প্রিয় চাকরিপ্রার্থীগণ, আশা করি ভালো আছেন। ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি-তে আবেদন সংক্রান্ত বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা সংক্রান্ত ব্লগে আপনাদের স্বাগতম। আপনারা জানেন, দেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গত ১৬ জুন ২০২৫ তারিখ (সোমবার) ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে NTRCA। এ নিয়োগের মাধ্যমে ১ লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি গত ৪ জুন ২০২৫ তারিখে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এ পরীক্ষায় মোট ৬০ হাজার ৫২১ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৭তম ও ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন সনদপ্রাপ্ত প্রার্থীদের এখন ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময়। কিন্তু চলমান নিয়োগে আবেদন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াবলি নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় আছেন। যারা আবেদন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন খুঁজছেন মূলত তাদের উদ্দেশ্যেই আমাদের আজকের আলোচনা। আশা করছি এই ব্লগটি পড়ার পর নিবন্ধন ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে কারা আবেদন করতে পারবেন, কীভাবে পছন্দক্রম ঠিক করবেন, কিংবা আবেদনপত্র পূরণে কী বিষয়ে সতর্কতা জরুরি — এসকল বিষয় নিয়ে আপনাদের আর কোন কনফিউশন থাকবে না।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন NTRCA ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত ও নির্ভরযোগ্য উত্তর এখানে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি, এই লেখাটি পড়লে আপনি নির্ভুলভাবে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন।
৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির শূন্যপদের বিবরণ
- স্কুল ও কলেজ- এমপিও– ৪৬,২১১
- মাদ্রাসা- এমপিও- ৫৩,৫০১
- কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান- এমপিও- ১,১১০
- সর্বমোট- ১,০০,৮২২
আবেদনের সময়সীমা
- আবেদন শুরু: ২২ জুন ২০২৫, দুপুর ১২টা।
- শেষ সময়: ১০ জুলাই ২০২৫, রাত ১২টা।
- আবেদন ফি জমা: ১৩ জুলাই ২০২৫, রাত ১২টা পর্যন্ত
৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে কারা আবেদন করতে পারবেন
প্রার্থীর বয়সসীমা: সর্বশেষ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের দিন অর্থাৎ ৪ জুন ২০২৫ পর্যন্ত আবেদনকারীর বয়স ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে।
নিবন্ধন সনদের মেয়াদ: শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের তারিখ হতে ৪ জুন ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত ৩ বছরের মধ্যে হতে হবে।
যোগ্যতা-
- নির্দিষ্ট পদ ও বিষয়ের জন্য প্রত্যাশিত শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ NTRCA-এর ওয়েবসাইটের “৬ষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তি” নামক সেবা বক্সে পাওয়া যাবে।
- আবেদনকারীকে প্রাসঙ্গিক শিক্ষাগত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।
- কোন মহিলা কোটা থাকবে না।
একটি সনদে আবেদন: প্রত্যেক আবেদনকারী ভিন্ন ভিন্ন নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করলেও অর্থাৎ, একাধিক নিবন্ধন সনদপ্রাপ্ত হলেও আবেদনের ক্ষেত্রে একটি মাত্র সনদ ব্যবহার করতে পারবেন।এমপিওভুক্তদের আবেদন: যারা ইতিমধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত, তারা সেই একই পদে আবেদন করতে পারবেন না; তবে অন্য উচ্চতর বা নিম্নপদে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
আবেদন প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলী
৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন পদ্ধতির ৮ ধাপ
মোট ৮টি ধাপে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
১ম ধাপ: প্রথমে এনটিআরসিএ ও টেলিটক ওয়েবসাইট থেকে E-Application বা অনলাইন আবেদনের লিংকে প্রবেশ করতে হবে। এখানে রোল-রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ইনপুট দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব তথ্য চলে আসবে।
২য় ধাপ: পরবর্তী ধাপে মোবাইল নম্বর, ই-মেইল আইডি, প্রার্থীর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে।
৩য় ধাপ: প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করতে হবে।
৪র্থ ধাপ: এ ধাপে প্রতিষ্ঠান পছন্দক্রম দিতে হবে। ৫ম ধাপে পছন্দক্রম সিরিয়াল অনুযায়ী সাজাতে হবে। এই সিরিয়াল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর, মেধাক্রম অনুযায়ী সুপারিশ করা হবে। ফলে নম্বর কম এবং মেধাক্রম বেশি হলে হলে চিন্তাভাবনা করে পছন্দক্রম দিতে হবে।
৬ষ্ঠ ধাপ: এ পর্যায়ে প্রার্থীর ছবি ও ই-সিগনেচার আপলোড করতে হবে। এক্ষেত্রে নিবন্ধন পরীক্ষার আবেদনে প্রার্থীর যে ছবি ব্যবহৃত হয়েছে, সেই ছবিই ডাউনলোড করে আবেদন ফরমের নির্ধারিত স্থানে আপলোড করতে হবে।
৭ম ধাপ: এরপর আবেদনটি সম্পূর্ণ রিভিউ করা যাবে। এখানে সবকিছু ঠিক আছে কি না তা পুনরায় দেখে নিতে হবে। সব ঠিক থাকলে তবেই আবেদন সাবমিট করতে হবে।
৮ম ধাপ: সকল ধাপ সঠিকভাবে সম্পন্ন করলে এই শেষ ধাপে প্রার্থীদের আবেদন কপি ডাউনলোড করতে হবে।
আবেদন ফি
- e-Application ফি ১,০০০/- টাকা, যা Application ফরম Submit করার পরবর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যে টেলিটক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে জমা দিতে হবে।
আবেদন মাধ্যম
- ওয়েবসাইট: [www.ntrca.gov.bd] (http://www.ntrca.gov.bd) এবং ngi.teletalk.com.bd এ আবেদন করতে হবে।
- ভিডিও টিউটোরিয়াল দেওয়া হবে টেলিটক–এ, যাতে ফরম পূরণ ও ফি প্রদানের ধাপগুলো সহজে বুঝে নেওয়া যায়।
পছন্দক্রম নির্ধারণ ও সংখ্যা
- আবেদনকারীরা নিজের ইচ্ছা ও সুবিধা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪০টি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পছন্দ তালিকায় (Choice List) দিতে পারবেন।
- এই লিস্টের বাইরের প্রতিষ্ঠানেও পরে যোগদানের সুযোগ পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে, Choice প্রদানের পর E-Application ফরমের ‘Other’ Option বক্সে ‘Yes’ ক্লিক করতে হবে। তবে পছন্দ তালিকার বাইরে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক না হন তবে ‘NO’ ক্লিক করতে হবে।
- ‘Yes’ Click করলে তিনটি অপশন পাওয়া যাবে — General, Madrasha ও Technical — এর যে কোন একটি অথবা দুইটি অথবা তিনটি অপশনই Select করতে পারবেন।
- কোন প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে।
৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে —
- আবেদনপত্র পূরণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফি না দিলে আবেদন বাতিল হবে।
- নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন ফি জমা না দিতে হবে। অনলাইনে সফলভাবে আবেদন পেশ করার পর আবেদনকারীকে স্ব-উদ্যোগে দাখিলকৃত আবেদনের (Applicant’s copy) একটি প্রিন্ট কপি সংরক্ষণ করতে হবে।
- আবেদনকারীকে e-Application ফরম পূরণের সময়েই পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।
- আবেদনকারী যদি মিথ্যা তথ্য দেয় এবং সে অনুযায়ী নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়; তবে এ সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- বালিকা বিদ্যালয় ও মহিলা কলেজে সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদে শুধুমাত্র মহিলা প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। মহিলাদের জন্য নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান বা পদে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করে নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হলে তার নিয়োগ সুপারিশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
- ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা পদের জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই ওই ধর্মাবলম্বী হতে হবে, অন্যথায় সুপারিশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
- জন্ম তারিখসহ অন্যান্য তথ্যাদি ভুল থাকলে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন না। তাই E- Certificate ডাউনলোড করার আগেই নির্ধারিত ফিসহ নির্ধারিত ফর্মে নিজ জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য NTRCA কার্যালয়ে আবেদন করার সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। তবে সময় খুবই কম।
- নিজের নাম, বাবা-মায়ের নাম ও এলাকার নামে কোনো তথ্য ভুল থাকলে NTRCA-তে যোগাযোগ করে সংশোধন করে নিন। অভিভাবকের নাম পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
- আবেদন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ফরম পূরণ শেষে একবার আবেদনপত্র Submit হয়ে গেলে তা কোন ভাবেই সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।
নিয়োগ প্রক্রিয়া
- নিয়োগের সুপারিশ: এক পদে একজন প্রার্থীকে যোগ্যতার ভিত্তিতে সুপারিশ করা হবে। সুপারিশ প্রাপ্তদের তালিকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।
- চুক্তিপত্র বা নিয়োগপত্র না পেলে: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ না দেন, তবে সেই প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির এমপিও স্থগিত বা বাতিল করা হবে।
NTRCA-র ডিসক্লেইমার
- নিয়মানুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার এর মাধ্যমে কর্তৃক শূন্যপদের চাহিদা জমা দেন। এই প্রক্রিয়ায় ভুল চাহিদাপত্রের কারণে নিয়োগ সুপারিশে কোন জটিলতার তৈরি হলে তার জন্য NTRCA দায়ী থাকবে না।
- মামলা/আইনগত কোন জটিলতার কারণে অনলাইনে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কোন পদে নিয়োগ প্রদান সম্ভব না হলে NTRCA দায়ী থাকবে না।
- এই গণবিজ্ঞপ্তির যে কোন শর্ত এবং প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি NTRCA যে কোন সময়ে সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন এবং স্থগিত করতে পারবে।
NTRCA কেন ও এর ভূমিকা
- বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান NTRCA।
- ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ দেয়া হতো। সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করা যেতো। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত।
- ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত দায়িত্ব পায় NTRCA।
- এবারই প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে ১ লাখ ৮২২টি এমপিওভুক্ত শূন্যপদের এত বিশাল নিয়োগের ঘোষণা করলো NTRCA।
- NTRCAএ পর্যন্ত ১৮টি নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়েছে।
- আসন্ন শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি ১৯তম হওয়ার কথা থাকলেও সেটি না-ও হতে পারে। এক্ষেত্রে নতুন করে প্রথম থেকে শুরু করা হতে পারে।
- পরবর্তী শিক্ষক নিবন্ধন থেকে আর গণ-বিজ্ঞপ্তি থাকবে না, পাশ হলে সরাসরি নিয়োগ পাবেন।
শিক্ষক নিবন্ধনের নতুন বিজ্ঞপ্তি হতে পারে জুলাইয়ে
শিক্ষক নিবন্ধনের বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করলেও এ বিষয়ে জনপ্রশাসন এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত প্রয়োজন। এ মতামত পাওয়ার পরপরই শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। আগামী জুলাই মাসের শেষ দিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা
- এনটিআরসিএর মাধ্যমে চূড়ান্ত উত্তীর্ণ ও নিয়োগের জন্য সুপারিশ পাওয়া একজন প্রবেশনারি পর্যায়ের শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে জাতীয় বেতন কাঠামো অনুসারে ৯ম, ১০ম ও ১১তম স্কেলে বেতন শুরু হয়। কলেজ পর্যায়ের প্রভাষকেরা ৯ম গ্রেডে, স্কুলপর্যায়ে সহকারী শিক্ষক বিএড ছাড়া ১১তম গ্রেডে ও বিএড থাকলে ১০ম গ্রেডে বেতন শুরু হয়।
- মাসিক নিট বেতন হিসাব করলে একজন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত কলেজ প্রভাষক ২২ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত ও মাদ্রাসা, কারিগরি ও হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক ১২ হাজার ৫০০ থেকে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা পেয়ে থাকেন।
- অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বাড়িভাড়া ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০সহ মোট ১ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত যুক্ত হয়।
- উৎসব ভাতা হিসেবে মূল বেতনের ২৫%, দুই ঈদে দুটি উৎসব ভাতা ও বৈশাখী ভাতাও পেয়ে থাকেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা। অন্যান্য চাকরির মতো প্রতিবছর ইনক্রিমেন্ট সুবিধা পাওয়া যায়।
- স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক থেকে পর্যায়ক্রমে পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পর্যন্ত হওয়া যায়।
- কলেজের প্রভাষকেরা আট বছর পূর্তিতে আনুপাতিক হারে সহকারী অধ্যাপক হওয়ার সুযোগ পান। পরবর্তী সময় পদোন্নতি পেয়ে উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ থাকে।
- একজন প্রভাষক বা শিক্ষক ৬০ বছর চাকরি শেষে অবসর গ্রহণ করলে অবসরকালীন ও ভবিষ্যৎ কল্যাণ তহবিল থেকে এককালীন সুবিধা পেয়ে থাকেন।
শেষকথা
এই বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আশা করি আপনাদের অনেক বিভ্রান্তি দূর হয়েছে। কারা আবেদন করতে পারবেন, কীভাবে আবেদন করবেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার ধাপগুলো কেমন হবে, এবং NTRCA কেন ও কিভাবে কাজ করে — এসব ব্যাপারে আশা করি আর কোনো সংশয় নেই। তবে আরও কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে জানাতে পারেন।
গণবিজ্ঞপ্তি ও শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এলে Live MCQ সাইট ও ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বর্তমানে নিবন্ধিত শিক্ষকের সংখ্যা দেশে লাখো শিক্ষক ঘাটতির তুলনায় অনেক কম হওয়ায় পরবর্তী (বা ১৯তম) শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ওপর নির্ভর করতে হবে। সঙ্গত কারণেই, যারা বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করতে চান (ইতোমধ্যে নিবন্ধিত ও নতুন পরীক্ষার্থী উভয়), তাদের এখন থেকেই ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQ)
উত্তর: একাধিক নিবন্ধন সনদ থাকলেও একজন প্রার্থী কেবল একটি সনদ ব্যবহার করেই আবেদন করতে পারবেন। কোন সনদটি ব্যবহার করবেন, সেটা আপনার পছন্দ।
উত্তর: যেসব প্রার্থীর ই-প্রত্যয়নপত্রে নাম, পিতার নাম, মাতার নাম বা ঠিকানায় ভুল আছে, তারা ই-প্রত্যয়নপত্র ডাউনলোড করার পর নির্ধারিত ফি ও ফর্মসহ এনটিআরসিএ অফিসে আবেদন করে ভুল সংশোধন করতে পারবেন।
আর যাদের জন্ম তারিখে ভুল থাকায় তারা ৬ষ্ঠ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারছেন না, তাদেরকে ই-প্রত্যয়নপত্র ডাউনলোড না করে, শুধু নির্ধারিত ফি ও ফর্মসহ জন্ম তারিখ সংশোধনের আবেদন এনটিআরসিএ অফিসে জমা দিতে বলা হয়েছে।
উত্তর: প্রার্থীর বয়স গণনা করা হবে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ অর্থাৎ ৪ জুন ২০২৫ অনুযায়ী। সে তারিখে আপনার বয়স ৩৫ বছর বা তার কম হলে আপনি আবেদন করতে পারবেন।
উত্তর: আপনি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে আগে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজে সুপারিশ না পেলে তখন স্কুল পর্যায়ে বিবেচিত হবেন।
উত্তর: আপনি সর্বোচ্চ ৪০টি প্রতিষ্ঠান পছন্দক্রমে দিতে পারবেন। তবে চাইলে Choice List-এর বাইরেও নিয়োগের জন্য ‘Other’ অপশনে ‘Yes’ ক্লিক করে সম্মতি জানাতে পারেন। এতে General, Madrasha ও Technical — তিনটি বিভাগ থেকে এক বা একাধিক বিভাগ নির্বাচন করতে পারবেন। লেখাপড়ার ব্যাকগ্রাউন্ড ভিন্ন হলেও পছন্দ মতো যে কোনো বিভাগের অপশন রাখতে পারবেন।
উত্তর: হ্যাঁ, তবে আপনি যে পদে কর্মরত, সেই একই পদে আবেদন করতে পারবেন না। আপনি চাইলে উচ্চতর বা নিম্নপদে আবেদন করতে পারেন।
প্রথম বার অবেদন কিভাবে করতে হবে। রোল নাম্বার বা ব্যাচ তো কিছুই নাই।
অনুগ্রহ করে জানাবেন, আপনি কি ১৭তম কিংবা ১৮তম নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়ে সনদ প্রাপ্ত হয়েছেন?
আমি এই প্রথম আবেদন করতে ইচ্ছুক হয়েছি, কিন্তু যেই সনদের কথা বলা হচ্ছে সেটা সংগ্রহ করে কিভাবে?
যারা পূর্বে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়েছেন ও সকল ধাপে পাশ করেছেন শুধুমাত্র উনারাই সনদ পাবেন এবং গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন।
আমার ১৮তম রোল নাম্বারের সাথে ১৫ তম ব্যাচের একজনের রোল একই। এ জন্য কি সুপারিশ পেতে কোন সমস্যা হবে
অসুবিধা নেই।
Add plz
শিক্ষক নিবন্ধনের জন্য প্রস্তুতি নিতে অনুগ্রহ করে আমাদের Live MCQ অ্যাপটি ইন্সটল করুন –
🟢Live MCQ এন্ড্রয়েড অ্যাপ –
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.livemcq.livemcq
🟢আইফোন ভার্সনঃ https://apps.apple.com/app/id1644524044
অ্যাপ বা প্রস্তুতি সংক্রান্ত যেকোন প্রকার সহযোগিতার প্রয়োজনে কাইন্ডলি পেইজে মেসেজ করুন – https://m.me/livemcq
অথবা, কল করুন:
📱 01701-377322
যদি একাধিক প্রার্থীর একই স্কোর থাকে তবে তাদের মধ্যে অগ্রাধিকার কে পাবে?
একই স্কোরধারীদের মেরিট এক হলেও সিরিয়াল আলাদা। এই সিরিয়াল কিসের ভিত্তিতে হয়েছে?
এই সিরিয়াল অনুযায়ী অগ্রাধিকার পাবে নাকি বয়স অনুযায়ী?
নাম্বার ও চয়েজলিস্ট সেইম হয়ে গেলে এক্ষেত্রে বয়সের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ধন্যবাদ।
১৭ তম নিবন্ধন মার্কেটিং সাবজেক্ট এ নিবন্ধনে সুপারিশ প্রাপ্ত। আমি কি প্রডাকশন ম্যানেজমেন্ট এন্ড মার্কেটিং সাবজেক্ট এ আবেদন করতে পারবো,,??
জি, আবেদন করতে পারবেন। ধন্যবাদ।
পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম কখন এবং কোথায় কাজে লাগবে? ওই ফরমটা আবেদনকারীর কোথাও জমা দিতে হবে কী না? কিংবা ঐ ফরমটা নিয়ে আবেদনকারীর কোথাও কিছু করতে হবে কী না?
চাকরির ভেরিফিকেশনের জন্য সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ভেরিফিকেশন ফরম ব্যবহার করা হয়। সংশ্লিষ্ট সংস্থা চাকরিপ্রার্থীকে দুই কপি ফরম সরবরাহ করে। প্রার্থী সেসব ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দেন। এরপর ওই অফিস প্রার্থীর সম্পর্কে নিচের বিষয়গুলো যাচাইয়ের জন্য দুই কপি ফরম পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠায়। এ সময় মূলত নিচের বিষয়গুলো যাচাই করা হয়:
প্রার্থীর নাম ও পরিচয়
স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা
ব্যক্তিত্ব ও সামাজিক সুনাম
পূর্বে কোনো অপরাধে জড়িত ছিলেন কি না ইত্যাদি
আপু আমি ১৮ তম প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট থেকে আপনার সাথে একটু কথা বলতাম প্লিজ নক দিয়েন ০১৭৫৭৪৪২৩৬২
খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের একজন প্রতিনিধি আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন।
অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন।