিল্প, পাট ও অন্যান্য উদীয়মান শিল্পের ভূমিকা); অর্থনীতির বিভিন্ন খাত (কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ অন্যান্য উপখাত) ও তাঁদের অবদান; ব্লু-ইকোনমির সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়; রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি, পর্যটন শিল্প, চামড়া শিল্প, মৎস খাত, পাট শিল্প, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প, বাজেট, SDG, MDG (প্রেক্ষাপট, বাংলাদেশের সাফল্য ও করণীয়) প্রভৃতি।

অধ্যয়নের উৎস:

  • ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ মূলবই।
  • ৯ম-১০ম শ্রেণির ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা’ মূলবই।
  • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বশেষ সংশোধনী সম্বলিত মূল সংবিধান।
  • হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র’।
  • মুনতাসির মামুনের লেখা ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’।
  • সর্বশেষ প্রকাশিত অর্থনৈতিক সমীক্ষা।
  • প্রথিতযশা জাতীয় দৈনিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাম্প্রতিক কলামসমূহ।
  • সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি ওয়েবসাইট।
  • বাংলাপিডিয়া ও যেকোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যকোষ।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি:

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির উত্তরে তথ্য উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ছক, বক্স, গ্রাফ, চার্ট ইত্যাদি ব্যবহার বৃদ্ধি করলে উত্তরপত্র প্রশংসার সাথে মূল্যায়িত হবে। মানচিত্রের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক অঞ্চল চিহ্নিত করতে পারলে ভালো হয়। সরকারি নীতিসমূহ উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কৌশলী হতে হবে, কোনোভাবেই যেনো কোনো পয়েন্ট/শিরোনামে সরকারের সমালোচনা না থাকে, থাকলেও তা যেন গঠনমূলক সমালোচনা হয়।

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:

  • আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (সংজ্ঞা, প্রকৃতি, পরিধি, বিষয়বস্তু, গুরুত্ব); আন্তর্জাতিক রাজনীতি (পরিধি, বিষয়বস্তু, পাঠের প্রয়োজনীয়তা, নিয়ন্ত্রক উপাদানসমূহ); আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য; আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তত্ত্ব; আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বাস্তববাদ, আচরণবাদ, বহুত্ববাদ ও উদারনীতিবাদ; স্নায়ুযুদ্ধ (পরিচিতি, উৎপত্তির স্বরূপ, কারণসমূহ ও পরবর্তী বিশ্ব পরিস্থিতি); Clash of Civilization, UDHR, CEDAW, Shadow Pandemic, ম্যাগনা কার্টা, ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি প্রভৃতি।
  • বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ; ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব; বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের সমস্যা ও সম্ভাবনা; বিদেশের বাজারে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ (প্রয়োজনীয়তা, ভূমিকা ও কৌশল); আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ, অর্জন ও সম্ভাবনা; বাংলাদেশ-চীন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক; স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ; বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ প্রভৃতি। 
  • জাতিসংঘ (গঠনের পটভূমি, কার্যাবলি, সাফল্য ও ব্যর্থতা, মহাসচিবের ক্ষমতা ও কার্যাবলি); জাতিসংঘের সনদ অনুসারে নিরাপত্তা পরিষদের গঠন ও মূল দায়িত্ব; জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের সাফল্য ও বাংলাদেশের অংশগ্রহণ; আন্তর্জাতিক আদালত (গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি); পরিবেশগত এজেন্ডা, মানবাধিকার এজেন্ডা; শরণার্থী সংকট মোকাবেলায়, নারীর ক্ষমতায়নে ও আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসায় জাতিসংঘের ভূমিকা।
  • বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (উৎপত্তি, বিকাশ, কার্যক্রম, নীতিমালা ও ভূমিকা); ব্রিকস, আইডিবি, AIIB, NDB; জি-৭, জি-২০, জি-৭৭ (উৎপত্তি, বিকাশ, কার্যক্রম); কিয়োটা প্রটোকল চুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তনে কপ (COP) এর পদক্ষেপ প্রভৃতি।
  • সার্ক (অবদান, সাফল্য-ব্যর্থতা, সনদ পরিবর্তনে পরামর্শ ও বর্তমান অবস্থা); ন্যাম (গঠন, কার্যক্রম, অবদান ও কার্যকর করার জন্য পরামর্শ); ইউরোপীয় ইউনিয়ন (বিকাশ ও সম্প্রসারণ); ও.আই.সি (গঠন, কার্যাবলি, মুসলমানদের স্বার্থরক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা); ওপেক (গঠন, পটভূমি, উদ্দেশ্য, অবদান ও সম্ভাবনা); ASEAN, BIMSTEC, EU, ASEAN, APEC, AU, GCC, Common Wealth, RCEP (গঠন, উদ্দেশ্য, কার্যক্রম, সাফল্য-ব্যর্থতা); NATO (উদ্দেশ্য ও কার্যপ্রণালি); দক্ষিণ এশীয় বাণিজ্য চুক্তি: SAPTA, SAFTA; AFTA ও অন্যান্য আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও সহযোগীতা চুক্তি প্রভৃতি।
  • বিশ্বায়ন, বিশ্বের প্রধান ইস্যু ও দ্বন্দ্বসমূহ; বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা স্থানসমূহ প্রভৃতি।

অধ্যয়নের উৎস:

  • জাতীয় দৈনিক পত্রিকার আন্তর্জাতিক সংবাদ, প্রাসঙ্গিক কলাম ও সম্পাদকীয়।
  • নয়া বিশ্বব্যবস্থা ও সমকালীন আন্তর্জাতিক রাজনীতি- তারেক শামসুর রেহমান।
  • বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর- তারেক শামসুর রেহমান।
  • আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতি- শাহ মুহাম্মদ আব্দুল হাই।
  • আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূলনীতি- মোঃ আবদুল হালিম।
  • আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স পর্যায়ের পাঠ্য।
  • বেবি মওদুদের রচনায় ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে শেখ হাসিনা’ গ্রন্থ।
  • অধ্যাপক মুহাম্মাদ নূরুল ইসলামের ‘বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক’ বই।
  • মোস্তফা কামালের লেখা ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাংলাদেশ’।
  • সর্বশেষ সংস্করণের কোনো নির্ভরযোগ্য গাইডবই।
  • ব্রিটানিকা, ওয়ার্ল্ড এটলাস, বাংলাপিডিয়া – ইত্যাদি থেকে টপিক সার্চ করে বিস্তারিত পড়ে নিবেন।
  • সংশ্লিষ্ট সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি:

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনেকের জন্য ভয়ের কারণ। তবে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিল এখানে সর্বোচ্চ নম্বর তোলা সম্ভব। কারণ নন-ক্যাডারে অংশে খুব বেশি ডিপ থেকে আসার সম্ভাবনা নেই। ৯ম-১০ম শ্রেণিতে সাধারণ বিজ্ঞান বই থেকে হুবুহু প্রশ্ন আসতে দেখা যায়।  বিজ্ঞান ব্যাকগ্রাউন্ডের পরীক্ষার্থীরা মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান বইগুলো পড়তে পারেন। অন্যরা শুধু টপিক ধরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়বেন।

বিজ্ঞান বিষয়ে বেশি নম্বর পেতে হলে সংক্ষেপে প্রাসঙ্গিক ও চিত্রসহ (যদি প্রয়োজন হয়) বিষয়বস্তু বর্ণনা করতে পারলে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে। চিত্র আকা ও সমীকরণ লিখার জন্য পেন্সিল ব্যবহার করা উচিত। তবে সমীকরণ অন্য রংয়ের কলম দিয়েও লেখা যেতে পারে। কোনভাবেই লাল রংয়ের কালির কলম ব্যবহার করা যাবে না।

বিজ্ঞানের গুরত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:

  • আলোর প্রকৃতি, বর্ণালি; বিভিন্ন রং ও তরঙ্গ দৈর্ঘ্য; অতিবেগুনি রশ্মি, অবলোহিত রশ্মি ও লেজার; আলোর প্রতিফলন, আলোর প্রতিসরণ, আলোর বিচ্চুরণ; লেন্স, আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন; আলোর কণাতত্ত্ব, আইনস্টাইনের ফটোতড়িৎ সমীকরণ, আলোক কোষ প্রভৃতি।
  • চুম্বক ও চুম্বকত্ব; চৌম্বক ও অচৌম্বক পদার্থ; চৌম্বকের পোলারিটি এবং বিদ্যুতের সাথে সম্পর্ক; চৌম্বক বলরেখা; দন্ড চুম্বক হিসেবে পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্র; তড়িৎ চুম্বক; ট্যানজেন্ট গ্যালভানোমিটার; কম্পন ম্যাগনেটোমিটার; ডায়া, প্যারা, ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ; তড়িৎ চুম্বক ও স্থায়ী চুম্বক প্রভৃতি।
  • মাটি, মাটির প্রকারভেদ, মাটির গঠন, মাটির বৈশিষ্ট্য, মাটির pH; মাটি ক্ষার ও অম্ল হওয়ার কারন, বাফারিং; মাটি দূষণের কারণ, প্রভাব, প্রতিরোধ; প্রাকৃতিক গ্যাস ও এর প্রধান উপাদান; প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়াম ও কয়লার উৎস, প্রক্রিয়াকরণ ও ব্যবহার; বনপালনবিদ্যা, আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও সংরক্ষণ; দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান, বিভিন্ন ধরনের দূষণ প্রভৃতি।
  • খাদ্যের বিভিন্ন উপাদান; প্রোটিন; স্নেহ ও লিপিড; শর্করা; ভিটামিন; শর্করা ও প্রোটিনের প্রকারভেদ ও উৎস; রাফেজ; পুষ্টি মান; সুষম খাদ্য উপাদান তালিকা; সুষম খাদ্যের পিরামিড; বডি মাস ইনডেক্স (BMI), জাঙ্ক ফুড; খাদ্য সংরক্ষণ, খাদ্য সংরক্ষণের বিভিন্ন পদ্ধতি; খাদ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার ও এর শারীরিক প্রতিক্রিয়া প্রভৃতি।
  • রোগ সংক্রমণ, কারণ ও প্রতিকার; এন্টিবায়োটিক; স্ট্রোক; হৃদরোগ; উচ্চ রক্তচাপ; ডায়াবেটিস; ডেঙ্গু; কোভিড-১৯; এইডস; ক্যান্সার; ডায়রিয়া; মাদকাসক্তি; ভ্যাকসিনেশন; ফুড পয়েজনিং; কেমোথেরাপি; রেডিওথেরাপি; সিটিস্ক্যান; এম.আর.আই প্রভৃতি।

কম্পিউটার ও প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ টপিকসমূহ:

  • কম্পিউটার সংগঠন ও কার্যাবলি, কম্পিউটারের ইতিহাস, কম্পিউটারের প্রজন্ম; সিপিইউ ও তার অংশ, মাইক্রোপ্রসেসর, মাদারবোর্ড; কম্পিউটার মেমরি, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস, বায়োস, বাস আর্কিটেকচার; অনুবাদক প্রোগ্রাম; প্রোগ্রামিং ভাষা; সফটওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, অফিস অটোমেশন; কম্পিউটার ভাইরাস, দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের প্রভাব প্রভৃতি।
  • ডাটা ও ডাটা কমিউনিকেশন, তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও বন্টন; ডাটাবেজ সফটওয়্যার ও কাঠামো, ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম; মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার; LAN, MAN, WAN, GPS, টপোলজি, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস (রাউটার, সুইচ, হাব প্রভৃতি); প্রোটোকল, ইন্ট্রানেট, এক্সট্রানেট, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার; WWW, ওয়েব প্রযুক্তি, জনপ্রিয় ওয়েবসাইটসমূহ; ক্লাউড কম্পিউটিং, ইমেইল, ডাটাবেজ, সাইবার নিরাপত্তা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম; ট্রান্সমিশন মিডিয়া, ব্যান্ডউইথ, অপটিক্যাল ফাইবার, ওয়াইফাই; টেলিকমিউনিকেশন এবং স্যাটেলাইট যোগাযোগ, ভিস্যাট; ই-কমার্স; সাম্প্রতিক আলোচিত তথ্য প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ প্রভৃতি।

অধ্যয়নের উৎস:

  • ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বই।
  • ২০১৯ সংস্করণের ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বই (অবশ্যই পড়তে হবে)।
  • ৯ম-১০ম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান বই।
  • ৮ম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বই।
  • কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
  • সর্বশেষ সংস্করণের ভালোমানের নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।  
ক্রমিক নংগণিত ও মানসিক দক্ষতা সিলেবাসনম্বর
পাটিগণিত: সেট ও সংখ্যা, সরল, গড়, লাভ-ক্ষতি, শতকরা, সুদকষা, ক্ষেত্রফল, অনুপাত, সমানুপাত।১৫
বীজগণিত: বর্গ ও ঘন এর সূত্র এবং এর ব্যবহার, ল.সা.গু, গ. সা. গু, উৎপাদকে বিশ্লেষণ, সমাধান, মান নির্ণয় ইত্যাদি।১৫
জ্যামিতি: প্রাথমিক ধারণা ও সংজ্ঞা, রেখা, বিন্দু, কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ সম্পৰ্কীয়, বিষয়াদি; ক্ষেত্রফল ও বৃত্ত সম্পৰ্কীয় বিষয়াদি, ত্রিকোণমিতি ইত্যাদি।১০
মানসিক দক্ষতা: Ability to understand language, decision making ability, ability to measure spatial relationship and direction, problem solving ability, perceptual ability etc.২০
মোট৬০

গণিত:

গণিতে ৩টি অংশ আলাদা রয়েছে। যথা- পাটিগণিত, বীজগণিত এবং জ্যামিতি। নন-ক্যাডার সিলেবাসটা অনেকাংশে বিসিএস সিলেবাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কেউ বিসিএসের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিলে এই অংশ কভার হয়ে যায়। তদুপরি, যেকোনো চাকরির পরীক্ষায় গণিত অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই গণিতের প্রস্তুতি সবমসয় ভালোভাবে নেওয়া উচিত।

❖    পাটিগণিত:

–      বাস্তব সংখ্যা, ল.সা.গু ও গ.সা.গু, সরল, গড়, লাভ-ক্ষতি, শতকরা, সুদকষা, অনুপাত-সমানুপাত, ঐকিক নিয়ম গণিতের ব্যাসিক বিষয়। এগুলো সকলেরই জানা থাকা উচিত। এগুলোর ব্যাসিক শক্তিশালী না হলে গণিতে ভালো করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই অবশ্যই সবাই এ অধ্যায়গুলো ভালোভাবে শিখে যাবেন।

–      সেট প্রকাশের পদ্ধতি, সেটের বিভিন্ন অপারেশন, বিভিন্ন সেটের সংজ্ঞা, ডোমেইন রেঞ্জ নির্ণয়, কার্তেসীয় গুণজ, ক্রমজোড়ের সূত্র, ডি মরগ্যান এর সূত্র সম্পর্কিত সমস্যাসমূহ দেখবেন। ভেনচিত্র সম্পর্কিত সমস্যাসমূহ পড়ে যাবেন।

–      সমান্তর ও গুণোত্তর ধারার সকল সূত্রাবলি মুখস্ত রাখতে হবে এবং প্রয়োগ জানতে হবে। অসীমতক সমষ্টির নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ অনুপাত ও উল্লিখিত শর্ত লক্ষ্য রেখে সমাধান করতে হবে। কিছু কিছু পৌনঃপনিক থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে আবৃত ভগ্নাংশের ব্যবহার ও প্রয়োগ জেনে যাবেন।

❖    বীজগণিত:

–      বীজগাণিতিক সূত্রাবলি এবং বহুপদী উৎপাদকে বিশ্লেষণ খুবই গুরত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই এই টপিকের ব্যাসিক থেকে শুরু করে ডিপ সব ধরনের অংক সমাধান করার দক্ষতা থাকতে হবে। বীজগণিতের সকল সূত্রাবলি মুখস্থ রাখতে হবে এবং সূত্রাবলির প্রয়োগ জানতে হবে।

–      সূচক এবং লগারিদম থেকে প্রায়ই লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে। লিখিত পরীক্ষার জন্য এটা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিলে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়ে যাবে। সূচক এবং লগারিদমের সূত্রাবলি ভালোভাবে মুখস্থ রাখতে হবে এবং প্রয়োগ জানতে হবে।

❖    জ্যামিতি:

–      জ্যামিতিতে ভালো করার জন্য জ্যামিতির ব্যাসিক বিষয়গুলো যেমন: বিভিন্ন ধরনের রেখা, কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, ট্রাপিজিয়াম, বৃত্ত প্রভৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হবে। উপপাদ্য মাধ্যমিক গণিত এবং উচ্চতর গণিত বই থেকে সরাসরি সম্ভাবনা রয়েছে। অধ্যায় শেষে অনুশীলনীর সমস্যাগুলোও সমাধান করবেন। ত্রিভুজ সংক্রান্ত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য সম্পর্কিত প্রমান এবং বৃত্ত সম্পর্কিত উপপাদ্যগুলো পড়বেন।

–      পরিমিতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমে অংশে রয়েছে সরলক্ষেত্র (যেমন- ত্রিভুজ, আয়তক্ষেত্র, বর্গক্ষেত্র, রম্বস, সামান্তরিক, ট্রাপিজিয়াম প্রভৃতি) এবং দ্বিতীয় অংশে ঘনবস্তু (যেমন: ঘনক, কোণক, গোলক, বেলন, সিলিন্ডার, পিরামিড, প্রিজম প্রভৃতি)। পরমিতিতে ভালো করতে হলে সরলক্ষেত্র এবং ঘনবস্তুসমূহের ক্ষেত্রফল ও অন্যান্য সূত্রগুলো মুখস্ত রাখতে হবে।

–      ত্রিকোণমিতিক অনুপাতের মধ্যে সম্পর্কসমূহ এবং সূত্রসমূহ মুখস্থ করতে হবে। বিভিন্ন ত্রিকোণমিতিক অনুপাতের (0, 30, 45, 60, 90) ডিগ্রীর মানগুলো মুখস্থ রাখতে হবে। উন্নতি কোণ, অবনতি কোণ, দূরত্ব, উচ্চতা সম্পর্কিত সমস্যাসমূহের বিশেষভাবে সমাধান করতে হবে। বোর্ড বইয়ের এই অধ্যায়ের সমস্যা সমূহের সমাধান করতে হবে।

অধ্যয়নের উৎস

  • সরল ও যৌগিক মুনাফা ৮ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২.১ এবং ২.২, ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৩.৫, ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় – ৪.৩ থেকে পড়বেন।
  • শতকরা ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২.২, ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় – ৪ থেকে পড়বেন।
  • লাভ-ক্ষতি ৭ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২.২, ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৩.৫, ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় – ৪.২ থেকে পড়বেন।
  • অনুপাত-সমানুপাত ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২.১, ৭ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২.১, ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় – ৩ থেকে পড়বেন।
  • ঐকিক নিয়ম ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২.৩, ৭ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২.৩, ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় – ২ থেকে পড়বেন।
  • সেট ৮ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৭; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ১ থেকে পড়বেন।
  • সমান্তর ও গুণোত্তর ধারা ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ১৩; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৭ থেকে পড়বেন।
  • বীজগাণিতিক সূত্রাবলি এবং বহুপদী উৎপাদকে বিশ্লেষণ ৬ষ্ঠ শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৩; ৭ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৪, ৫ এবং ৬; ৮ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৪ এবং ৫; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৩; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ২; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০০২ সংস্করণ) অধ্যায় – ৩; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় ২, ৩ এবং ৪ থেকে পড়বেন।
  • সূচক এবং লগারিদম ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৪; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৯; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (১৯৮৩ সংস্করণ) অধ্যায় – ৬ থেকে পড়বেন।
  • জ্যামিতি ৮ম শ্রেণির গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৬, ৮, ৯ এবং ১০; ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৬, ১৪ এবং ১৫; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৩ থেকে পড়বেন।
  • পরিমিতি ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ১৫ এবং ১৬; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ১৩ থেকে পড়বেন।
  • ত্রিকোণমিতি ৯ম-১০ম শ্রেণির সাধারণ গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৯ এবং ১০; ৯ম-১০ম শ্রেণির উচ্চতর গণিত বইয়ের (২০১৯ সংস্করণ) অধ্যায় – ৮ থেকে পড়বেন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের নির্ভরযোগ্য যেকোনো গাইডবই।

মানসিক দক্ষতা:

মানসিক দক্ষতাকে মূলত ৬টি অংশে বিভক্ত করা যায়। বিসিএস প্রিলিমিনারি এবং লিখিত মানসিক দক্ষতা অংশের জন্য প্রস্তুতি নিলে এই অংশের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যায়। মানসিক দক্ষতায় ভালো করার জন্য নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই। মনে রাখবেন এই বিষয়ে সবচেয়ে কম পরিশ্রমে সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া সম্ভব।

বানান ও ভাষা: ভাষাগত যৌক্তিক বিচার অংশে মূলত আপনার চিন্তা করা ক্ষমতা, জ্ঞানের গভীরতা যাচাই করা হবে। এই অংশে সাধারণত কোন শব্দ, শব্দগুচ্ছ বা বাক্য কার্যকরভাবে ব্যবহারের দক্ষতা যাচাই করা হয়। এছাড়া সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন আসতে পারে পাশাপাশি ইতিহাস, ভূগোল, সাহিত্য, বিজ্ঞান এবং সমসাময়িক বিষয়ায়বলি থেকেও প্রশ্ন আসতে পারে। সামাজিক এবং পরিস্থিতি বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যা ও তা সমাধানের উপায় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হতে পারে।

সমস্যা সমাধান: এই অংশে আপনার গাণিতিক সমস্যা, জ্যামিতিক সমস্যা ও অনুধাবন ক্ষমতা ব্যবহারের দক্ষতা যাচাই করা হয়। এছাড়া সাধারণ গণিতের যেকোন অঙ্ক আসতে পারে। যেমন: ঘড়ি, দিনপুঞ্জি, কাজ-সময়, ট্রেন-নৌকা-গতি, সম্পর্ক অনুধাবন প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।

সংখ্যাগত দক্ষতা: এই অংশে পরীক্ষার্থীর সংখ্যাগত ক্ষমতা যাচাই করা হয়। সংখ্যাগত হিসাব, ধারায় সংখ্যার অবস্থান, ধারা থেকে বিলুপ্ত সংখ্যা খোঁজা, সংখ্যা চিহ্নিতকরণ প্রভৃতি থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। এছাড়া চিত্রে যৌক্তিক সংখ্যা কোনটি হবে, জ্যামিতিক চিত্রে সংখ্যা ব্যবহারের দক্ষতা প্রভৃতি সক্ষমতা দেখা হয়।

স্থানাঙ্ক সম্পর্ক: এ অংশে একটি চিত্র হতে লুকায়িত চিত্র খুঁজে বের করতে বলা হতে পারে। কোডিং-ডিকোডিং, দিক এবং দূরত্ব নির্ণয় করতে বলা হয়। পরীক্ষার্থীর বহুমাত্রিক অবস্থান নির্ণয়ের দক্ষতা যাচাই করা হয়।

বিমূর্ত যুক্তি: এই অংশে আয়নায় ও পানিতে প্রতিবিম্ব নিরূপণ করতে দেওয়া হয়। বাংলা ও ইংরেজি বর্ণ এবং সংখ্যার আয়নায় ও পানিতে প্রতিবিম্বরূপ মুখস্ত রাখতে হবে। একটি অসম্পূর্ণ চিত্র সম্পূর্ণ করতে বলা হতে পারে। চিত্র থেকে ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজ গণনা করার প্রক্রিয়া জানতে হবে। কাগজের ভাঁজ সম্পর্কিত সমস্যাগুলো সমাধান করার নিয়ম জানতে হবে। বিভিন্ন ধরনের চিত্র বা ডায়াগ্রাম হতে ব্যতিক্রমী চিত্র বা ডায়াগ্রামটি খুঁজে বের করতে হয়।

যান্ত্রিক দক্ষতা: এই অংশে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের সরল ও জটিল যন্ত্রাংশ ও প্রাত্যহিক জীবনের ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশ্ন আসে। তাছাড়া লিভারের ভারসাম্য, কপিকল, স্প্রিং, গিয়ারের ঘূর্ণন দিক নির্ণয় সংক্রান্ত প্রশ্ন আসতে পারে।

অধ্যয়নের উৎস

  • বিগত বিসিএস লিখিত ও প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আসা মানসিক দক্ষতার সব প্রশ্ন একসাথে সংগ্রহ করে সমাধান করে ফেলতে হবে। একই টপিকের অন্যান্য প্রশ্নগুলোর উপরও গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে।
  • মানসিক দক্ষতার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট যেমন – Examveda, Indiabix ইত্যাদি থেকে বিসিএস সিলেবাসের টপিকগুলোর উপর প্রস্তুতি নিন।
  • The Aptitude Test Workbook by Jim Barrett বইটি থেকে সিলেবাস মিলিয়ে পড়তে পারেন।
  • Mechanical Aptitude Test by Paul Newton বইটি থেকে সিলেবাস মিলিয়ে পড়তে পারেন।
  • সর্বশেষ সংস্করণের যেকোনো ভালোমানের গাইডবই।

টেকনিক্যাল পদের প্রিলিমিনারি এবং লিখিত প্রস্তুতির জেনারেল অংশের গাইডলাইন সম্পর্কে জানতে উপরের নন-টেকনিক্যাল (জেনারেল) অংশের বিষয়ভিত্তিক গাইডলাইন ও সাজেশন দেখুন। পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়টি বিগত সময়ে আসা পিএসসি নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে প্রস্তুতি নিন।

  • Live MCQ™

    Live MCQ™

ঘরে বসে বিসিএস, ব্যাংক, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, NTRCA, ৯ম-২০তম গ্রেড সহ সকল চাকরির লাইভ এক্সামের মাধ্যমে প্রস্তুতি নিতে -

১.৭ মিলিয়ন+ অ্যাপ ডাউনলোড

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সকল সরকারি-বেসরকারি চাকরির পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিন Live MCQ™ অ্যাপে।

১.৭ মিলিয়ন+ অ্যাপ ডাউনলোড

৪.৬
5/5

কোম্পানির তথ্য

RJSC রেজিস্ট্রেশন নম্বর: C-180637

Registrar of Joint Stock Companies and Firms of the People’s Republic of Bangladesh

আপনার পছন্দের ভার্সন এখান থেকে ইনস্টল করুন 📲

নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন

Subscription Form - Live MCQ

© স্বত্বাধিকার ২০১৭ – ২০২৫  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত  |  CrackTech Limited দ্বারা পরিচালিত

আজই Live MCQ™ অ্যাপ ইনস্টল করুন!

Live MCQ™ অ্যাপটি Android, iPhone (iOS), PC/Laptop/Desktop (Windows) এবং Apple MacBook-এ পাওয়া যাচ্ছে। আপনার পছন্দের ভার্সন এখান থেকে ইনস্টল করুন।