সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫

প্রিয় চাকরিপ্রত্যাশীগণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫ প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি জারিকৃত গেজেট অনুসারে, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালায় বড় পরিবর্তন এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ২৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগের ২০১৯ সালের বিধিমালা রহিত করা হয়েছে এবং নতুন বিধিমালা অবিলম্বে কার্যকর করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনের মূল বিষয়সমূহ:
- বিধিমালা কার্যকর: ২৮ আগস্ট ২০২৫ থেকে
- পুরনো বিধিমালা রহিত: ২০১৯ সালের বিধিমালা
- লিখিত পরীক্ষা: ৯০ নম্বর, ৯০ মিনিট, পাশ নম্বর ৪৫
- মৌখিক পরীক্ষা: ১০ নম্বর, পাশ নম্বর ৫
- মোট নম্বর: ১০০
- কোটা ব্যবস্থা: ৭% (মুক্তিযোদ্ধা ৫%, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১%, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ ১%)
- নারী কোটা বাতিল
- সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে নতুন পদ
- বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকদের জন্য ২০% পদ
নিয়োগ পরীক্ষার কাঠামো
নতুন বিধিমালা অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণ পরবর্তী মৌখিক পরীক্ষার জন্য বিবেচিত হবেন।
মানবন্টন:
| পরীক্ষার বিষয় | নম্বর | সর্বনিম্ম পাসনম্বর | সময় | |
| লিখিত পরীক্ষা | বাংলা | ২৫ | ৫০% | ৯০ মিনিট |
| ইংরেজি | ২৫ | |||
| গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান | ২০ | |||
| সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) | ২০ | |||
| মোট নম্বর | ৯০ | |||
| মৌখিক পরীক্ষা | ১০ | ৫০% | – | |
| সর্বমোট নম্বর | ১০০ | – | – | |
অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে মৌখিকের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। লিখিত ও মৌখিক মিলে মোট নম্বর হবে ১০০।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫ সংক্রান্ত গেজেট
কোটা ব্যবস্থার পরিবর্তন
পূর্বে (২০১৯ সালের) বিধিমালায় নারীদের জন্য ৬০% কোটা, পোষ্য ২০% এবং পুরুষ ২০% কোটা ছিল। কিন্তু নতুন ২০২৫ সালের বিধিমালায় নারী কোটা বাতিল করে মাত্র ৭% কোটা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে –
- ৫% – মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য
- ১% – ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য
- ১% – শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য
যদি কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া যায়, তবে শূন্য পদগুলো মেধার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে।
নিয়োগের নতুন শর্ত ও বিশেষ বিধান
- শিক্ষক নিয়োগ সরাসরি ও পদোন্নতির মাধ্যমে হতে পারবে।
- নিয়োগ হবে উপজেলা ও ক্ষেত্রবিশেষে থানাভিত্তিক।
- সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
- বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য ২০% পদ সংরক্ষিত, বাকি ৮০% পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য রাখা হয়েছে।
শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তি
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি আগস্ট মাসেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের প্রায় ১৩,৫০০ শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে।




এইক্ষেত্রে আবেদন এর জন্য কি কি কাগজপত্র লাগতে পারে?
আবেদনের জন্য কোন কাগজপত্র লাগবে না। আপনি যদি ৩ বছর মেয়াদী স্নাতক বা ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক (সম্মান) বা এর সমমান ডিগ্রি অর্জন করে থাকেন তাহলেই আবেদন করতে পারবেন।
Abedon korar jonno website er link kothay pabo?
Abedon korar jonno website er link kothay pabo?
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য কি কোন অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ আছে? নাকি বয়স ৩২ এ-র মধ্যে হলেই পারবে?
বয়স ৩২ এর মধ্যে হলেই আবেদন করতে পারবেন। অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। ধন্যবাদ।
এই লিখিত পরীক্ষা মানে কি এমসিকিউ? 🙂
এমসিকিউ।
Appeared certificate দিয়ে কি আবেদন করা যাবে..?
না ভাইয়া। অ্যাপিয়ার্ড দিয়ে আবেদনের সুযোগ নেই।
প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক ১২২১ পদের নিয়োগ (২০২৫) কি জেলার শূন্য পদের ভিত্তিতে দেয়া হবে? এক্ষেত্রে যে জেলায় পদ খালি না থাকলে তারা কি প্রধান শিক্ষক হতে পারবে না?
নিয়োগের ক্ষেত্রে নিজ উপজেলা ও জেলাকে প্রাধান্য দেয়া হবে। শূন্য পদ না থাকলে যেকোন জেলায় পোস্টিং হতে পারে। ধন্যবাদ।
পরীক্ষা কবে নাগাদ হতে পারে??
এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হলে পেইজে পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।